ইনজেকশন কিভাবে দিতে হয়

ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন জরুরী ভিত্তিতে যখন ইনজেকশন দেওয়া প্রয়োজন হয় তখন এটা কিভাবে দিতে হয় তা অনেকেই জানেন না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বর্তমান সময়ে তথ্য সহজলভ্য হয়ে গিয়েছে বলে আপনারা হয়তো অনেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জেনে নিয়ে সঠিকভাবে সেই কাজটি করতে পারেন। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে ইনজেকশন কিভাবে দিতে হয় সে প্রসঙ্গে এখানে আলোচনা করব যা অনেকের জন্য হয়তো উপকারী ভূমিকা পালন করবে। আর যখন ইনজেকশন দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন তখন সেটা আপনার বাস্তব জীবনে অনেক কাজে আসবে অথবা জরুরী ভিত্তিতে রোগীদের এই সেবা প্রদান করতে পারবেন।

রোগীদের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ইনজেকশন বা শট প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই আপনারা যখন কোন কাজে ইনজেকশন দিবেন অথবা ইনজেকশন দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন এখানে বিস্তারিত নিয়ম এবং ব্যবহারিক বিষয়টি শেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কোন তথ্য পরে দেখার চাইতে সেটা যদি ব্যবহারিকভাবে করতে পারেন তাহলে সবচাইতে দ্রুত যেমন শেখা যায় তেমনি ভাবে কার্যকরী উপায় তার প্রয়োগ করা যায়।

বিশেষ করে যারা ডাক্তারিতে পড়াশোনা করেন তারা দীর্ঘদিন পড়াশোনা করার পরেও এগুলো প্র্যাকটিকালি করে থাকেন অথবা ইন্টার্নি করে থাকেন। তাই আপনারা যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই তথ্যগুলো জানতে এসেছেন তখন হয়তো আপনাদের এখানে নিয়ম জানিয়ে দিলেও পড়ে পড়ে ইনজেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই ঝামেলা হবে। তাই হয়তো এখানকার তথ্যগুলো পড়ে নেওয়ার পর আপনারা ইনজেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ঝামেলায় পড়বেন অথবা এটার মাধ্যমে রোগীর ক্ষতি হতে পারে। তাই তথ্য পড়ার চাইতে আপনারা যদি একজন ডাক্তারের সহকারী হিসেবে কাজ করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে সেখান থেকে আপনারা ব্যবহারিকভাবে এ বিষয়গুলো শিখে নিতে পারছেন।

তবে ইনজেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল বেসিক বিষয় জানা রয়েছে সেগুলো অবশ্যই জানতে হবে। যেমন ইনজেকশন দেওয়ার সময় সেখানে যদি কোন ধরনের বাতাস প্রবেশ করে থাকে এবং নালীর মাধ্যমে সেই বাতাস যদি রোগীর শরীরে প্রবেশ করে তাহলে সেটা অনেক ক্ষতির সৃষ্টি করবে। তাই কোনভাবেই কোন ইনজেকশন এর ভেতরে বাতাস রাখা যাবে না এবং সেই ইনজেকশনের ভেতরটি পুশ করার মাধ্যমে সম্পূর্ণ বাতাস বের করে দিতে হবে। আবার মানুষের শরীরে যে সকল ফ্যাটি মোটা স্তর রয়েছে সেখানে আপনাদের ভালোভাবে ইনজেকশন দিতে হবে নয়তোবা সেটা শরীরের বিভিন্ন অংশে গিয়ে ক্ষতি সাধন করবে।

তাই ইনজেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা একজন ডাক্তারের সহকারী হিসেবে কাজ করেন অথবা কয়েকটা দিন ট্রেনিং নেওয়ার পর এ বিষয়ে সঠিকভাবে রোগীদের ওপরে ব্যবহারিক জ্ঞান প্রয়োগ করুন। তাছাড়া যদি কেউ মনে করেন youtube এর মাধ্যমে এটা শিখব তাহলে শেখা যাবে। তবে কার্যকরী উপায়ে শেখার জন্য সরাসরি শেখার কোন বিকল্প নেই এবং এর মাধ্যমে আপনি নিজেকে অভিজ্ঞ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন। আর যদি কোন কারণে ভুল চিকিৎসা প্রয়োগ করেন অথবা ভুল জায়গায় ইনজেকশন পুশ করেন তাহলে সেটা ক্ষতি হবে এবং আপনাদের নিজেদের জন্য সেটা সম্মানহানি করা হবে।

তাছাড়া ইনজেকশনের যে রকম ভেদ রয়েছে সেটা সম্পর্কে জেনে নিয়ে কোন রোগের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ইনজেকশন দিয়ে পুশ করা যায় সেটাও জেনে নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরী একটা বিষয়। তাই এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা যখন ইনজেকশন সম্পর্কিত তথ্য জানতে এসেছিলেন তখন আপনাদেরকে আমরা লিখিত তথ্য পড়ে উৎসাহিত করার পরিবর্তে অনুৎসাহিত করব।

অর্থাৎ ইনজেকশন প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে আপনারা সরাসরি প্রাকটিক্যাল জ্ঞান অর্জন করুন এবং এই ক্ষেত্রে ডাক্তারের সহকারী হিসেবে কাজ করতে করতে একটা সময় যখন আপনাদের এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা চলে আসবে তখন নিজেরাই সাহস করে রোগীদের শরীরে ইনজেকশন পুশ করতে পারবেন। তাই অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী যাতে না হয়ে ওঠে সে বিষয়টা আপনাদের মাথায় রাখতে হবে এবং যে কাজ করবেন সেটা অবশ্যই মনোযোগের সঙ্গে শিখে রাখতে পারলে ভবিষ্যতে আপনার অনেক কাজে আসবে।

Leave a Comment