মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ

গৃহপালিত পাখি হিসেবে মুরগি আমাদের দেশে আদিকাল থেকেই পরিবারের একটি অংশ। মুরগি আমিষের একটি বড় উৎস এবং মানুষের উৎস আর বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বাণিজ্যিকভাবে যারা মুরগি পালন করেন তাদের জন্য থাকছে আজকের একটি বিশেষ প্রতিবেদন। আজকের এই প্রতিবেদন থেকে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব মুরগির বিভিন্ন ধরনের রোগের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা এবং যদি এখানে মুরগির ঝিমানো রোগ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সেটা দূর করার উপায় কি হতে পারে। মুরগি খুবই লাজুক এক ধরনের পাখি যেখানে তাদের অল্প সমস্যা তে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং যার মধ্যে একটি বেশি সমস্যা হচ্ছে ঝিমানোর সমস্যা।

যদি আপনি দেখেন আপনার খামার এর কোন একটি মুরগি আছে তাহলে সবার প্রথমে যে সিদ্ধান্ত আপনাকে গ্রহন করতে হবে সেটা হচ্ছে সেই মুরগীকে সবার প্রথমে সবার থেকে আলাদা করে রাখতে হবে। এরকম আরো খেয়াল রাখতে হবে অন্য মুরগির মধ্যে এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে কেন যদি না হয় তাহলে অবশ্যই সেটা ভালো দিক যদি অন্য মুরগীর মধ্যেও এ সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দ্রুত আপনাকে কিছু চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে সবার প্রথমে মুরগিগুলোকে আলাদা করে রাখার সব থেকে ভালো উপায়।

মুরগির বাচ্চার ঝিমানোর সমস্যা দূর করার যে উপায়গুলো রয়েছে সে উপায়গুলো সম্পর্কে আমরা আপনাদের জানাবো তবে একটা বিষয় সম্পর্কে আপনাদের আগে জানানো উচিত সেটা হচ্ছে আপনি যে খামারি করেন না কেন বাচ্চা গুলোতে সঠিক পরিমাণে টিকা দিয়ে নিতে হবে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে জানা যায় যে গ্রামবার ও ভাইরাসজনিত একটি ছোঁয়াচে রোগ এবং এর কারণে যে মানুষ সম্ভাবনা বেশি থাকে।

দেশি মুরগির ঝিমানো ও চুনা পায়খানা রোগের চিকিৎসা

মুরগির যে রোগের কথা আমরা উল্লেখ করেছি সে রোগের একটি সঠিক চিকিৎসা দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরী তার কারণ হচ্ছে যারা বাণিজ্যিকভাবে মুরগি পালন করছেন তাদের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। একটা মুরগি থেকে আস্তে আস্তে এই এক রাতের সংখ্যা বেশি হতে পারে তাই বাচ্চাদের শুরুতেই দুই সপ্তাহের মধ্যে সকল ধরনের টিকা সম্পূর্ণ করতে হবে। মুরগি দেশি হোক বা বিদেশি হোক আপনি ঠিকা গুলো সঠিকভাবে দিলেই আপনি খুব ভালো একটি উপকার পাবেন।

এরপরে সাধারণত মুরগির বাচ্চার বয়স যখন 10 থেকে 15 দিন হয় তারপর থেকে মুরগি সুস্থ হতে শুরু করে কিন্তু এখানে যদি দেখা যায় যে মুরগির ঝিমানোর মতন সমস্যা আছে তাহলে এই সময় এমক্সিসিলিন অথবা মক্সিসিলিন অথবা কলেজটিন গ্রুপের এন্টিবায়োটিক খাওয়াতে হবে। এখানে মুরগির খাবারের ভাগের ক্ষেত্রে সাধারণত এখানে ওজনের উপর নির্ভর করবে এবং এটা আপনাকে নিকটস্থ পশু হাসপাতাল থেকে সঠিক আপনি জেনে নিতে হবে।

এছাড়াও ফুসিড ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এখানে একটি ট্যাবলেট ২ লিটার পানির সঙ্গে মিশে একদিন খাওয়াতে হবে। সবকিছু করার মধ্যে অবশ্যই স্যালাইন খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে অর্থাৎ স্যালাইন খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না। আর খেয়াল রাখতে হবে যেন খাবারের মধ্যে আদ্রতা সঠিক পরিমাণ বজায় থাকে এক্ষেত্রে তাপমাত্রা যেন বেশিও না হয় এবং তাপমাত্রা যেন খুব কমও না হয়।

বড় মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ এর নাম

সাধারণত বড় মুরগিদের যখন সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে আপনারা যেই ওষুধের মাধ্যমে তার সমাধান করতে পারেন তার একটি ছোট্ট তালিকা আমাদের কাছে আছে এই ওষুধগুলোর ব্যবহার অবশ্যই আপনারা করবেন। এমোক্সিসিলিনা অথবা মক্সিসিলিন এর সঙ্গে ফ্লুসিড ট্যাবলেটের ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এর সঙ্গে স্যালাইনের ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এই ওষুধের সঠিক পরিমাপ এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের কাছে আপনাকে যেতে হবে যিনি পশু চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত অবশ্যই তিনি আপনাকে সঠিক পরামর্শ দেবেন।

 

 

Leave a Comment