একজন মানুষের মনে কি রয়েছে বা তার কি ধরনের চাওয়া রয়েছে তা বুঝতে পারে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। সৃষ্টিকর্তাকে না বললেও তিনি মানুষের অন্তর্যামী হওয়ার কারণে মানুষের ভিতরের সব বিষয় বুঝতে পারেন, অনুধাবন করতে পারেন। কোনো ব্যক্তি যদি তাদের মন থেকে কোনো কিছু চাই তাহলে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার কাছে চাইতে হবে এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে নামাজের মাধ্যমে। যদি কোনো ব্যক্তি কোনো কিছু সৃষ্টিকর্তার ইবাদতের মাধ্যমে কোনো বিষয় চায়, তাহলে সে বিষয়টি যদি সৃষ্টি কর্তা মনে করেন যে উক্ত ব্যক্তির জন্য মঙ্গল বা কল্যাণকর তাহলে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা তাকে সেই জিনিসটি দিবেন।
প্রত্যেকটা বান্দার উচিত মন থেকে কোন কিছু চাইলে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার মাধ্যমে সে জিনিসটা চাওয়া। সৃষ্টিকর্তার কাছে সেই জিনিসটির জন্য প্রার্থনা করা। তবে কোন জিনিস যদি যাওয়ার পরে সৃষ্টি কর্তা তাকে না দেয় তাহলে বুঝে নিতে হবে যে সেই জিনিসটা অবশ্যই ওই বান্দার জন্য মঙ্গলজনক ছিল না। কেননা কোন বিষয়ে যদি কোন জিনিস বান্দার জন্য মঙ্গলময় হয়ে থাকে এবং সে আল্লাহর কাছে চাই তাহলে অবশ্যই তাকে সেই জিনিসটি দান করেন। আর অনেক চাওয়ার পরেও যদি সেই জিনিসটা না পাওয়া যায় তাহলে ধরে নিতে হবে যে অবশ্যই সে জিনিসটি ওই ব্যক্তির জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। আর মানবজাতিকে হেদায়েতের জন্য সমস্ত দিকনির্দেশনা তিনি ইসলামের বিভিন্ন গ্রন্থের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। কোনো ব্যক্তি যদি ইসলামিক বিভিন্ন গ্রন্থ পড়েন, তাহলে সে তার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
মানুষের মনের আশা পূরণের একমাত্র মালিক হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা। তাই সৃষ্টিকর্তাই মানুষের মনের আশা পূরণ করতে পারে। এজন্য নামাজ পড়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে মন থেকে ভালো জিনিস গুলো চাইতে হবে। যে জিনিসটি প্রয়োজন সেই জিনিসটি পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে। মনের আশা পূরণের জন্য নামাজ পড়ার অনেক বেশি প্রয়োজন রয়েছে বা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য অবশ্যই নামাজ আদায় করতে হবে। কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নামাজ আদায় করে এবং আল্লাহর কাছে তার মনের কোনো ইচ্ছা জানায় বা ইচ্ছা পূরণের কথা জানায় তাহলে আল্লাহ ওই বান্দার মনের ইচ্ছা পূরণ করেন।
বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য কোন নামাজ পড়তে হয় কি না বা কি নামাজ পড়তে হয় বা নামাজ পড়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চেষ্টা করে। আবার অনেকে দেখা যায় যে মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য কি নামাজ পড়তে হবে বা কি ধরনের নামাজ আদায় করতে হবে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে চায়। আপনিও কি মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য কি নামাজ পড়তে হবে তা জানতে চাচ্ছেন? মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য কোনো নামাজ পড়ার প্রয়োজন আছে কিনা সে সম্পর্কে তথ্য অর্জন করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি এ বিষয়ে জেনে নিতে পারবেন।
প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। এছাড়াও কোনো মুসলমান ব্যক্তি যদি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে এবং সে নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি খুশি হয়। তাছাড়া তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার পর যে কোন কিছু যদি মন থেকে চাওয়া যায় তাহলে আল্লাহ সেই বান্দার মনের ইচ্ছা পূরণ করেন।
আপনি যদি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে মন থেকে কোন কিছু চান এবং সেটা যদি আপনার জন্য মঙ্গলময় হয় তাহলে আল্লাহ আপনাকে সেই জিনিসটি দিবেন। এজন্য আপনি মনের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য বা মনের আশা পূরণ করার জন্য তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার পর আল্লাহর কাছে মন থেকে সেই জিনিসটি চাইতে পারেন।