বাংলাদেশী টাকার সাথে বিদেশে মুদ্রার কেমন পার্থক্য তা জানার জন্য আমরা সবসময় আগ্রহী হয়ে থাকি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের আগ্রহ থাকে ডলারের সাথে টাকার পার্থক্য নিয়ে এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সাথে বাংলাদেশের টাকার পার্থক্য। ডলারের সাথে বাংলাদেশি টাকার পার্থক্য নিয়ে আগ্রহ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক কারণ আমাদের দেশে অনেক মানুষ এখন ডলারের মাধ্যমে পেমেন্ট পেয়ে থাকে। আপনারা খুব ভালোভাবে জানেন যে এখন বাংলাদেশে
অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা ডলারের মাধ্যমে পেমেন্ট পায়। youtube এবং facebook এ যারা কনটেন্ট ক্রিয়েট করে তারা সব সময় ডলারের মাধ্যমে পেমেন্ট পায় এবং ডলার এবং টাকার মধ্যকার পার্থক্য যত বেশি হবে তাদের আয় তত বেশি বলা যায়। অপরদিকে যারা বাংলাদেশী ব্যবসায়ী রয়েছেন তারা ডলার এবং টাকার মধ্যকার পার্থক্য দেখেই বিভিন্ন ব্যবসায় ইনভেস্ট করে থাকেন। এ বিষয়ে অনেক বিজনেস কনসালটেন্ট রয়েছেন যারা তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আমেরিকান ডলার নিয়ে বাংলাদেশি মানুষের আগ্রহ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক কিন্তু এখন হয়তো বা আপনারা প্রশ্ন করে বুঝতে পারেন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুদ্রা নিয়ে কেন বাংলাদেশি মানুষের এত আগ্রহ। এই প্রশ্নের উত্তর আপনারা অনেকেই জানেন। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ শ্রমিক প্রতিবছর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যাচ্ছে। শুধুমাত্র শ্রমিকই নয়, বাংলাদেশের অনেক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ব্যবসা করছে। সৌদি আরব, কাতার, ওমান, কুয়েতের মতো বিভিন্ন উন্নত দেশে অনেক বাংলাদেশী রয়েছেন যারা সেখানে বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত।
আরব আমিরাতেও অনেক বাংলাদেশী বসবাস করেন যারা সব ধরনের পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। প্রতিমাসে তারা মোটা অংকের টাকা বাংলাদেশে পাঠায়, যা আমাদের কাছে রেমিটেন্স হিসেবে পরিচিত। সহজ ভাবে বলতে গেলে রেমিটেন্স বলতে প্রবাসী আয় বোঝানো হয়। যেহেতু প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ রেমিটেন্স বাংলাদেশে আসছে তাই বাংলাদেশিরা মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রা নিয়েও বেশ আগ্রহ দেখায়। মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রার সাথে বাংলাদেশী টাকার বড় পার্থক্য তৈরি হলে হয়তো প্রবাসীরা লাভবান হবে। প্রবাসীরা যে পেশায় নিয়োজিত থাকুক না কেন তারা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট একটি বেতন পায় যার সিংহভাগ এসে পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব দিনার নিয়ে। দিনার সম্বন্ধে অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন দিনারের সাথে বাংলাদেশী টাকার কেমন পার্থক্য তা তুলে ধরাই আমাদের আজকের উদ্দেশ্য। প্রথমত দিনার সম্বন্ধে যারা জানেন না তাদেরকে একটু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করি। দিনার হলো কুয়েতের মুদ্রা। অনেকে হয়তো জানেন যে এই পৃথিবীতে যত দেশ রয়েছে তার মধ্যে কুয়েতের মুদ্রার দাম সবচেয়ে বেশি। এ থেকে আপনারা বুঝতে পারছেন যে দিনারের দাম সারা পৃথিবীতে
সবচেয়ে বেশি। এখন আমাদের ধারণা হয়ে গেছে যে দিনারের সাথে বাংলাদেশি টাকার একটি আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। এই পার্থক্যটি আপনাদের সামনে তুলে ধরলে অনেকেই হয়তো অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। তবে আগেই অজ্ঞান হবার কোন কারণ নেই, দুটি দেশের মুদ্রার মধ্যে এমন পার্থক্য থাকতেই পারে। আপনার দেশের অর্থনীতি কেমন অবস্থায় আছে তা জানার জন্য সব সময় দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা, আমদানি ও রপ্তানির দিকে লক্ষ্য রাখুন।
এক কুয়েতি দিনার হল ৩৫৪.৫৯ বাংলাদেশি টাকার সমান। তবে এই পরিমাণ প্রতিদিন ওঠানো বা করছে অর্থাৎ গতকাল হয়তো বাংলাদেশে টাকা ও প্রতিদিনের মধ্যেকার পার্থক্য একটু কম ছিল কিংবা বেশি ছিল, আগামীকাল হয়তো এই পার্থক্য আবারো কম বেশি হতে পারে। এ বিষয়টি যদি আপনাদের একটি গ্রাফের মাধ্যমে আমরা দেখাতে চাই তাহলে খুব সহজেই
আপনারা বুঝতে পারবেন। গ্রাফের বিষয়টি যারা বুঝতে পারেন তারা হয়তো সহজে ধরে ফেলতে পারবেন এক মাস অথবা এক বছরের মধ্যে কুয়েতি দিনার ও বাংলাদেশি টাকার মধ্যে পার্থক্য কেমনভাবে ওঠানামা করেছে। কুয়েতি দিনার সম্বন্ধে যারা এতদিন কিছুই জানতেন না তারা হয়তো বেশ পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। কুয়েতি দিনারের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন।