সকল হিন্দু ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক ভালবাসা ও শুভেচ্ছা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছবি প্রত্যেকে হিন্দুধর্মের মানুষদের হৃদয়ে রয়েছে। হিন্দু ধর্ম প্রকাশ পায় শ্রীকৃষ্ণের উপলব্ধিতে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হল আমাদের সবার প্রভু। তার আপার লীলাখেলা এবং অলৌকিক কর্মকাণ্ডের জন্যই কিন্তু তিনি হিন্দুদের মনে বিশাল জায়গা করে আছেন।
তোমরা যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির ছবিগুলো পেতে চাও তারা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে পেয়ে যাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নানান সুন্দর সুন্দর ছবি। এই আর্টিকেলটি মূলত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ওপর তৈরি করা হয়েছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছবি সহ কিছু অজানা তথ্য আমরা তোমাদের সাথে শেয়ার করব। তাই প্রথমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছবি দেখে মন শান্ত করার পর আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য জেনে নেব।
তাহলে প্রথমেই আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছবিগুলো দেখব।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছবি চোখ দিয়ে দেখলেও পুন্নী হয়। ঘরের দেওয়ালে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছবি রাখলে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছবি মোবাইল ফোনের ওয়ালপেপার থেকে শুরু করে প্রোফাইল পিকচারও পর্যন্ত আমরা করে থাকি। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপরোক্ত ছবিগুলো খুবই সুন্দর এবং আমাদের হিন্দু ভাই-বোনরা এই ছবিগুলো নিশ্চয়ই ডাউনলোড করে নিজের ফোনে সেভ করে রাখবে।
আমাদের জীবনকে সুখ, সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ করে তোলার নানা উপায় বর্ণিত আছে জ্যোতিষ শাস্ত্রে। তেমনই বাস্তু শাস্ত্রও জাতকের জীবন ও ঘর-পরিবারকে সুখ, শান্তিতে পূর্ণ করার নানান উপায় জানিয়ে থাকে। এই উপায়গুলি সঠিক ভাবে পালন করতে পারলে ব্যক্তি সুখী জীবন যাপন করতে পারে। বাস্তুতে বর্ণিত এমনই একটি উপায়ের সঙ্গে কৃষ্ণ জড়িত। বাস্তু শাস্ত্র মেনে বাড়িতে কৃষ্ণের ছবি রাখলে বাস্তুদোষ-সহ নানান সমস্যার সমাধান হয়। বাস্তু মতে বাড়িতে কৃষ্ণের ভিন্ন ভিন্ন মুদ্রার ছবি বা প্রতিমা রাখলে ব্যক্তির মনোস্কামনা পূর্ণ হয়। কৃষ্ণের এই ছবিগুলি জীবনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে।
এবার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আমরা জানবো।ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথিকে কেন্দ্র করেই শুভ জন্মাষ্টমী পালন করা হয়। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন মন্দিরে পূজা অর্চনা, তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন ও তারকব্রহ্ম নামযজ্ঞেরও আয়োজন করা হয়। ঘরে ঘরে ভক্তরা উপবাস থেকে জন্মাষ্টমীতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা ও পূজা, গীতাযজ্ঞ, জন্মাষ্টমী মিছিল, কৃষ্ণপূজা, পদাবলি কীর্তন করে থাকেন।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগে এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন। অধর্মের বিনাশ এবং সত্যের পালন করতেই তিনি আবির্ভূত হন। তার আবির্ভাবের জন্যই মানবজাতি সুষ্ঠুভাবে জীবন যাপন করতে পেরেছে।ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল পূর্ণ অবতার রূপে। পূর্ণ অবতার বলতে ভগবান বিষ্ণুর প্রত্যক্ষ উপস্থিতিকে নির্দেশ করে এবং ঈশ্বরের শক্তি ও গুণাবলি প্রদর্শন করাকে বোঝানো হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর, ভগবান, গোবিন্দ, পরমেশ্বর প্রভৃতি নামে অভিহিত করে।
শ্রীকৃষ্ণের প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক সাহিত্যে। ঋদ্বেদে একাধিকবার শ্রীকৃষ্ণের উল্লেখ আছে। শ্রীকৃষ্ণকে দেবকীপুত্র বলা হয়। মহাভারত, বিভিন্ন পুরাণ, শ্রীমদ্ভাগবত এবং বৈষ্ণবকাব্যে যে কৃষ্ণের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে, তাঁর আবির্ভাব দ্বাপর যুগে।ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পিতার নাম বসুদেব ও মাতার নাম দেবকী। তিনি পিতামাতার অষ্টম পুত্র। রাজা উগ্রসেনের পুত্র কংসের কারাগারে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হন।
পিতা বসুদেব শ্রীকৃষ্ণের জীবন বিপন্ন জেনে জন্মরাত্রেই দৈবসহায়তায় কারাগার থেকে তাঁকে গোকুলে যশোদা ও নন্দের কাছে রেখে আসেন। শ্রীকৃষ্ণের জন্মের রাত ছিল গভীর অন্ধকার। তাঁর আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে বসুদেব দেখলেন শিশুটি চার হাতে শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম ধারণ করে আছেন। দেখে তিনি বুঝতে পারলেন জগতের মঙ্গলার্থে পূর্ণবৃক্ষ নারায়ণ তাদের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন। বসুদেব করজোড়ে প্রণাম ও বন্দনার পর দেবকী প্রার্থনা করলেন।
শ্রীকৃষ্ণ একজন সাধারণ শিশুর রূপ ধারণ করলেন। বাল্যকাল থেকেই কৃষ্ণ তাঁর অলৌকিক শক্তির প্রমাণ দিয়েছিলেন পুতনাবধ, দামবন্ধন লীলা, কলীয়দমন, গোর্বধন ধারণ প্রভৃতি কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। নিপীড়িত মানুষ মুক্তির আশায় কানুর তথা কৃষ্ণের অনুসারী হয়ে ওঠে এবং ক্রমান্বয়ে কংসবধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। অবশেষে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কংস রাজাকে বধ করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হিন্দু ধর্মের প্রধান। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম, রাম রাম হরে হরে।