যদি ঘা হয় তাহলে মূলত ভিটামিন সি এর অভাবে হয়ে থাকে। তাই কারো যদি জিভে ঘা হয়ে থাকে তাহলে ভিটামিন সংক্রান্ত ঘাটতিজনিত কারণে এমন হয়ে থাকে বলে আমরা জানি। আর জিভে ঘা হলে কি খেলে ভালো হবে তা যদি জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করাই তথ্যের ভিত্তিতে আশা করি অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট চালালে ঘা ভালো হয়ে যাবে।
দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন খাদ্য খেয়ে বেঁচে থাকি। কোন ক্ষেত্রে আমাদের যে খাদ্য গ্রহণ করছে তার মধ্যে সঠিক পুষ্টি উপাদান না থাকে তাহলে সেটার অভাবজনিত রোগ হতে পারে। বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিবে এবং এ রোগ দেখা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে হঠাৎ করে আপনাকে একদিনে দেখা দেবে তা নয়। বরং অভাব জানি তোর রোগা হওয়ার কারণে এটা আস্তে আস্তে সৃষ্টি হবে এবং একটা সময় আপনি সেটা উপলব্ধি করতে পারবেন যখন দেরি হয়ে যাবে।
বিভিন্ন ধরনের খাবার আমরা গ্রহণ করার মাধ্যমে সেটা আমাদের শরীরে সঠিক ব্যালেন্স রাখে। পেট ভরার উদ্দেশ্যে খেয়ে থাকলে অনেক সময় দেখা যায় যে এটা আমাদের পেটই ভরাই বরং শরীরের অন্যান্য পুষ্টিগুণ হারিয়ে যায়। আর এই সমস্যা দুটি হয়ে থাকে তখন আপনাদের যে খাবারের ঘাটতির কারণে হয়েছে সেটা খেয়ে কিন্তু আপনারা খুব দ্রুত সমাধান পাবেন না। কারণ আপনি অনেক বুঝতে বুঝতে দেরি করে ফেলেছেন এবং এই ক্ষেত্রে হয়তো আমরা সরাসরি অ্যালোপ্যাথিক ট্রিটমেন্ট গ্রহণ করতে চাই।
বর্তমান সময়ের মানুষ হিসেবে আমরা যদি স্বাস্থ্য সচেতন হতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি জনিত রোগ হবে না। তারপরও যদি কোন কারণে হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আর দেরি না করে আপনাদেরকে আমরা সঠিক পরামর্শ নিতে পারব যাতে করে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন। তাই সুষম খাদ্য গ্রহণ করার ব্যাপারে যে বিষয়গুলো আমরা পাঠ্য বইয়ে পড়েছি সেগুলো মেনে চলব এবং সবচাইতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার আমাদের খাদ্য তালিকা রাখার চেষ্টা করব।
জিভে ঘা হলে কি করতে হবে
জিভে যদি ঘা হয়ে থাকে তাহলে আর দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ আপনারা যদি সিভিট ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সমস্যার সমাধান খুব দ্রুত হয় না এবং এক্ষেত্রে আমরা এন্টিবায়োটিক এর উপরে নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। তাই যাদের গ্যাসের প্রবলেম নেই তারা সিগারেট খাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন টক জাতীয় ফল অথবা ভিটামিন সি রয়েছে এমন ফল খাবেন। বিশেষ করে লেবুর রস অথবা কমলালেবুর রস যদি চিপে খেতে পারেন তাহলে খুব ভালো হয় অথবা যে ফলে ভিটামিন সি রয়েছে সেগুলো খেলেই হল।
জিভে ঘা হলে কি ওষুধ খেতে হবে
ভিটামিন সি এর অভাবে মুখের ভেতরে সাদা সাদা ঘা এর মত দেখা যায় এবং এটার কারণে আপনি ব্যথা যেমন অনুভব করেন তেমনিভাবে মুখের স্বাদ একেবারেই চলে যায়। তাই এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই জিভে ঘা হলে সঠিকভাবে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলবেন এবং কথা বলে যেভাবে আপনাদের পরামর্শ দিবে ঠিক সেভাবে চলে আশা করি সমাধান হয়ে যাবে। তাই এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা এটা বুঝে নিতে পারলেন বলে আশা করি আপনাদের জন্য তা ভালো হলো।
জিভে ঘা হলে কি করা উচিত
জিভে যাতে ঘা না হয় তার জন্য অবশ্যই আপনারা নিয়মিতভাবে ভিটামিন সি খাওয়ার অভ্যাস করবেন। ভিটামিন সি রয়েছে এমন সকল খাবার যদি গ্রহণ করেন তাহলে এটা আপনাকে সকল দিক থেকে সেফটি প্রদান করবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। অল্পতেই যারা কোন বিষয়ে অসুস্থ হয়ে যান অথবা অল্পতেই তাদের সর্দি জ্বর কাশি লেগে থাকে তাদের ভিটামিন সি এসব ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণভাবে সাহায্য করে। দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যাভ্যাস এর ক্ষেত্রে আমাদের ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে এটা আমাদের জন্যই বরং খুব উপকারী ভূমিকা রাখবে।