সয়াবিন তেল কিভাবে তৈরি হয়

আপনারা আমাদের আজকের পরের মাধ্যমে জানতে পারবেন সয়াবিন তেল কিভাবে তৈরি করা হয়। আপনাদের অনেকের ভেতর জানার আগ্রহ রয়েছে সোয়াবিন তেল কিভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। সোয়াবিন তেল হল একটি উদ্ভিজ্জ তেল সোয়াবিন তেল বিভিন্ন বীজ থেকে তৈরি করা হয়ে থাকে। এই তেল গুলো শুকানোর হিসেবে প্রক্রিয়াজাত করে সোয়াবিন তেল তৈরি করা হয়ে থাকে।

আমাদের বাংলাদেশের সয়াবিন তেল রান্নার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই সোয়াবিন তেল সর্বাধিক রান্নার তেল গুলির মধ্যে প্রথম কারণ এই তেল বাংলাদেশ ব্রিটিশ রা যখন আমাদের দেশে ছিল তখন এই সোয়াবিন তেল আমাদের দেশে আনা হয়।সয়াবিন নামক এক ২০ থেকে সোয়াবিন তেল তৈরি করা হয়ে থাকে সয়াবিন এই বীজ যখন ৬০ থেকে ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে উত্তপ্ত গরমের মধ্যে রাখার পর হেক্সেন বা দাবক নিষ্কাশন দিয়ে এটা করা হয় তখন এটা থেকে সোয়াবিন তেল পাওয়া যায়।

আমাদের দেশে ভোজ্য তেল হিসেবে সোয়াবিন তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে কারণ সয়াবিন তেল দিয়ে রান্না করলে সব খাবারই খেতে বেশি ভালো লাগে আর আমরা সোয়াবিন তেল খেয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি বর্তমান সময়ে। প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশের সয়াবিন তেল ধীরে ধীরে বাঙালি জাতির খাদ্য ও প্রিয় তেল হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে, এখন বর্তমান সময়ে অনেকে আছে যারা খাঁটি সরিষার তেল খেয়ে থাকে কিন্তু সেটার পরিমাণ খুবই কম।

সোয়াবিন তেল পৃথিবীতে কখন থেকে খাওয়া শুরু হয়েছে বা আমদানি ব্যবসা শুরু হয়েছে এর কোন নির্দিষ্ট তথ্য আপনি ইন্টারনেটে খুঁজে পাবেন না। তবে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী আমরা জানতে পারি স্বাধীনতার কিছুদিন আগে থেকেই বাংলাদেশের সোয়াবিন তেলের প্রচলন শুরু হয়। ১৯৬১ সালে বিশেষ সয়াবিন তেল আমদানি করার পরিমাণ ছিল মাত্র। সয়াবিন তেল বিশ থেকে তৈরি করা হয় বিশ্বের কয়েকটি দেশে সয়াবিন তেল উৎপাদন করা হয়ে থাকে।বর্তমানে ১৫টি দেশে বিশ্বের মোট ৯৮ ভাগ সয়াবিন বীজ উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে সেরা চারটি দেশ হলো ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা এবং চীন।

পৃথিবীর কয়েকটি দেশ আছে যে দেশে প্রচুর পরিমাণে সয়াবিন তেল উৎপাদন করা হয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে চীনের প্রচুর পরিমাণে সয়াবিন তেল উৎপাদন করা হয়। এখন আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব সবচেয়ে পৃথিবীর কোন দেশগুলোতে সোয়াবিন তেল উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক সয়াবিন তেল কোন দেশগুলোতে বেশি উৎপাদন করা হয়।

বর্তমান সময়ের প্রতিটা ঘরে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে এর সোয়াবিন তেল উৎপাদনের বিনিয়োগ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি সোয়াবিন ব্যবসায়ীদের কারণ বাংলাদেশে যে পরিমাণে তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই তেলের চাহিদা কয়েকটি দেশ উৎপাদন করে পূরণ করতে পারেনা।

ব্যবহারের দিক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বাদ দিলে সয়াবিন ব্যবহারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। এমন তথ্য দিয়েছে কৃষি সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশে বর্তমানে নামকরা বেশ কিছু কোম্পানি বিদেশ থেকে অপোরিশধিত তেল এনে নিজস্ব কারখানায় পরিশোধিত করে বোতল জাত করে বাজার জাত করছে। কোনো কোনো কোম্পানি আবার সরাসরি সয়াবিন বীজ সংগ্রহ করে কারখানায় তেল উৎপাদন করে বাজার জাত করছে।

বাংলাদেশে এমন কয়কেটি নামি কোম্পানির মধ্যে অন্যতম রুপচাদা, তীর, বসুন্ধরা, ফ্রেশ, পুষ্টি অন্যতম।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বাজারে ভোজ্যতেল সয়াবিনের বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। মজুতদার ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে সাধারণ জনগণ ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সয়াবিন তেল ক্রয়ে।

জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকা এই সয়াবিন তেল অপরিশোধিত অবস্থায় দেশে আসছে মূলত তিনটি দেশ থেকে। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশের সয়াবিনের বাজার। এছাড়াও দেশের চাহিদা পুরনে অন্যান্য দেশ থেকেও বিপুল পরিমাণে সয়াবিন তেল আসছে। যা বাংলাদেশ সরকার সরবরাহ করছে।

 

Leave a Comment