আই বি এস রোগের ঔষধ

আমরা অনেকেই জানি না আইবিএস রোগ কি। প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করব ‌। মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হল পাকস্থলী। কারন আমরা যা আহার করি সব পাকস্থলীতে জমা হয় এবং পাকস্থলী থেকে আমরা আমাদের শরীর চালনা করার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি পেয়ে থাকি।

আজকে আমরা পাকস্থলীর একটি রোগ নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে এসেছি। এটি একটি ভয়াবহ এবং গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক সমস্যা। অসচেতনতা এবং অজ্ঞাতার ফলে এই রোগ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এজন্য আমাদের এই রোগ সম্পর্কে জানতে হবে এবং প্রথম পর্যায়ে পেট ব্যাথা অনুভব হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই রোগের চিকিৎসা নিতে হবে।

আইবিএস কি?আইবিএস রোগের লক্ষণ?
আইবিএস রোগের ঔষধ? আইবিএস রোগের ফলে কি অপারেশন করতে হয় কিনা? এই সকল প্রশ্নের উত্তর সাজিয়ে আজকে আমাদের আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো সবার। আজকে আপনারা আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এবং বুঝতে পারবেন আইভিএস রোগ আসলে কি এবং এই রোগ হলে কি করনীয়।

আইভিএস হল এক ধরনের পাকস্থলীতে সংঘটিত সমস্যা। দীর্ঘমেয়াদী পেটব্যথা থেকে এই আইবিএস রোগ দেখা দিতে পারে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আইবিএস হল পেটের রোগ। অপ্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের এই রোগ বেশি দেখা দেয়।আইবিএসসির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের লেক্সোটিভ-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। ইসবগুলের ভুসি ও অন্য আঁশ এ ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। যেসব রোগীর ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা, আইবিএসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উপসর্গ সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিস্পাসমোডিক্স-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এগুলো অন্ত্রের সংকোচন কমানোর মাধ্যমে কাজ করে।

আইবিএস রোগের লক্ষণ একটাই। এই রোগ হলে পেট ব্যথা হয় প্রথমের দিকে। আইবিএস বা ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রম আসলে দীর্ঘমেয়াদি পেটের পীড়া। খাদ্যনালির সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরে রোগীরা এই সমস্যায় ভোগে। রোগীরা এসে অভিযোগ করেন মাঝে মাঝে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, মলত্যাগের ধরন পাল্টে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হয়। মলের ধরনও পাল্টে যায়। হয়তো আগে স্বাভাবিক পায়খানা হতো এখন বেশি নরম হয়ে যাচ্ছে, অথবা বেশি শক্ত হয়ে যাচ্ছে।

অনিয়মিত খাবারদাবার এবং অস্বাস্থ্যকর জাঙ্ক ফুড খাওয়ার জন্য পাকস্থলীতে এই ধরনের রোগ দেখা দেয়।
আমরা অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছি। শান্ত, স্থির ভাবটি আমাদের মধ্যে কমে গেছে। আমাদের সময়ের খুব অভাব। যার জন্য আমাদের জীবন অনেক গতিশীল হয়ে গেছে। এর প্রভাব আমাদের শরীরের ওপরও পড়ছে। খাদ্যনালি এর ব্যতিক্রম নয়। এর জন্য দেখা যাচ্ছে কোনো একটি পরীক্ষায় খারাপ করল, এর চাপ হয়তো খাদ্যনালির ওপর পড়ছে। এতে পায়খানার ধরন পাল্টে গেছে। মানসিক চাপের মধ্যে যখন মানুষ থাকে, যেমন পারিবারিক সমস্যা বা চাকরিতে পদোন্নতি হচ্ছে না, মানসিক যে অস্থিরতা এর চাপ খাদ্যনালির ওপর পড়ে। আইবিএস রোগের একটি মূল কারণ এটি।

আমাদের খাদ্যনালিতে যেই বিভিন্ন হরমোন আছে সেগুলোর রস ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া করে। এতে খাদ্যনালির স্বাভাবিক গতি কখনো বেড়ে যায়, কখনো খুব কমে যায়। সেগুলোর মধ্যে একটি পদার্থ রয়েছে সেরোটোনিন। এটি যদি খুব বেড়ে যায় বা কমে যায় খাদ্যনালির গতি পরিবর্তন হতে পারে। তা ছাড়া অন্যান্য রোগ যদি থাকে, যেগুলো মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়, সেগুলোও আইবিএসের কারণে হতে পারে।

এই রোগটি হলে আমাদের কিছু কিছু খাদ্য পরিহার করা উচিত। কিছু কিছু খাবারের সঙ্গেও কিন্তু আইবিএসের একটি সম্পর্ক রয়েছে। যেমন ধরেন কারো কারো দেখা যায় দুধজাতীয় খাবার খুব বেশি হজম হতে চায় না। যাকে আমরা বলি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স। এই ধরনের খাবারগুলো খেলে পেট ফেঁপে যায়, কারো কারো ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়, কারো কারো পেটে অনেক গ্যাস তৈরি হয়। সেই গ্যাস বের হচ্ছে বেশি বেশি করে— এই ধরনের অভিযোগও অনেকে করেন। এই ধরনের খাবার অনেকের সহ্য হয় না। আবার ধরেন, কিছু খাবার আছে যেমন শাক বা সবজি— এই জাতীয় খাবারও অনেক সময় হজম করতে অসুবিধা হয়।

Leave a Comment