মেডিটেশন কিভাবে করতে হয়

মেডিটেশন এমন একটি জিনিস যেটা মানসিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। মেডিটেশন এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্রেনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং আপনি যখন আপনার নিজের ব্রেন কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন তখন সে ব্রেনের মাধ্যমে আপনি আপনার শরীর কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তির সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাওয়া যায় যার কারণে মানুষের শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের মানসিক চিন্তাভাবনা দূরে চলে যায় যার কারণে শরীর একেবারে সুস্থ এবং খুব সুন্দর হয়ে যায়।

মেডিটেশন খুব সহজ কাজ যে কোন বয়সের মানুষ মেডিটেশন করতে পারে। এখানে বিভিন্ন ধরনের মেথড ব্যবহার করা হয় যেমন মনে করুন কোয়ান্টাম মেথড একটি মেডিটেশন মেথড যা বৈজ্ঞানিক মেড়িটেশন পদ্ধতিতে বিশেষ পরিচিত এবং এই মেথড মেন করেও আপনি নিজের মেডিটেশন নিজেই করতে পারেন এবং সেটা অনেক ফলপ্রসু। বিভিন্ন ধাপে মেডিটেশন করা হয় যেমন মেডিটেশন এর পারিপার্শ্বিক প্রস্তুতি। সবার প্রথমে আপনাকে এমন একটি পরিবেশ বেছে নিতে হবে যে পরিবেশে আপনি একেবারে নিরিবিলি থাকতে পারেন এবং এমন একটি সময় বেছে নিতে হবে যেটা সাধারণত একেবারে ঠান্ডা একটি সময় এবং নিরিবিলি একটি সময়। চেষ্টা করতে হবে কোন ধরনের ডিভাইস থেকে আপনি অন্তত ১০০ মিটার দূরে থাকবেন।

মেডিটেশনের সময় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বর্ষার ভঙ্গি অর্থাৎ বসার সময় আপনি মেঝেতে মাদুর বা কার্পেট পেরে নিতে পারেন তারপর বিভিন্ন আসনে বসতে পারেন। গঙ্গাসন, বজ্রাসন, পদ্মাসন, সুখাসন এবং আরো বহু আসন আছে যেগুলো আপনি বেছে নিতে পারেন মেডিটেশন করার সময়।

এরপরে মেডিটেশনকে বলা হয় নিজের বাড়িতে ফেরার আনন্দ অর্থাৎ মেডিটেশনে গিয়ে মানুষ খুব শান্তি এবং খুব ভালো লাগা নিয়ে ফিরে আসেন তাই এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। এই সময় কয়েকটি সুখ্য মুহূর্তের কথা আপনাকে মনে করতে হবে যা আপনাকে অনেক আনন্দ দেবে এবং সেটা থেকে আপনি অনেক আনন্দিত হবেন।

চোখ বন্ধ করে সাধারণত এই কাজটি করতে হবে এবং এখানে কিছু ব্যায়াম আছে যেমন মনে করুন দম নেওয়া এবং দম ছাড়া এ বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। প্রথম থেকে আপনার মনোযোগ এতটা না হলেও আস্তে আস্তে মনোযোগ বৃদ্ধি করতে হবে এবং মনোযোগকে কেন্দ্রীভূত করে শরীরের পেশিগুলোকে শিথিল করতে হবে। আস্তে আস্তে এই মনোযোগ আপনার মাথার তালুর পেশির দিকে প্রসারিত হবে যাতে করে সেখানে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং সে অবস্থাতে যদি একটু গরম গরম লাগে তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে যে সেখানে কাজ হচ্ছে। এ সময় যদি এরকম অনুভূতি হয় যে বরফ গলা পানি যেমন বরফের গা বেয়ে নিচের দিকে নেমে যায় শিথিলতা তেমনি স্রোতের মতো আপনার মাথা থেকে যাবে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে তাহলে বুঝবেন আপনি মেডিটেশন এর মধ্যে ডুবে গেছে।

এরপর আস্তে আস্তে দম নিতে হবে এবং দম নিয়ন্ত্রণ করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মেডিটেশন এর ক্ষেত্রে শরীর আস্তে আস্তে বাড়ি লাগতে থাকবে এবং মনে হবে জন পদার্থের আপনি পরিণত হচ্ছেন এইভাবে আস্তে আস্তে কয়েকটা পদ্ধতি অবলম্বন করে মেডিটেশন করা যায়। মেডিটেশনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানতে আমাদের লিংক ব্যবহার করে আপনি সেখান থেকে সম্পূর্ণ ভিডিও দেখে নিতে পারেন।

মেডিটেশন করার উপকারিতা

মানুষ কি চাপ কমাতে, ঘুমের উন্নতি সাধন করতে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও মেডিটেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য এবং সুস্থ শরীরের অধিকারী হওয়ার জন্য অবশ্যই মেডিটেশন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার বয়সের যাই হোক না কেন আপনি যদি নিয়মিত মেডিটেশন করতে অভ্যস্ত হন তাহলে নিজেই নিজের পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

শুধুমাত্র যে বিভিন্ন ধরনের মানসিক উদ্যোগ বিষন্নতা দূর করতে এটা কাজ করে এমন নয় আপনাকে মনোযোগী করতে আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের চাপ শিথিল করতে এই মেডিটেশন অত্যন্ত কার্যকরী।

 

 

Leave a Comment