ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে

যারা নতুনভাবে ইউটিউবিং শুরু করতে যাচ্ছে না অথবা ভিডিও তৈরি করে এডসেন্সের উপরে ইনকাম করতে চাচ্ছেন তাদের আসলে ধারণা প্রয়োজন ইউটিউবে কি কি বিষয়ে ভিডিও তৈরি করলে সবচাইতে ভালো হবে। কারণ আপনারা এই তথ্যের উপর নির্ভর করে যখন নির্দিষ্ট টপিকে ভিডিও তৈরি করবেন তখন দেখা যাবে যে পাবলিক সেই সকল ভিডিও দেখবে এবং ভিউ খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে। তবে বর্তমান সময়ে ইউটিউবে এর পাশাপাশি ফেসবুকের ভিডিওগুলো খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে থাকে এবং ফেসবুকে যে কোন ভিডিও খুব তাড়াতাড়ি রিচ হয়ে থাকে।

একটা সময় ইউটিউবে ভিডিও পাওয়া যায় এরকম একটা বিষয় সকলের মধ্যে জানাজানি হয়ে থাকলেও বর্তমানে ফেসবুক অ্যাপস ওপেন করলে সেখান থেকে ভিডিও দেখা যায় অথবা ভিডিও দেখার অপশন চালু করা হয়েছে। আর ফেসবুক যেহেতু সামাজিক যোগাযোগের একটা মাধ্যম সেহেতু এখানে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট কে অথবা আইডিকে খুব সহজেই প্রফেশনাল মোডে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করতে পারেন। দৈনন্দিন জীবনে আপনি কি করছেন অথবা কাদের সঙ্গে চলছেন অথবা আপনার বিনোদনের সঙ্গীগুলো কারা তাদের নিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় ফানি ফানি ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে খুব সহজেই রিচ পাওয়া যাচ্ছে।

তাই ইউটিউবের ভিডিও সংক্রান্ত কোনো বিষয় আপনাদের যখন জানার প্রয়োজন হবে তখন আপনাদেরকে জেনে নিতে হবে আপনি আসলে কোন বিষয়ে কাজ করতে সবচাইতে ভালো পারবেন। উদাহরণস্বরূপ যদি আমরা বলতে চাই তাহলে দেখা যাবে যে এমনও অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা নির্দিষ্ট কিছু টপিকের কাজ করার কারণে খুব একটা সাড়া না পাওয়ার কারণে দিনের পর দিন তারা ভিউয়ের জন্য বসে আছেন। আবার কিছু মানুষ রয়েছে যারা অতিরিক্ত ফাতরামি করার কারণে অথবা অতিরিক্ত বিনোদন দেওয়ার কারণে খুব দ্রুত পাবলিকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

ইউটিউবের ভিডিওগুলো জনপ্রিয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই মানুষের আবেগ নিয়ে খেলতে হবে এমনটাই জানিয়েছেন আমার এক ছোট ভাই। অর্থাৎ মানুষকে চাই অথবা বর্তমান সময়ের মানুষের মানসিকতা কেমন তার ওপরে নির্ভর করে আপনারা যদি ভিডিও তৈরি করতে পারেন তাহলে দেখবেন যে হু হু করে সেগুলো ভিউ হচ্ছে এবং শেয়ার হচ্ছে। তবে আপনি যদি উচ্চশিক্ষিত হয়ে থাকেন এবং আপনার ভেতরে যদি আত্মমর্যাদা সম্পন্ন বোধ থাকে তাহলে দেখা যাবে যে সকল ধরনের ভিডিও আপনার জন্য তৈরি করা মানাবে না।

কারণ সামাজিক প্রতিপত্তি থাকার পাশাপাশি যখন আপনি এ ধরনের ভিডিও তৈরি করবেন তখন বন্ধু মহলে এবং বিভিন্ন জায়গায় কথোপকথনের সৃষ্টি করবে যে আপনি বিভিন্ন ধরনের লো কোয়ালিটির কনটেন্ট তৈরি করেন।আর যদি আপনি এখন পড়ালেখা অবস্থায় থাকেন তাহলে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবন কিভাবে কাটছে অথবা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা থেকে শুরু করে কোথায় গিয়ে কি ধরনের মজা করলেন এ সকল বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে পারলে পাবলিক খুব দ্রুত আপনাদের আইডির রিচ বৃদ্ধি করে দেবে।

অর্থাৎ বর্তমান সময়ে আপনারা যত ধরনের বিনোদন দিতে পারবেন অথবা নতুন নতুন জায়গা গুলো দেখাতে পারবেন খুব দ্রুতই সেগুলো ভাইরাল হবে এবং সেগুলো মানুষ দেখবেন। তাছাড়া বর্তমান সময়ে একশ্রেণীর মানুষ তৈরি হয়েছে যারা অন্যকে উপকার করার মধ্য দিয়ে সেগুলো ভিডিও ধারণ করে সকলের মাঝে শেয়ার করছে। তাই আপনি যদি মানবতার ফেরিওয়ালা নামক বিশেষ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেন অথবা আপনার মাধ্যমে কেউ যদি উপকৃত হয় এবং এক্ষেত্রে যদি আপনি মানুষকে উপকার করার মধ্য দিয়ে তাদের সহায়তা করেন তাহলে দেখা যাবে যে সেগুলো খুব দ্রুত ভাইরাল হয়।

তাই দৈনন্দিন জীবনে মানুষকে চাই সেটার উপরে নির্ভর করে আপনারা যদি ভিডিও তৈরি করতে পারেন অথবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রবেশ করে কোন ধরনের ভিডিওতে কেমন ভিউ হচ্ছে সেটা যদি দেখতে পারেন তাহলে আস্তে আস্তে আপনার ভেতরে ধারণা চলে আসবে। আর ইউটিউবিং করার পাশাপাশি আপনারা সেই ভিডিওগুলো যদি ফেসবুকে আপলোড করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আস্তে আস্তে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং লাইক ফলোয়ার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Leave a Comment