বর্তমান সময়ে যাতায়াতের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে রেল ব্যবস্থা বা রেল মাধ্যম। অর্থাৎ ট্রেনে করে বর্তমানে খুব সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করা সম্ভব হয়। ট্রেনে যাতায়াত করার ফলে যেমন যাতায়াতের ভাড়া অনেকটা কম লাগে তেমনিভাবে নিরাপদে যাতায়াত করা সম্ভব হয়। অনেকটা তাড়াতাড়িও যাতায়াত করা সম্ভব হয়। তাই অনেক মানুষই বর্তমানে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে ট্রেন লাইনকে বা রেললাইনকে বেছে নিচ্ছে। ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানুষ দেখা যায় যে বিভিন্ন স্থানের ভাড়া কত, কত সময় লাগবে বা কিভাবে যাওয়া যাবে, কখন যাওয়া যাবে এ বিষয়গুলো জানতে চায়। আমাদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন আর্টিকেলের মাধ্যমে ট্রেনে যাতায়াতের সময়, টিকিটের মূল্য, কখন কোথায় থেকে টেন ছাড়বে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনি যদি বিভিন্ন স্থানে ট্রেনের সময়সূচী বা টিকেটের মূল্য সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটা ভিজিট করতে পারেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন।
তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে যশোর থেকে ঢাকার ট্রেনের সময়সূচি আলোচনা করা হয়েছে। আপনি কি যশোর থেকে ঢাকা ট্রেনের সময়সূচি জানতে চাচ্ছেন? যশোর থেকে ঢাকার ট্রেনের টিকিট ও ভাড়ার তালিকা খোঁজ করছেন? তবে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। আমাদের এই আর্টিকেলটিতে যশোর থেকে ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিটের মূল্যের তালিকা উপস্থাপন করা হয়েছে। সেই সাথে সাথে আপনার নিরাপদ ভবনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস এ আর্টিকেলটিতে রয়েছে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
যশোর টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচি
যশোর থেকে ঢাকার রাস্তায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস, বেনাপোল এক্সপ্রেস এবং চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি চলাচল করে। নিচে এ ট্রেনগুলো যশোর স্টেশন থেকে কখন ছাড়ে এবং ঢাকা স্টেশনে কখন পৌঁছায় সেই সময়সূচি দেয়া হলো।
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি যশোর থেকে রাত ১০ঃ৫৬ মিনিটে ছাড়ে এবং ঢাকায় গিয়ে পৌঁছায় ভোর ৫ঃ১০ মিনিটে। তাছাড়া এই ট্রেনটির সাপ্তাহিক ছুটির দিন হচ্ছে মঙ্গলবার। অর্থাৎ মঙ্গলবারে যশোর থেকে ঢাকা গামী ট্রেন সুন্দরবন এক্সপ্রেস চলাচল করে না।
চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যশোর থেকে ছাড়ে সকাল ১০ঃ০৮ মিনিটে এবং ঢাকায় গিয়ে পৌঁছায় সন্ধ্যা ছয়টা পাঁচ মিনিটে এবং এই ট্রেনটি রবিবার চলাচল করে না। অর্থাৎ চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন হচ্ছে রবিবার।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি যশের থেকে ছাড়ে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে এবং ঢাকায় গিয়ে পৌঁছায় রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে।
টেনে যাতায়াত করে অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যায় এবং বর্তমান সময়ে ট্রেন লাইন বা রেলের মাধ্যম অনেক বেশি জনপ্রিয়। ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্কতার সাথে যাতায়াত করা উচিত। অনেক সময় দেখা যায় যে ট্রেন বিভিন্ন কারণে লেট করতে পারে। তাই এই ট্রেনের লেট করাটা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে। তবে ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অবশ্যই যে সময়ে ট্রেন ছাড়ে সেই সময়ের কিছুটা আগে রেলস্টেশনে গিয়ে পৌঁছানো উচিত। তা নাহলে তাড়াহুড়া বাঁধতে পারে। আর তাছাড়া অনেক সময় ট্রেন লেট করতে পারে। ট্রেন লেট করলে কিছু আসলে করার থাকে না। তাই তখন ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করতে হবে।
এজন্য আপনার যদি খুবই জরুরী কোনো কাজ থেকে থাকে তাহলে রেল লাইন ব্যবহার না করে অন্য মাধ্যমে যাওয়ায় ভালো হবে। কারণ অনেক সময় ট্রেন লেট করলে আপনার জরুরী কাজটি মিস হয়ে যেতে পারে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে ট্রেনে ভ্রমণ করা উচিত এবং এক জায়গা থেকে অন্য স্থানে যাওয়া উচিত। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। আর আপনি যদি যশোর থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় যেতে চান, তাহলে উপরের উল্লেখিত সময়সূচি অনুযায়ী আপনি ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন। আর যশোর থেকে ঢাকা যাতায়াতের জন্য সাধারণত এই তিনটি ট্রেন রয়েছে এবং সময়সূচি উল্লেখ করা হয়েছে। তাই আপনি জেনে যাবেন এবং ট্রেনের সময়সূচী অনুযায়ী আপনি ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন।