বাচ্চাদের পেট ফাঁপার ঔষধ

আমাদের সবার পরিচিত একটি রোগ হলো পেট ফাঁপা।ছোট বড় সবার খাদ্য ফোনের কারণে গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে, বেশ কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো খেলে আমাদের গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে, যেই খাবারগুলোতে carbohhayate বেশি রযেছে, সেই খাবার গুলো খেলে হজম হতে অনেক সময় লাগে, এই ভাবে চলতে থাকলে আমাদের, এবং ছোট বাচ্চাদের পেট ফাঁপা  সমস্যা হয়ে থাকে।অনেক সময় আমাদের পেট ফাঁপার সাথে সাথে পেট অতিরিক্ত ব্যথা করে।

বড়দের পেট ব্যথা করলে সেটা স্বাভাবিক বিষয় বলে আমরা মনে করি। কিন্তু এই পেট ভাপাটা যদি ছোটদের হয় তাহলে বিষয়টি অনেক জটিল হয়ে পড়ে। ছোট বাচ্চাদের এই সমস্যা হয় বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে।বাচ্চাকে মায়ের দুধ খায়ানোর সময় সঠিক নিয়মে খাওয়াতে হবে তা না হলে বাচ্চার বাতাস ঢোকে গ্যাস সৃষ্টি হবে।

৬ মাস বয়স পর শিশুদের মায়ের বুকের দুধ এর পাশাপাশি অন্যান্য কথা হবে। শাকসবজি মাছ-মাংস ফল ও ডিম বাচ্চাদের খাওয়ানো শুরু করতে হবে ছয় মাস আবার পর থেকে। এইসব খাবার খাওয়ানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত খাবার বাচ্চাকে না খাওয়ানো হয় তা না হলে তার এর ফাঁপা সমস্যা দেখা দিতে পারে।আপনারা চাইলে বাচ্চাকে খিচুড়ি অথবা ডালের পরিমাণ কম দিয়ে কাঁচা কলা কাঁচা পেঁপের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারেন নরম শাক-সবজি নরম জুস করে খাওয়াতে পারেন এতে বাচ্চাদের খাবারের সুবিধা হবে এবং তারা খুব সহজে এটি হজম করে ফেলতে পারবে।

 শিশুর পেটে গ্যাস আছে কিভাবে বুঝবেন

বাচ্চাদের পেটে যখন গ্যাস সৃষ্টি হয় বা পেট ফুলে থাকে তখন বেশ কিছু উপসর্গ দেখে আমরা বুঝতে পারবো যে তার পেটে গ্যাস বা পেট ফাঁপা সমস্যা হয়েছে এ বিষয়গুলো আপনাদের জেনে রাখতে হবে আমরা এই বিষয়গুলো এখন আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।

  • ঢেকুর দিলে
  • অস্থিরতা দেখা দিলে
  • তার পেট ফোলা থাকলে
  • শিশু কান্না করতে থাকলে
  • বায়ু ত্যাগ করলে
  • তলপেট শক্ত হয়ে থাকলে
  • শিশু তার দুই পা উপরের দিকে তুলে রাখলে

শিশুর পেটে গ্যাস হওয়ার আরো কারণ

একটি শিশুর পেটে গ্যাস হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে কখনো মায়ের দুধের মাধ্যমে বাচ্চার পেটে গ্যাস সৃষ্টি হয় কখনো আবার বাজার থেকে কেনা দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে বাচ্চার পেটে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে আরো বেশ কিছু কারণ আছে যে কারণগুলোর মাধ্যমে বাচ্চার পেটে বাতাস ঢুকে গেছে সৃষ্টি হতে পারে, তাই সব সময় সাবধান থাকতে হবে এবং তাদের থেকে খেয়াল রাখতে হবে কোনভাবে যেন তাদের শরীরে গ্যাস সৃষ্টি না হয়।

১) বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের স্তন বা দুধের বোতল ঠিক আছে কিনা সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং বাচ্চা ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা তার পেটে যাচ্ছে কিনা এগুলো অবশ্যই নজর রাখতে হবে।

২) অনেক সময় আমরা দেখতে পাই শিশু অনেক কান্না করে কিন্তু অনেক মা আছে যারা বুঝতে পারে না কেন কান্না করছে। শিশু বেশি কান্না করলে তার মুখ দিয়ে বাতাস ঢুকে তার পেটে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে তাই সব সময় বাচ্চাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।

৩) শিশুর মাঝে খাবার খাবে সেই খাবারগুলোতে যদি গ্যাস থাকে তাহলে সেই গ্যাস শিশুর পেটেও তৈরি হবে তাই সব সময় খেয়াল রাখতে হবে গ্যাস মুক্ত খাবার খাওয়া যায় কিভাবে।

৪) খুব বেশি দুধ পান না করানোই ভালো এতে করে শিশুর পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমা হয়ে যেতে পারে।

৫) এছাড়াও কিছু শিশুর হরমোন জনিত কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গুলো খাওয়ার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে!

প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া

পেট ফাঁপা যদি খুব বেশিদিন হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শিশুকে ওষুধ খাওয়াতে হবে, বেশ কিছু প্রচলিত ওষুধ রয়েছে যেই ওষুধগুলো খাওয়ালে আপনারা আপনাদের বাচ্চার পেট ফাঁপা সমস্যা দূর করতে পারবেন। এই সময় বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে পেট পেতে যেতে পারে পায়খানার সাথে রক্ত বের হতে পারে। শিশু যদি বেশি অস্থির হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই, সে যদি সব সময় কান্না করতে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার ওষুধ দেওয়া উচিত।

 

 

 

 

 

 

Leave a Comment