হ্যালো বন্ধুগণ, আজকে আমরা ব্যাংকিং সেবামূলক কিছু লোন সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো উদ্যোক্তা লোন। মূলত উদ্যোক্তা লোন বলতে ব্যবসায়ী লোনকে বোঝানো হয়।উদ্যোক্তা লোন যেকোনো ব্যাংক থেকে দেওয়া হয়। উদ্যোক্তা লোন ছোট অংক থেকে বড় অংক পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। যেকোনো ব্যাংক এই উদ্যোক্তা লোন দিয়ে থাকে। উদ্যোক্তা লোন বলতে আমরা বোঝায় ব্যবসায়ের জন্য লোন। যখন কোন ব্যক্তি ছোট একটি ব্যবসাকে বড় করতে চায় এবং তার কাছে যদি পুঁজি না থাকে তাহলে তখন সে ব্যক্তি ব্যাংক থেকে লোন
নিয়ে তার ব্যবসা বড় করতে পারবে। এরকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় বাংলাদেশের সকল ব্যাংকগুলোতেই। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরনের লোন দেয়া হয়ে থাকে। আজকে আমরা আর্টিকেলটির মাধ্যমে উদ্যোক্তা লোন সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। অনেক উদ্যোক্তা রয়েছে যারা এই ধরনের ব্যাংকিং সুবিধার সম্পর্কে কিছুই জানে না। তাদের জন্য আজকে আমরা সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দেবো যে কিভাবে উদ্যোক্তা লোন এর মাধ্যমে ছোট ব্যবসাকে বড় করা সম্ভব ।
উদ্যোক্তার লোন, ব্যবসায়িক লোন, খামার কল্পনায় বিভিন্ন ধরনের লোন, ছোট ছোট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লোন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক ঋণ দেওয়া হয় বিভিন্ন ব্যাংক থেকে। আমরা অনেকেই এইসব কল লোন সম্পর্কে জানি না। ব্যাংক থেকে লোন নিতে সবাই ভয় পায়। কিন্তু স্বল্প লাভের মাধ্যমে এই লোন গুলো আমরা পেতে পারি খুব সহজে। আজকে আমরা সকল ছোট ছোট ব্যবসায়ী ভাইদের জন্য সহজ ভাষায় এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি সম্পর্কে আলোচনা করতে এসেছি। উদ্যোক্তা লোন কি? এই প্রশ্নটির উত্তর সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। এখন আমরা তোমাদের সামনে উদ্যোক্তার লোন কাকে বলে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করব। তাই নিশ্চয়ই মনোযোগ দিয়ে পড়বে।
উদ্যোক্তাকে অনেকভাবে সংজ্ঞায়িত করা করা যায়। যেমন: যে ব্যক্তি একটি নতুন ব্যবসায় উদ্যোগ শুরু করার ঝুঁকি গ্রহণ করে তাকে উদ্যোক্তা বলা হয়। আবার যিনি তার আত্মকর্মসংস্থানের জন্য নিজের কর্মসংস্থানের চিন্তা করে নতুন কোনো কাজ হাত দেন তখন ঐ ব্যক্তিকেও উদ্যোক্তা বলা হবে। এই সকল ছোট ছোট ব্যবসায়ী ব্যক্তিবর্গগণ যখন উদ্বোধক পালন গ্রহণের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা কে আরও বড় করে তোলার চেষ্টা করে তখন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়।
বেকারত্বের সমস্যা দূর হয়। এবং সেই লোন থেকে প্রাপ্ত অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগানো হয় এবং সেই অর্থের দ্বিগুণ লাভ হয়ে থাকে। এভাবে টাকা দিয়ে টাকা বৃদ্ধি করানোর একটি উপায় হল এইসব বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লোন। শহর এবং গ্রামে উভয় জায়গাতেই এরকম বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক লোন প্রদান করে থাকে বাংলাদেশের অন্তর্গত ব্যাংক সমূহ। তাই আপনিও খুব সহজে এই ব্যাংকের সেবাগুলো গ্রহণ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল হলেও এটি বিতরণ করা হবে তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে। দেশের সকল তফসিলি ব্যাংক এই তহবিল হতে ঋণ দিতে পারবেন।তবে যেসব ব্যাংক এই তহবিলের পুনঃ অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে চাইবে, তাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট এর সঙ্গে অংশগ্রহণ চুক্তি করতে হবে।
এই ঋণ পেতে হলে একজন উদ্যোক্তাকে তার প্রকল্পের যাবতীয় বিবরণী, পরিকল্পনা, নিজস্ব বিনিয়োগের ধরন ইত্যাদির বিস্তারিত তুলে ধরে ফর্ম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংকে আবেদন করতে হবে।ব্যাংক তার আবেদনে সন্তুষ্ট হলে প্রকল্প মূল্যায়ন করে তার ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করবে।
উদ্যোক্তা হিসেবে শিল্প কারখানা পরিচালনার জন্য যেমন নিয়মনীতি অনুসরন করতে হয় তেমনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে পদ্ধতিগতভাবে নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। অনেক সময় উদ্যোক্তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাস্তব জ্ঞান এবং ব্যাংকের নিয়মকানুন সম্পর্কে অজ্ঞতার
কারনে অহেতুক অসুবিধার সম্মুখীন হয়। সম্প্রতি দেশের অনেক সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান শিল্পোদ্যোক্তা বিশেষ করে এসএমই উদ্যোক্তাদের ঋণ ও অর্থায়নের সুবিধা প্রদানের জন্য এসএমই ব্যাংকিং ব্যাবস্থা চালু করেছে। অনেক ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পৃথক সেল/ ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে। আশা করি উদ্যোক্তা লোন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।।