আমার প্রিয় শিক্ষক অনুচ্ছেদ রচনা

আমাদের জীবনে প্রত্যেকটা শিক্ষকের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিটা শিক্ষক চেষ্টা করেন শ্রেণীকক্ষে এসে শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজেদের সর্বোচ্চটা প্রদান করার যাতে শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকটা টপিক বুঝতে পারে। তবে শিক্ষক হিসেবে আমাদের জীবনে এমন কোন ব্যক্তিত্ব থেকে থাকেন যাদেরকে আমাদের আপনা আপনি ভালো লাগে। এটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকের ক্ষেত্রে একই রকম ব্যাপার গুলো কাজ করে।

তাছাড়া আপনাকে যখন নির্দিষ্ট একজন শিক্ষক সম্পর্কে লিখতে বলা হবে তখন অবশ্যই আপনি প্রিয় শিক্ষক সম্পর্কে লিখবেন। তাই প্রতিটা শিক্ষক আমাদের জীবনে পথ চলার আদর্শ হিসেবে ভেবে থাকলেও অনেক সময় প্রিয় শিক্ষকের জায়গায় নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নাম চলে আসে। আর প্রিয় শিক্ষক সম্পর্কে যখন আমাদেরকে রচনা লিখতে বলা হয় তখন একজন নির্দিষ্ট শিক্ষকের নাম নিয়ে তার গুণাবলী সম্পর্কে আমরা বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে পারি।

শিক্ষক হলো গুরুজনের মতো এবং তারা তাদের বাস্তবিক জীবনের অভিজ্ঞতা এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমাদেরকে কোন কোন টপিক বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে এটা সত্যি যে আমাদের এখানে অনেক শিক্ষক রয়েছেন যারা কোন টপিক বোঝানোর ক্ষেত্রে সরাসরি পাঠ্য বই ব্যবহার করেন এবং উদাহরণ কম টানেন। তবে যে সকল শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে এসে পাঠ্য বই থেকে পড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন মজাদার গল্প অথবা টপিক রিলেটেড গল্প করে থাকেন তাদের কে আমরা প্রিয় শিক্ষক হিসেবে বিবেচনা করে থাকি।

তাই আমাদেরকে যখন প্রিয় শিক্ষক সম্পর্কে রচনা লিখতে বলা হবে তখন এমন একজন মানুষকে বেছে নিতে হবে যে মানুষটা আসলেই আমাদের কাছে প্রিয় অথবা যে মানুষটার কাছে আমরা আসলেই বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে পারি। শ্রেণিকক্ষে প্রত্যেককে শিক্ষক ক্লাস নিয়ে থাকলেও অনেক শিক্ষার্থীর মনে কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো মনে হয় এই শিক্ষকের ক্লাস যত দ্রুত শেষ হবে ততই ভালো হবে।

আবার কিছু কিছু শিক্ষক রয়েছে যারা একটি ক্লাসের পিরিয়ডের সময় যদি আরো একটি ক্লাস অতিরিক্ত নিয়ে থাকেন তাহলে খুব ভালো লাগে। তবে যাই হোক প্রিয় শিক্ষক সম্পর্কে যখন আমরা রচনা লিখব তখন অবশ্যই তার নাম থেকে শুরু করে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়গুলো অবশ্যই উল্লেখ করব। তারপরে তিনি ব্যক্তিগত জীবনে কেমন ধরনের জীবন যাপন করেন সেগুলো জেনে নিয়ে লেখার চেষ্টা করব।

তাছাড়া তিনি যখন শ্রেণীকক্ষে ক্লাস নেন তখন কিভাবে ক্লাস নেন অথবা শিক্ষার্থীদের প্রতি তার মনোভাব কেমন এ বিষয়গুলো অবশ্যই উল্লেখ করার প্রয়োজন রয়েছে। তাছাড়া দুর্বল শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি কেমন আচরণ করেন এবং যারা অ্যাডভান্স লেভেলের শিক্ষার্থী তাদের ক্ষেত্রে কিভাবে পড়ানোর বিষয়ে ক্লাস নিয়ে থাকেন তা যদি আলোচনা করা যায় তাহলে একজন শিক্ষকের অবশ্যই গুণাবলী গুলো প্রকাশ পাবে।

