আমি খারাপ স্ট্যাটাস

যখন আপনার নিজের প্রতি অনেক বিরক্ত চলে আসবে এবং নিজের প্রতি যখন ভালোলাগা কাজ করবে না তখন হয়তো খারাপ বলে নিজেকে মনে হতে পারে। তাছাড়া আপনার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ যখন বিপরীতে চলে যাবে এবং সব সময় যদি আপনার দিকে আঙ্গুল তুলে আপনাকে খারাপ বলে প্রমাণিত করে তাহলে এক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কিন্তু আপনি যদি ধৈর্য ধরেন না করতে পারেন এবং সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে আকারে ইঙ্গিতে আপনার কষ্টগুলো বোঝাতে চান তাহলে আমি খারাপ স্ট্যাটাস এই সংগ্রহ করে নিন। অর্থাৎ আপনি যে খারাপ সেটা স্টেটাস এর মধ্য দিয়ে আইরোনি ভাবে প্রকাশ করলে অনেকেই বুঝতে পারবে যে আপনার এখানে কোন দোষ নেই।

আমরা অনেক সময় আমাদের পারিপার্শ্বিক ঘটনা অথবা অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে এতটাই মন খারাপ করে থাকি নিজেদের ওপরে নিজেরাই দোষারোপ করে থাকি। তাছাড়া যখন কেউ অন্যায় ভাবে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে দেয় অথবা আমাদের উপরে যে কোন বিষয়গুলো আরোপ করে থাকে যে দোষ করলেও ততটা অপরাধী মনে হয় না। কিন্তু অন্যায় ভাবে জোরপূর্বক ভাবে কেউ যদি আমাদের উপরে কোন কিছু চাপিয়ে দেয় অথবা খারাপ বলে প্রমাণ করে তখন নিজের কাছে সেটা অনেক ছোট বলে মনে হয়।

তবে ক্ষণস্থায়ী এই জীবনের প্রত্যেকটা বিষয় ক্ষণস্থায়ী এবং আজকের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার হয়তো নিজেকে খারাপ বলে মনে হতেই পারে, কিন্তু ধৈর্য ধারণ করে আপনি যদি কাজ করে যেতে পারেন তাহলে একটা সময় এটার উত্তর নিজের থেকে প্রদান করতে পারবেন। তাছাড়া প্রকৃতির প্রতিশোধ বলে একটা কথা রয়েছে। অর্থাৎ কেউ আপনার ওপরে অন্যায় ভাবে কোন কিছু চাপিয়ে দেবে এবং আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করবে সেই ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিও ভালো থাকতে পারবে না।

অর্থাৎ আপনার জন্য যে গর্ত করা হয়েছে সেই গর্তে তাকেই পড়তে হবে। তাই প্রতিটা ক্ষেত্রে আমরা যদি ধৈর্য ধারণ করতে পারি এবং প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমরা যদি নিজেদের ক্যারিয়ার সম্পর্কে প্রকাশ করতে পারি তাহলে আজকে যারা আমাদের নিয়ে হাসছে অথবা আজকে যারা আমাদেরকে দোষী প্রমাণিত করছে তারা একটা সময় তাদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হবে।

তবে আপনি খারাপ এ প্রসঙ্গে আপনি খুব ভালো করেই জানেন যে আপনি কেমন। বাস্তবিক জীবনে কোন অন্যায়ের সঙ্গে যদি আপনার সখ্যতা থেকে থাকে অথবা কোন অন্যায় সংগঠনে যদি আপনি সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকেন তাহলে সেটার জন্য প্রায়শ্চিত করতে হবে। আর এই ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার জন্য ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর এক্ষেত্রে আপনারা যদি সৃষ্টিকর্তার কাছে বারবার ক্ষমা চাইতে থাকেন তাহলে তিনি অবশ্যই আপনাদের কৃতকর্মের এই বিষয়গুলো ক্ষমা করে দেবেন।

তাই এখন আপনার কাছে নিজেকে খারাপ বলে মনে হলো একটা সময় আপনি নিজেকে ভালো বলে প্রমাণ করতে পারেন বা আপনার কাজ আপনাকে ভালো বলে প্রমাণ করবেন। তাই এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা যখন আমি খারাপ স্ট্যাটাস সংগ্রহ করতে আসবেন তখন হয়তো মনের আবেগে এই স্ট্যাটাস গুলো আপনার কাছে ভালো লাগতে পারে। অথবা ভেতরটা ভেঙে যাওয়ার কারণে আপনি যে খারাপ সে বিষয়টা অন্যের সামনে উপস্থাপন করতে যখন আর কোন দ্বিধা কাজ করবে না অথবা আপনার কাছে মনে হবে এটাই সঠিক তখন আপনারা এখান থেকে খারাপ হওয়ার স্ট্যাটাসগুলো পড়ে নিতে পারেন।

তবে আমি খারাপ এই স্ট্যাটাস গুলো এখানে দিয়ে দেওয়া হলো সেগুলো পড়ে দেখার পাশাপাশি যদি মনে হয় এগুলোর মাধ্যমে আপনি অন্যের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতে পারবেন তাহলে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। আমি খারাপ স্ট্যাটাস দিব পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন এটা আসলে আপনি নিজেকে খারাপ প্রমাণ না করে ওই সকল ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তর প্রদান করছেন যারা আপনাকে খারাপ বলে প্রমাণ করেছেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment