ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন কারণে মুখে ঘা হয়ে থাকে এ ঘা এর পিছনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কারণ। বাচ্চারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের খাবার খাওয়ার কারণে তাদের মুখের ঘা এর সমস্যা হতে পারে এবং পুষ্টি জনিত কারণেও মুখের ঘা হয়ে থাকে। নানা ধরনের ভিটামিনের অভাবে মুখের ঘা হয়ে থাকে অনেকের। এছাড়া বাচ্চারা অনেক সময় অনেক জিনিস হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে কিন্তু তারা খাবার খাওয়ার সময় ঠিকমতো হাত না ধরার কারণে তাদের বিভিন্ন রকমের জীবাণু মুখে ঢুকে আক্রমণ করে এর কারণে ও বাচ্চাদের মুখে ঘা হতে পারে। ছোট বাচ্চারা বেশিরভাগ সময় মুখের আলসার সমস্যায় ভুগে থাকে।
আমরা জানি বেশ কিছু কারণে বাচ্চার মুখে ঘা হতে পারে। যেমন বাচ্চা পড়ে গিয়ে আঘাত পেতে পারে, বাচ্চার মুখে ভিটামিন অথবা খনিজ পদার্থের অভাব থাকলে তার মুখে ঘা হয়। বেশ কিছু পরামর্শ এবং নিয়ম-কানুন মেনে চললে এর চিকিৎসা বাড়িতেই করা যায়। চলুন শুরু করা যাক কিভাবে আপনারা ঘরোয়া উপায়ে বাচ্চাদের মুখের ঘা এর চিকিৎসা করতে পারবেন।
১. বাচ্চাদের মুখের ঘা এর প্রধান ওষুধ হল মধু, মধু জীবাণু নাশক হিসেবে কাজ করে থাকে এবং এটি অনেক নিরাপদ খাদ্য তাই এটি আপনারা বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন!
২. বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে আপনারা বাচ্চাকে কাঁচা হলুদ বেটে খাওয়াতে পারেন অথবা যেখানে ঘা হয়েছে সেখানে লাগিয়ে দিতে পারেন। কাঁচা হলুদের রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল এবং ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করার মত ক্ষমতা, এছাড়াও কাঁচা হলুদ ব্যবহারের ফলে যে কোন ক্ষত খুব তাড়াতাড়ি ভালো করা যায়।
৩. আপনারা নারকেল এবং দুধ দিয়ে ব্যথা ও জালানো ভাব কমাতে পারেন মুখের ঘা এর। নারিকেল তেল ব্যবহারের মুখের ঘায়ের সমস্যা দূর হয়।
৪. বাচ্চাদের মুখের ঘা কমানোর জন্য দই অনেক প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। দয়ে থাকে লেক্টিক অ্যাসিড যা মুখের ঘা বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
৫. তুলসী পাতা সম্পর্কে এবং এর গুনাগুন সম্পর্কে সবাই কম বেশি জানেন। তুলসী পাতা অনেক ধরনের অসুখের ওষুধ তাই সবার বাড়িতে অবশ্যই তুলসী পাতা গাছ থাকা উচিত। তুলসী পাতার রস করে ঘা হয়েছে ওই জায়গায় দিলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। যেই বাচ্চাদের দুই থেকে পাঁচ বছর বয়স সেই বাচ্চাদের আপনারা তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিতে পারেন এতে করে তাদের মুখের ঘা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে।
৬. শিশুর মুখে যদি মাঝেমধ্যে এরকম ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়ে ওষুধ খাওয়াতে হবে এর পাশাপাশি আপনারা আমাদের দেখানো পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন।
৭. বাচ্চাদের মুখের ঘা সারাতে ঘি অনেক উপকারী, ঘি ব্যবহারের ফলে বাচ্চার ঘা খুব দ্রুত কমে যেতে পারে এর বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। তাই আপনারা যে কোন খাবার খাওয়ার সময় ঘি দিয়ে খাবার খেতে পারেন।
৮. এলোভেরা জেল পানিতে মিশিয়ে রেখে আপনারা এটা নিয়মিত ব্যবহার করে আপনাদের বাচ্চাদের মুখের ঘা কমাতে পারেন। সেই সাথে সাথে আপনারা চিকিৎসকের চিকিৎসা নিবেন।
আমরা উপরিক্ত পোস্টে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি আপনারা কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে বাচ্চাদের মুখের ঘা ভালো করবেন। আমাদের দেখানো পদ্ধতিতে শুধু যে বাচ্চাদের মুখের ঘা ভালো হবে তা নয় বড়দেরও মুখের ঘা ভালো করার এই উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনারা আপনাদের মুখের গায়ের সমস্যা দূর করতে পারেন। বাচ্চার মুখের ঘা যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে আপনারা অবশ্যই আপনার নিকটস্থ চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়ে বাচ্চার মুখে ঘা ভালো করবেন। এটা মনে রাখবেন কোন অসুখী ফেলাফেলা করে বেশি করে ফেলা যাবে না তাই সময় এবং টাকা পয়সা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসা করবেন।