লাইব্রেরি অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনারা হয়তো লাইব্রেরী অনুচ্ছেদটি খুঁজে থাকেন অনলাইনে এসে। আমরা আজকে আর্টিকেলে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব লাইব্রেরী অনুচ্ছেদ সম্পর্কে এছাড়া আপনারা পরীক্ষার খাতায় কিভাবে লাইব্রেরী অনুচ্ছেদ টি লিখবেন সে বিষয়ে আপনাদের বিস্তারিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক অনুচ্ছেদটি,

লাইব্রেরী শব্দটির সাথে আমরা ছোট থেকেই সবাই পরিচিত, স্কুল-কলেজে আমরা ছোট থেকে লাইব্রেরী দেখে আসছি। আগের যুগে বাড়ি বাড়ি বা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ঘরে লাইব্রেরী অনেক কিছু করতো। সময়ের সাথে,সাথে এই লাইব্রেরী এখন হারিয়ে গেছে। শিক্ষা ও সভ্যতা ঠিকমতো গড়ে তুলতে হলে আমাদের অবশ্যই গ্রন্থগার বা লাইব্রেরীর প্রয়োজন রয়েছে। লাইব্রেরী বা গ্রন্থগার একটি জাতির সভ্যতা কে গড়ে তুলতে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে।

আপনার স্কুল কলেজ বা মেয়ের বাড়িতে আপনি যদি একটি লাইব্রেরী করে তুলতে পারেন তাহলে আপনার, স্ত্রী,সন্তান, নাতি-নাত্নিরা সেই লাইব্রেরী থেকে অনেক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। আপনি এই লাইব্রেরীতে অনেক বই সংরক্ষণ করতে পারেন যে বইগুলো হতে পারে বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকদের এছাড়াও এই বইগুলো হতে পারে বিভিন্ন ভাল কাজের অনুপ্রেরণা। লাইব্রেরীর মাধ্যমে আপনি অনেক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন গবেষণা করতে পারবেন ছাত্র শিক্ষক বসে অনেক কিছু আলাপ আলোচনা করতে পারবেন এই লাইব্রেরীর মাধ্যমে তাই প্রত্যেকটা স্কুল কলেজ বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরী প্রয়োজন রয়েছে।

গ্রন্থাগারের ইতিহাসও সুপ্রাচীন। আড়াই হাজার বছরেরও আগে অ্যাসিরিয়ার রাজা আশুর বানিপাল মৃৎফলকের গ্রন্থাগার নির্মাণ করেছিলেন। প্রাচীনকালের সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থাগার হলো আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগার। সাধারণ পাঠাগার প্রথম গড়ে ওঠে রোমে। মুসলিম বিশ্বে কর্দোভা, দামেস্ক ও বাগদাদেও বেশকিছু গ্রন্থাগার ছিল। পৃথিবীর বড়ো গ্রন্থাগারের মধ্যে রয়েছে প্যারিস শহরের বিবলিওথেক ন্যাশনাল, লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়াম লাইব্রেরি, আমেরিকায় ওয়াশিংটন শহরের লাইব্রেরি অব দি কংগ্রেস ও সোভিয়েত রাশিয়ার মস্কোর লেনিন স্টেট লাইব্রেরি

লাইব্রেরীতে আপনি বিভিন্ন বই আপনার সংগ্রহে রাখতে পারেন, বিশ্ব বিখ্যাত কবিদের এই বইগুলো পড়লে আপনি অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন এছাড়াও পাঠকদের রুচির উপর চাহিদা করে আপনি বিভিন্ন গ্রন্থ আপনার লাইব্রেরীতে রাখতে পারেন। এখন অনেক দেশে বিভিন্ন শহরে দেখা যাচ্ছে ব্যক্তিগতভাবে বা রাষ্ট্রীয়ভাবে অনেক গ্রন্থগার উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। কারণ লাইব্রেরীতে যদি মানুষ দিয়ে থাকে তাহলে তারা ভালো কাজে তাদের মনোনিবেশ ঘটাতে পারবে।

এছাড়াও অনেক পাঠকগণ রয়েছেন যারা মাসিক চাঁদা দেয়ার মাধ্যমে সদস্য হয়ে থাকে এবং সেই চাঁদা দেয়ার মাধ্যমে তারা একটি নাম্বার পেয়ে থাকে। এছাড়াও লাইব্রেরীতে আমরা আমাদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে যে বইগুলো আছে সেই বইগুলো পড়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের এই জেনারেশনের ছেলেমেয়েদের আমাদের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে পারি। তাই চেষ্টা করবেন লাইব্রেরির সদস্য কে নিয়মিত বই পাঠে উদ্বুদ্ধ করার জন্য। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের যে অধঃপতন শুরু হয়েছে এই অধঃপতন থেকে মানুষকে টেনে তুলতে হলে অবশ্যই লাইব্রেরীর প্রয়োজন আছে সেই সাথে ভালো কিছু বই যদি মানুষ পড়ে থাকে তাহলে সামনে ভালো কিছু করা সম্ভব।

বই ছাড়া একটি জাতিকে তার মনুষ্যত্ব তৈরি করে দেয়া অসম্ভব, একটি জাতিকে উন্নত করতে হলে শিক্ষিত করতে হলে সংস্কৃতি মানা করতে হলে অবশ্যই গ্রন্থাগারের প্রয়োজন রয়েছে তাই আপনার আশেপাশে যেখানে আপনারা জায়গা পাবেন অবশ্যই একটি গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরীর করে তুলবেন। দেশ এর সংস্কৃতির ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে অবশ্যই লাইব্রেরীর প্রয়োজন আছে তাই আপনারা চেষ্টা করবেন রাষ্ট্রীয়ভাবে হোক বা বেসরকারিভাবে হোক লাইব্রেরী গড়ে তোলার।

Leave a Comment