ওয়েলকাম বন্ধুগণ। গণিতের আর ও একটি টপিক নিয়ে চলে এসেছি আপনাদের সামনে। আজকের আলোচ্য বিষয় হলো প্রাথমিক গণিতের একটি অতি সহজ টপিক। প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণি, চতুর্থ শ্রেণী এবং পঞ্চম শ্রেণী তে এই ধরনের গণিত থাকে। যেগুলোর সমাধান করতে হয়। আপনি কি আপনার বাচ্চার জন্য গণিতের সমাধান করছেন তাহলে আজকে আমরা গণনার এই অংক গুলি আপনার সামনে একদম পানির মত পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেব। তাহলে চলুন গণিতের এই সমস্যার সমাধান করে দেওয়া যাক।
আজকে আমরা একদম সহজ ভাষায় কথা বলব। গণিত এমন একটি জিনিস যেটা সহজ ভাষায় নিজের মতো করে বুঝতে পারলে অনেক সুবিধা। গণিত দেখে ভয় পেলে চলবে না গণিতকে আপন করে নিজের ভাষায় বুঝে নিতে হবে। এখানে প্রশ্ন করা হয়েছে ,৮৫ দশকের সংখ্যাটি কত হবে?
এরকম বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে যেমন এখানে দশকের সংখ্যা তৈরি করতে বলেছে। অনেক প্রশ্ন এমনও থাকতে পারে ,৮৫ শতকের একটি সংখ্যা তৈরি কর। আপনি যদি দশকের এই অংকটির সমাধান বুঝতে পারেন তাহলে শতকের অংকটিও খুব সহজে করে ফেলতে পারবেন। তাহলে চলুন আজকে এই প্রশ্নের সমাধান করে দেওয়া যাক।
১/ ৮৫ দশকের একটি সংখ্যা তৈরি কর?
উত্তর:- দশক অর্থাৎ ১০।
দশটা দশকে হয় ১০০।
১০ গুন ১০=১০০
এবার দশটা দশে যদি একশ হয় তাহলে ৮০ টা ১০ এ কত টি সংখ্যা হবে।
এখানে দেওয়া আছে ৮৫।
অর্থাৎ, ৮০+৫ = ৮৫।
তাহলে প্রথমে আসিকে দশকে পরিণত করি।
আশিটা ১০ সমান = ৮০০
পাঁচটা দশ সমান= ৫০
এবার 800 এবং 50 কে যোগ করে পায় ৮৫০।
তাহলে উত্তর হবে, ৮৫ দশকের সংখ্যাটি ৮৫০।
এভাবে পাটিগণিতে খুব সহজে যে কোন সংখ্যার গণনা করা যায়। তৃতীয় শ্রেণীতে এই সকল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হয়। পাটিগণিতের একটি শাখা হলো এই গণনা অংক গুলো। পাটিগণিত হচ্ছে গণিতের অন্যতম প্রাচীন একটি শাখা যা সংখ্যা সম্পর্কিত জ্ঞান নিয়ে, বিশেষকরে সংখ্যার যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, সূচকীকরণ ও মূল নির্ণয়ের প্রথাগত গাণিতিক প্রক্রিয়াসমূহের গুণাবলীর সাথে জড়িত জ্ঞানের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে।
এটি গণিতের সেই শাখা যেখানে গণনা সংক্রান্ত হিসাব-নিকাশ যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ও অন্যান্য গাণিতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরাসরি সম্পাদন করা হয়। পাটিগণিত হলো সংখ্যাতত্ত্বের একটি মৌলিক অংশ, আর বীজগণিত, জ্যামিতি ও বিশ্লেষণী গণিতের সাথে সংখ্যাতত্ত্বকেও আধুনিক গণিতের শীর্ষ-পর্যায়ের শাখাগুলোর একটি গণ্য করা হয়। বিংশ শতাব্দীর শুরুর আগ পর্যন্ত arithmetic (পাটিগণিত) এবং higher arithmetic (উচ্চতর পাটিগণিত) পরিভাষা দুটি সংখ্যাতত্ত্ব-এর প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এমনকি অদ্যাবধি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংখ্যাতত্ত্বের একটি বিস্তৃত অংশকে বোঝাতে এই পরিভাষা দুটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এরকম বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন হতে পারে । যেমন,,
১/ ৪৯ দশকের সংখ্যা তৈরি কর?
২/ ৪৯ শতকের সংখ্যা তৈরি করো?
৩/ ৪৯০০ এর মধ্যে কতটি শতক রয়েছে?
৪/ ৫০০০ এর মধ্যে কতটি দশক রয়েছে?
৫/ ৮৫ শতকের একটি সংখ্যা লিখে দেখাও?
৬/ ৪৭ টা শতক একত্রিত হয়ে কোন সংখ্যাটি তৈরি হয়?
এরকম বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন হতে পারে কিন্তু সকল প্রশ্নের উত্তর একই নিয়মে বের করা যাবে। উপরের উদাহরণটি যদি আপনি ভালো করে বুঝতে পারেন তাহলে এরকম যে কোন অংকের সমাধান আপনি খুব সহজে করে ফেলতে পারবেন।
এরকম সকল প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ পদ্ধতিতে বের করা যায়। উপরে উদাহরণস্বরূপ আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি অতি সহজ পদ্ধতিতে কিভাবে এই সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়।
আশা করি উক্ত গাণিতিক সমস্যার সমাধান আপনারা পেয়ে গেছেন। যদি মনোযোগ দিয়ে একটু বোঝার চেষ্টা করেন তাহলে এই সম্পর্কিত যাবতীয় গাণিতিক সমস্যা আপনার কাছে একদম সহজ হয়ে যাবে। ছাত্র-ছাত্রী বন্ধু এবং তাদের অভিভাবক উভয়ে আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে পাটিগণিতের এই শাখার অংক গুলো খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারবে। আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।