দাঁতের মাড়িতে ঘা এর ঔষধ

দাঁতের মাড়িতে ঘা একটি একটি গরু তর শারীরিক সমস্যা। মৌখিক স্বাস্থ্য যাকে ডাক্তারের ভাষায় বলা হয় ওরাল হেলথ। আমাদের ওরাল হেলথ এর ওপর যত্নশীল হতে হবে। দাঁতের মাড়ি ব্যথা থেকে দাঁতের বাড়িতে ঘা হয়ে যেতে পারে।যারা দাঁতের মাড়ির ঘা এর সমস্যায় ভুগছেন তারা নিশ্চয়ই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান। আপনার বাড়িতে যদি ঘা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে দন্ত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।দাঁতের মাড়ির ঘা অনেকদিন স্থায়ী থাকলে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগের রোগ নিতে পারে। তাই সময় থাকতে সঠিক তথ্য জেনে সচেতন হয়ে যান।দাঁতের মাড়ির জন্য অনেক ওষুধ রয়েছে যেগুলো সেবনের, মাধ্যমে আপনি এই সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।আজকে এই আর্টিকেলটিতে আমরা উল্লেখ করব যে দাঁতের মাড়ির জন্য কোন ঔষধটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর। তাই মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল । আশা করছি, আমাদের এই তথ্য কণিকা থেকে আপনি নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন।

দাঁতের মাড়িতে ঘা কেন হয়?কি কি কারনে তাদের মাটিতে ঘা হয় সেগুলো আমাদের জানা প্রয়োজন।

মুখের ভেতর বা জিভে ঘা সব সময় যে দাঁত ও মাড়ির কারণে হয় তা নয়, এটি হতে পারে দেহের অন্যান্য নানা সমস্যায়ও। ডায়াবেটিস, গর্ভাবস্থা, ছত্রাক সংক্রমণ থেকে শুরু করে ভিটামিনের অভাব বা মানসিক চাপও হতে পারে মুখে ঘায়ের গুরুত্বপূর্ণ কারণ।মাড়িতে তীব্র প্রদাহ, মাড়ি ফোলা বা পুঁজ জমা, মাড়ি থেকে দাঁত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এবং সামান্য আঘাতে রক্ত বের হয়ে আসা—এসব উপসর্গ থাকলে তাকে আমরা পেরিওডন্টাল ডিজিজ বা মাড়ির রোগ বলে থাকি। মুখের সুস্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখা, দন্তমল, জিনজিভাইটিস বা মাড়ির প্রদাহ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ইত্যাদি কারণে এই মাড়ির রোগ বেশি হয়। মূল রোগটি প্রতিরোধ না করলে তাই মুখে ঘায়ের চিকিৎসা সম্পূর্ণ হয় না।

যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমন ডায়াবেটিস, ক্যানসার, দীর্ঘমেয়াদি রোগ, বিভিন্ন ওষুধ বিশেষ করে স্টেরয়েড, কেমোথেরাপি ইত্যাদি কারণে মুখে ক্যানডিডা নামের ছত্রাক বংশ বৃদ্ধি করে ও এর ফলে মুখে ঘা হয়। হাঁপানির রোগী স্টেরয়েড ইনহেলার ব্যবহার করে মুখ না ধুয়ে ফেললেও ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে। এর ফলে রোগী খেতে গেলে জিভ জ্বালা করে, জিভে সাদা আস্তরণ পড়ে। ছত্রাক প্রতিরোধী মলম ও ওষুধ হলো এই সমস্যার চিকিৎসা।
ভিটামিন বি স্বল্পতা, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, মুখের অস্বাস্থ্যকর অবস্থা, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি এই এপথাস আলসারের কারণ। বেশ বেদনাদায়ক একটি সমস্যা এটি।

ক্ষয়ে যাওয়া দাঁতের ধারালো অংশ ক্রমাগতভাবে যদি জিভে বা গালের মাংসে ঘষা খায়, তবে ওই স্থানে ঘা হতে পারে।মুখের ক্যানসার মুখের ঘা হতে পারে মুখের ক্যানসারের একটি উপসর্গ। বিশেষ করে ধূমপায়ী বা যাদের জর্দা, তামাক, গুল ইত্যাদি ব্যবহারের অভ্যাস আছে, তাদের বারবার বা দীর্ঘদিন ধরে মুখে ঘা হলে অবশ্যই সচেতন হোন।অনেকের দাঁতে আঘাত লাগলেও সেখান থেকেও ঘা হতে পারে।

আঘাত লাগা থেকে যদি ঘা হয়ে থাকে তাহলে সেই ধোয়া খুব তাড়াতাড়ি সেরে যায়। কিন্তু পুষ্টির অভাবজনিত ঘা হলে তাড়াতাড়ি ভালো হয় না। এজন্য পুষ্টিকর খাবার এবং ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেতে হবে। যাদের দাঁতে ঘা হয়েছে তাদের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি গ্রহণ করতে হবে। ভিটামিন সি এর সবচাইতে বড় উৎস হলো টক জাতীয় ফল। অর্থাৎ লেবু এবং কমলালেবু তে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। তাই যারা দাঁতের ঘা এর সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি জাতীয় ফল গ্রহণ করেন, তাহলে মুখের ঘা খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

দাঁতের মাড়িতে ঘা হলে সেটা প্রথমে ছোট আকারে থাকে। দাঁতের মাড়ির ঘা প্রাথমিক অবস্থাতেই যদি পর্যাপ্ত ঔষধ সেবন করা হয়, তাহলে কিন্তু এটা গুরুতর রূপ নিতে পারবে না। তাই আমাদের আর্টিকেল থেকে পর্যাপ্ত তথ্য গ্রহণ করে নির্দিষ্ট ঔষধ সেবন করুন।দাঁতের বাড়িতে গা জনিত সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

Leave a Comment