অহংকার নিয়ে ইসলামিক উক্তি

অহংকার মোটেই ভালো নয়। অহংকারীরা কোনদিন সুখী হতে পারেনা। হাদিসে উল্লেখ রয়েছে অহংকাররা কখনো জান্নাতবাসি হতে পারবে না। মানুষ হিসেবে আমাদের উদার হতে হবে এবং মনুষ্যত্বের পরিচয় দিতে হবে তাহলে আল্লাহ খুশি হবে। আমরা আমাদের মানবিকতা এবং ধ্যান-ধারণা ব্যক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করি। আজকে আমরা আলোচনা করব অহংকার নিয়ে কিভাবে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ট্যাটাস দিতে পারি।

অহংকার নিয়ে অনেক উক্তিগুলো আমরা আজকে উল্লেখ করব আমাদের এখানে। এই আর্টিকেল থেকে আপনি খুব সহজে কপি-পেস্ট করে নিয়ে শেয়ার করতে পারবেন নিজের একাউন্টে। আজকে আমরা অহংকার নিয়ে ইসলামে কি কথা বলা হয়েছে সেগুলোই আজকে আলোচনা করব। অহংকারের বিরুদ্ধে ইসলামিক ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন শরীফে অনেক কথায় আলোচনা করা হয়েছে।অহংকার নিয়ে ইসলামিক উক্তিগুলো আজকে আমরা আলোচনা করব। অহংকার নিয়ে ইসলামিক উক্তি।

***যার ভেতরে এক তিল পরিমাণ অহংকার আছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তাই আল্লাহর বাণী অনুসরণ করে অহংকার থেকে নিজেকে অনেক দূরে রাখতে হবে।

* তুমি এই স্থান হতে নেমে যাও!! এখানে থেকে.. তুমি অহংকার করবে ? তা হতে পারে না। পবিত্র স্থানগুলোতে অহংকারীদের কোন জায়গা নেই।

***অহংকারীদের বলা হবে তোমরা জাহান্নামের দরজা দিয়ে প্রবেশ করো এবং সেখানেই তোমরা চিরকাল স্থান করবে।
এজন্য সকল ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে এই চার দিনের জীবনে তোমরা অহংকার করো না। উদার হতে শেখো এবং মানুষ কে ভালবাসতে শিখো। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করো না। অহংকারীদের আল্লাহ কখনোই ভালোবাসবে না।

* লোভী ও অহংকারীকে উপরওয়ালা কখনোই ভালোবাসেন না, তাই আমাদের অহংকার ছেড়ে দেওয়া উচিত। যারা অহংকার করে তারা খুব শীঘ্রই মুখ থুবড়ে পড়ে কারণ অহংকারীরা কখনোই উন্নতির চড়তে পারে না।

***পৃথিবীতে যারা অন্যায় ভাবে অহংকার করে, আল্লাহ তাআলা বলেছেন অবশ্যই আমি তাদের দিকনির্দেশনা হতে বিমুখ করে রাখবো ।

***অহংকার আর হিংসা করো না , কারণ তুমি এ পৃথিবীতে চিরদিন বেঁচে থাকতে পারবে না । কারণ মৃত্যুর পর আল্লাহকে জবাবদিহি করতে হবে। তখন তুমি তোমার অহংকারের কারণগুলো কিভাবে আল্লাহর কাছে ব্যাখ্যা করবে। তাই প্রিয় বন্ধুগণ তোমরা অহংকার করো না এবং মানব জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করো তাহলেই আল্লাহর প্রিয় হয়ে উঠতে পারবে।

****যার যোগ্যতা যত কম তার অহংকার তত বেশি ।
অহংকার তো তারাই করে যারা হঠাৎ করে এমন কিছু পেয়ে যায়,, যা পাওয়ার তাদের কোনো যোগ্যতাই ছিলনা । যারা অহংকার করে তারা অনেক নিচু জাতের মানুষ। মহৎ ব্যক্তিরা কখনো অহংকার করে না। বড় বড় ব্যক্তিরা তাদের কীর্তির

কথা কখনোই কারো কাছে বলে না। যারা অহংকারী অহংকার করে তারা তাদের সামান্য কিছু জিনিস নিয়েই অহংকার করে। আর যাদের অনেক আছে যারা অনেক জ্ঞানী তারা কোনদিনই অহংকার করবে না। যারা অহংকার করে তারা আসলে মূর্খ।

* জীবন হচ্ছে মৃত্যুর সঙ্গী ,, তো কিসের এত অহংকার তোমার? আজকে দুচোখ বন্ধ করলে আর কিছু তোমার থাকবে না।

* প্রতিদিন আমাদের এমন ভাবে কাটানোর উচিত, যে আজও যেন আমাদের এ পৃথিবীর শেষ দিন_ তখন দেখবেন আপনি আপনার ভেতর থেকে কখনোই অহংকার এর কথা চিন্তায় আসবে না । পৃথিবীতে জন্ম একবারই হয়। তাই এই মানব জীবনকে অহংকারের মায়াজালায় ফেলে বৃথা নষ্ট করো না। আল্লাহর সেবার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে। এই সকল অহংকার এবং মোহ মায়া ত্যাগ করতে হবে।

***অহংকার কে সামান্য এর মাঝেই রাখ, নতুবা একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে পারবেন না ।
কোন কারন ছাড়াই যে অন্যকে ঘৃণা করে ,প্রকৃতপক্ষে সে অহংকারী ।

***অহংকার এমন এক আবরণ, যা মানুষের সকল মহত্ব আবৃত করে ফেলে ।অহংকার হচ্ছে সত্যের উপেক্ষা করা এবং মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা ।

* সত্য পথে থাকার চেষ্টা করুন আর অহংকার কে ঝেড়ে ফেলুন । মনে রাখবেন অহংকারীরা কখনোই সুখী হতে পারেনা। অহংকারীরা মূর্খ এবং বোকায় এজন্য তারা অহংকার করে। এমন কাজ করতে হবে যাতে তুমি তোমার পরিবারের গর্বের কারণ হও। দুই দিনের অহংকারে কোন লাভ নেই।

Leave a Comment