তাই প্রিয় শিক্ষক হিসেবে তিনি যে শুধু দেখতে সুন্দর হবে অথবা শ্রেণিকক্ষে যে শুধু টপিক অনুযায়ী ভালোমতো পড়াবেন বিষয়টা এমন নয়। মানুষ হিসেবে তিনি কেমন চরিত্রের অথবা ক্লাস বহির্ভূত আচরণের ক্ষেত্রে তিনি একজন শিক্ষার্থীর প্রতি কেমন আচরণ করে থাকেন সেগুলো উল্লেখযোগ্য একটা বিষয়। তবে প্রিয় শিক্ষকের বর্ণনা দিতে গিয়ে অন্যান্য শিক্ষকদের কখনোই বঞ্চিত করা যাবে না অথবা অন্যান্য শিক্ষকদের দিকে ওইভাবে কথা বলা যাবে না।

আমার প্রিয় শিক্ষক

বিষয়ঃ অনুচ্ছেদ
শ্রেণিঃ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১

মানবজীবন খুবই সংক্ষিপ্ত। সংক্ষিপ্ত জীবনে চলার পথে নানা মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয়। মানুষের সংস্পর্শেই মানুষ অনেক কিছু শেখে। অসংখ্য মানুষের ভেতর থেকে যিনি আমাকে সবেচেয়ে বেশি শিখিয়েছেন তিনি হচ্ছেন আমার প্রিয় শিক্ষক – বুলবুল চৌধুরী। তিনি তােলারাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষক। তাঁর পাঠদান আমাদের মনের মাঝে গেঁথে যেত। অন্যান্য শিক্ষকদের চেয়ে তার পাঠদানের কৌশল ছিল ভিন্ন এবং আকর্ষণীয়। গল্পের ভঙ্গিতে তাঁর পড়ানাের ভঙ্গিটা ক্রমে ক্রমে আমার মনটাকে জয় করে নিত। তাই তিনি হয়ে উঠলেন আমার সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষক। তার আদর্শ চরিত্র, কথা বলার ভঙ্গি, শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং হৃদয়ের উষ্ণতা আমাকে দারুণভাবে মুগ্ধ করতাে। বুলবুল চৌধুরী ছিলেন মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী। সাধারণ মানুষের মাঝে শিক্ষাদানের মাধ্যমে সত্যিকারের মানুষ হিসাবে সচেতন করে তােলাই ছিল তার একমাত্র ব্রত। তিনি ছিলেন একজন সৎ ও পরিশ্রমীলােক। 
 
ছাত্র-ছাত্রীদের কোনাে সমস্যায়ই তিনি বিরক্তবােধ না করে বরং যত্নসহকারে জটিল বিষয়সমূহ বুঝিয়ে দিতেন। বুলবুল চৌধুরী শুধু একজন আদর্শ শিক্ষকই নন, তিনি একজন সাহিত্যিকও। তাঁর শিক্ষাদান পদ্ধতি ছিল বিজ্ঞানসম্মত। বুলবুল চৌধুরী আমার একজন অকৃত্রিম বন্ধু, উপদেষ্টা ও আমার জীবন গড়ার কারিগর। তিনি নিজের ব্যক্তিত্বকে বিন্দু পরিমাণ ক্ষুন্ন করেননি। সত্য, সুন্দর ও মঙ্গলের প্রকাশ ঘটে তাঁর চরিত্রে। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে যিনি আলাের সন্ধান দিচ্ছেন তার সামনে অন্ধকার মাথা নত করবেই। বুলবুল স্যার আমার শিক্ষাজীবনের অপরিসীম প্রেরণার উৎস।

 

কারণ আমাদের জীবনে প্রত্যেকটা শিক্ষক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রত্যেকটা শিক্ষকের অবদানেই একজন শিক্ষার্থী ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারে। এই শিক্ষক সংক্রান্ত তথ্যগুলো আলোচনা করার ক্ষেত্রে প্রিয় শিক্ষকের পূর্বে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে আপনাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটা শিক্ষক অত্যন্ত ভদ্র এবং শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে অভিজ্ঞ। তারপরও কিছু কিছু ব্যাপারের দিক থেকে আপনার কাছে প্রিয় শিক্ষক হিসেবে তিনি কেন প্রিয় এ বিষয়গুলো উল্লেখ করলে আশা করি কোন শিক্ষক আপনাদের নাম্বার কম দিতে পারবে না। তাই এখানে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমার প্রিয় শিক্ষক বিষয়ের রচনা প্রদান করা হলো যা আপনাদের জন্য পরীক্ষায় ভালো নম্বর অর্জন করাতে পারবে।

Leave a Comment