পক্স থেকে বাঁচার উপায়

পক্স অনেক জটিল এবং কঠিন একটি রোগ। এটা থেকে বাঁচার অনেকগুলো উপায় আমাদের কাছে রয়েছে। সবগুলো উপায়ে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা আমাদের প্রবন্ধের মাধ্যমে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। আপনারা যদি আমাদের সাথে থাকেন এবং আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এখানে পক্স থেকে বাঁচার জন্য যে সকল উপায় আপনার অবলম্বন করতে পারেন সবগুলো উপায় আপনাদেরকে দেখিয়ে দিব। আপনারা এগুলো অবলম্বন করলে সহজেই পক্স থেকে নিজেদেরকে রেহাই করতে পারবেন। সেজন্য আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। যারা এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়বে তারা পক্স থেকে বাঁচার অনেকগুলো উপায় জানতে পারবে।

পক্স শুধুমাত্র শীতকালে বেশি দেখা যায়। সেজন্য এই শীতে যদি আপনার শরীরে পক্স না আসতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনার যা কিছু করণীয় সকল কিছু আমাদের আজকের এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনারা জেনে নিতে পারবেন। অনেকেই আমাদের কাছ থেকে সকল প্রবন্ধ গুলো জানতে চেয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে আমরা আজকের এই প্রবন্ধটি উপস্থাপন করছি। পক্স থেকে বাঁচাতে শুধু উপায় গুলো আপনাদেরকে আমরা দেখাবো। এই সকল উপায় গুলো আপনাদের জন্যই সংগ্রহ করা হয়েছে। সেজন্য আপনারা অবশ্যই এই প্রবন্ধের নিচের অংশগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।

পক্স থেকে বাঁচার সহজ উপায়

পক্স থেকে বাঁচার উপায় গুলো জানতে হলে আমাদেরকে আগে জেনে নিতে হবে যে এটা কিভাবে ছড়ায়। নিচে পক্স ছড়ানোর কারন গুলো উল্লেখ করে দেয়া হচ্ছে এগুলো পড়ে নিন।

● রোগীর পক্সের ফোস্কার সংস্পর্শে এলে।
● রোগীর কাশি বা হাঁচি থেকে।
● রোগীর ব্যবহার করা জিনিসের ব্যবহার করলে।
● গর্ভবতী মায়ের থেকে শিশু এবং নবজাতক শিশুর হতে পারে যদি জন্মোত্তর মায়ের এই রোগ হয়।

পক্স বাজার ক্ষেত্রে আপনি অনেক ধরনের ঔষধ সেবন করতে পারেন। যেমন: হোমিও ঔষধ, আয়ুর্বেদ ঔষধ সেবন করতে পারবেন। আপনি যদি হোমিও ওষুধ সেবন করতে চান তাহলে ভেরিও লিনাম 200 ml নামক একটি ঔষধ সাত দিন সেবন করুন। এটি শিশুদের জন্য সাত দিন দুইটি করে বড়ি আর বড়দের ক্ষেত্রে চারটি করে বড়ি দিনে দুইবার খেতে হবে তাহলে আপনি পক্স থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

জেনে রাখতে হবে যে: একবার যখন পক্স বেরোনো আরম্ভ হয় তারপর যদি এই ভাইরাসকে সাপ্রেস দেওয়া হয় অর্থাৎ চাপ দেওয়া হয় ওষুধের মাধ্যমে তাহলে পরবর্তীতে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। যেমন: নিউমোনিয়া বা এরকম আরো অনেক জটিল রোগ হতে পারে। আবার রোগ হয়ে গেলে যখন রোগীর ফোসকা শুকতে শুরু করে তখন খুব সাবধানতা সঙ্গে এগুলো একটি দেশলাই বাক্সে জমিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত। কারণ এ থেকে অন্যান্য রোগের ছড়ানো সম্ভাবনাটা অনেক বেশি বেড়ে যায়।

আয়ুর্বেদ ঔষধ

পক্স নিরাময়ের জন্য আয়ুর্বেদ ঔষধ অনেক বেশি কার্যকরী। পক্স মূলত ছোট বাচ্চাদের শরীরে বেশি আক্রমণ করে। এ রোগ মূলত ছোট বাচ্চাদের। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুই বছরের বাচ্চাদের বেশি হয়। বড়দের হলেও তুলনামূলক কম হয়। তার কারণ হলো বাচ্চা বয়সে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম থাকে সেজন্য চিকেন পক্সের ভ্যাকসিনের প্রয়োজন অনেক বেশি হয়ে ওঠে। বাচ্চাদের ১২ থেকে ১৫ মাসে একবার আরো চার থেকে ছয় বছর বয়সে আরও একটি ভ্যাকসিন শরীরে প্রদান করতে হয়।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদ ঔষধ সেবনের জন্য কিছু নিয়মকানুন রয়েছে সেগুলো নিজে উল্লেখ করা হচ্ছে:

● তুলসি অ্যান্টিভাইরাস, তাই ২-৪ তুলসি পাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ানো।
● গুলঞ্চর রস অর্ধেক চায়ের চামচ সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ানো।
● গুলঞ্চর পাউডার ১২৫ মি.গ্রা. মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো।
উপরে যে সকল নিয়মগুলো উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো অবশ্যই বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে। এই নিয়মের বাইরে বাচ্চাদেরকে ঔষধ সেবন করতে দেওয়া যাবে না তাহলে এতে ওষুধের বিপরীত ফলপ্রসু লক্ষ্য হতে পারে যেটা বাচ্চাদের জন্য একেবারে ভালো দিক হবে না।

Leave a Comment