হঠাৎ করেই কেউ যদি এটা বুঝতে পারে যে প্রতিদিন এর যে খাবার পরিমান সেই খাবার পরিমাণের কম কোনো শিশু খাচ্ছে বা দেখা যাচ্ছে যে শিশু খাওয়ার প্রতি অনীহা প্রকাশ করছে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত তার রুচির ব্যাপারে। সাধারণত রুচি এমন একটি জিনিস যেটা শুধুমাত্র একটি কারণে হয় না সেটা হওয়ার পেছনে বিশেষ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ কখনোই রুচি হীনতায় ভুগবে না অবশ্যই তার শরীরের মধ্যে এমন কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বা তার মানসিক কিছু পরিবর্তন হচ্ছে যার কারণে কোনো খাবারের প্রতি তার অনীহা সৃষ্টি হচ্ছে।
সেই জিনিসটা নির্ণয় করার জন্য সবথেকে উত্তম পন্থা হলো একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে এই বিষয়ে পরামর্শ করা। তবে আমরা আপনাদের প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব যে তথ্যের আলোকে আপনারা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারবেন যদি মুখে রুচি হারিয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে কি কি পরিবর্তন করলে সেই রুচি আবার ফিরে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে এবং কোন কোন দিকটা খেয়াল করলে আপনারা বুঝতে পারবেন রুচি হারিয়ে যাওয়ার কারণ কি এবং সেটা থেকে মুক্তি পাওয়ার কারণ কি।
যদি কারো রুচি হারিয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে সাধারণত কিছু কিছু চিকিৎসা করা রুচি বাড়ানোর জন্য সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খাওয়ার সাজেস্ট করেন।এর পাশাপাশি এমন কিছু ঔষধ খেতে বলেন যে ওষুধগুলো খেলে খাবারের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। চলুন আজকের এই প্রতিবেদন থেকে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।
কোন ভিটামিন খেলে রুচি বাড়ে
সাধারণত যেই ভিটামিন গুলো খেলে রুচি বাড়ে তার মধ্যে বেশিরভাগ ভিটামিন হচ্ছে মাল্টিভিটামিন। এখানে কোন ধরনের ভিটামিন আপনি ব্যবহার করবেন সেটা আপনার চিকিৎসক নির্ধারণ করে দেবে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের মাল্টিভিটামিনের ব্যবহার এখানে করা যেতে পারে এটা ট্যাবলেট ফরম্যাটে হতে পারে বা ক্যাপসুল ফরমেটে হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে সিরাপ ফরমেটে ওষুধ খাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও আলাদাভাবে কেউ ভিটামিন বি অথবা বি কমপ্লেক্সের ব্যবহার করতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি এর ব্যবহারও হতে পারে। তবে এই ভিটামিনের নিয়মিত খাওয়ার ফলে অবশ্যই শরীরে কিছু পরিবর্তন হবে যার কারণে খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে এবং সেখান থেকে মুখের রুচি বাড়ার প্রবণতা সৃষ্টি হবে।
হামদর্দ এর রুচির ঔষধ
সাধারণত কেউ যদি খেয়াল করে হঠাৎ করেই তার রুচি কমে যাচ্ছে সেই ক্ষেত্রে সে নির্ভরশীল হতে পারে হামদার্দ এর রুচির ঔষধের ওপর। এ ধরনের রোগীদের যে ফিডব্যাগ সেই ফিডব্যাক-এর আলোকে বলতে হচ্ছে যে অবশ্যই এই ঔষধ অত্যন্ত কার্যকরী একটি ওষুধ এবং চাইলে আপনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই ঔষধ নিয়মিত সেবন করতে পারেন এবং অবশ্যই এর সঠিক নিয়ম আপনাকে মেনে এটা সেবন করতে হবে।
আমি যতটুকু জানতে পেরেছি যারা সাধারণ নিয়ম মেনে এই ঔষধ সেবন করেন তারা ভাল উপকার পান। কিন্তু যারা নিজের খামখেয়ালিপনা করে ওষুধ সেবন করেন কোন ধরনের চিকিৎসক এর পরামর্শ নেন না তাদের অবশ্যই এই ঔষধ খুব একটা উপকার দিতে পারে না।
মুখে রুচি বাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
সাধারণত যারা রুচিহীনতায় ভুগছেন তাদের জন্য ঘরোয়া কিছু টোটকা আছে যেগুলো খেতেও অনেক সুস্বাদু এবং নিয়মিত খেলে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে রুচি বেড়ে যায় এবং এরপর থেকে মনে হয় যে পৃথিবীর সবকিছুই আপনাকে দিলে খেতে ভালো লাগবে এবং আপনি সেটা খাবেন।
রুচি বাড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে টক খাওয়া লাগবে এবং টক এর সঙ্গে প্রচুর ঝাল মিশ্রণ করে এটা খাওয়া যেতে পারে। রুচি বাড়াতে কাঁচা আমলকি বা শুকনো আমলকির গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে এর সঙ্গে আদা কুচি বা আদার রস গরম পানি বা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে পুদিনা পাতা, এলাচগুড়া ও চিনি দিয়ে খেতে পারেন এটা অবশ্যই অত্যন্ত কার্য করে একটি টোটকা।