কান্না নিয়ে উক্তি

আপনি কি কান্না নিয়ে উক্তি পড়তে চান অথবা দেখতে চান? তাহলে কান্না নিয়ে যে সকল শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উক্তি বলে গিয়েছেন সেগুলোই আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। অর্থাৎ এখান থেকে আপনারা কান্নার উক্তি পেয়ে যাবেন এবং এই উক্তিগুলো পড়লে কান্না বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বুঝতে পারবেন। সাধারণত একটা মানুষ যখন কাঁদে তখন অনেক দুঃখ কষ্টে কাঁদে এবং এই ক্ষেত্রে যদি কেউ কান্না থামানোর জন্য বলে তাহলে অবশ্যই কিছু অনুপ্রেরণামূলক বাণীর প্রয়োজন হয়।

সাধারণত একটা মানুষ যখন মনের দিক থেকে অনেক কষ্ট পায় তখন তার চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে অথবা যার ভেতরে আবেগের নিয়ন্ত্রণ কম তারা অনেক কাঁদতে পারে। দুঃখ কষ্টের জায়গা থেকে আপনার অন্তর ভেঙে যদি চোখ দিয়ে পানি পড়ে তাহলে সেই পানি পড়াকে রোধ করবেন না। কারণ চোখের পানি পড়ার মধ্য দিয়ে আপনার মনের ভেতরের যাবতীয় দুঃখ কষ্ট গুলো ধুয়ে মুছে যাচ্ছে এবং এর মাধ্যমে আপনার বুক হালকা হতে শুরু করবে। তাই কেউ যদি নীরবে কাঁদতে চায় তাহলে তাকে কাঁদতে হবে এবং এই কাঁদার মাধ্যমে তার মনের ভেতরে অনেকটাই প্রশান্তি চলে আসবে।

কিন্তু কোন একটা বিষয় নিয়ে আপনার যদি হাউমাউ করে কাঁদতে ইচ্ছা করে এবং বারবার কাঁদতে ইচ্ছা করে তাহলে এই কান্নাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ আপনি যখন কাঁদবেন এবং সেটা যখন অন্য কেউ দেখবে তখন আপনার দুর্বলতার জায়গা গুলো চিনে ফেলবে এবং সেই ব্যক্তিও ভবিষ্যতে আপনাকে হয়তো এ বিষয়ে কথা শোনাতে পারে। তাই বর্তমান সময়ে আমরা মানুষ চিনে এবং মানুষ বুঝে যদি চলাফেরা করতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে আমাদের ক্ষতি খুব কম হচ্ছে অথবা কেউ আমাদের ক্ষতি করার সাহস করতে পারছে না।

তাই আপনারা যারা কান্নাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না অথবা যে কান্না আপনার শরীর খারাপের কারণ হচ্ছে সে সকল বিষয় থেকে নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা কান্না নিয়ে উক্তিগুলো পড়ে দেখতে পারেন। তাই কান্না না করে যদি নিজের ভেতরের সেই দুঃখ কষ্ট গুলোকে সাহসে ও শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারেন তাহলে দেখবেন যে আপনি অনেকটাই শক্তিশালী মানুষে পরিণত হচ্ছেন। অর্থাৎ বাইরের কেউ এসে আপনাকে যে মনের দিক থেকে কষ্ট দিয়ে যাবে তা আপনি হতে দিতে পারবেন না এবং আপনার সেই পূর্ব অভিজ্ঞতা আপনাকে নতুন কিছু শেখাবে।

তাই বর্তমান পৃথিবীতে আমরা যদি কাউকে বিশ্বাস করি এবং সেখান থেকে ঠকে যায় তাহলে বুঝবো যে এই বিশ্বাস আমাদের ঠিকঠাক থাকলেও তারা আসলে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাই সকল ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং ধৈর্য ধারণ করার কোন বিকল্প নেই। নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনার সাময়িক যে দুঃখ কষ্টের বিষয়গুলো চলছে অথবা মন খারাপের বিষয়গুলো চলছে সেগুলোর জন্য সাহায্য চাইতে হবে।

তাই বিভিন্ন মনিষী কান্না বিষয়ে যে বিষয়গুলো আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন অথবা তাদের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের সামনে যে শিক্ষাগুলো দিয়ে গেছেন সেগুলো যদি মানতে চাই তাহলে উক্তি পড়তে হবে। আর যদি আপনারা উক্তি পড়েন তাহলে দেখবেন যে সেটা আপনার ভেতরে অনেকটাই পরিবর্তন এনে দিয়েছে অথবা সেখানকার সামান্য কিছু কথা আপনার ভেতরে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিতে পারছে। তাই বর্তমান সময়ে আমরা সকল ক্ষেত্রে সঠিকতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করে চলবো যাতে করে কেউ আমাদের ক্ষতি করতে না পারে।

১. সে ব্যাক্তি দোযখে প্রবেশ করবে না, যে আল্লাহ্‌র ভয়ে কাঁদে ।
— তিরমিযী

২. যখন কেউ কান্না করছে তখন অবশ্যই সবচেয়ে মহৎ কাজ হলো তাকে সান্ত্বনা দেয়া।
— লেমোনি স্নিকেট

* কান্নার মাঝেও সুখ থাকে, হাসির মাঝেও দুঃখ থাকে ।
—- হাবিবুর রাহমান সোহেল

৩. এমন কারো জন্য কেদো না যে তোমার জন্য কাদবে না।
— লওরেন কনরাড

৪. আমাদের কখনোই আমাদের কান্নার অশ্রু নিয়ে লজ্জা পাবার কিছু নেই।
— চার্লস ডিকেন্স

৫. কান্নার জন্য ক্ষমা চেয়ো না। কেননা অনুভূতি ছাড়া আমরা কিন্তু যান্ত্রিক রোবট।
— এলিজাবেথ গিলবার্ট

৬. যারা কাদে না তারা কষ্ট দেখেও না।
— ভিক্টর হুগো

৭. আমার সবচেয়ে বড় বন্ধু হচ্ছে আয়না কারণ যখন আমি কাদি সেও।আমার সাথেই কাদে।
— চার্লি চ্যাপলিন

৮. কান্নার অশ্রু হলো সেই সকল অব্যক্ত শব্দ যা লিখে রাখা উচিত।
— পাওলো কোয়েলহো

৯. আমি বৃষ্টিতে কাদতে ভালোবাসি কেননা তখন সবাই আকাশের কান্না দেখে আমাকে কেউ দেখতে পায় না।
— সংগৃহীত

১০. কান্না হলো তোমার হৃদয়ের অব্যক্ত কথা যা ঠোট বলতে পারে না।
— প্রবাদ

১১. মানুষ দুর্বল বলে কান্না করেনা বরং তারা অনেকদিন ধরে শক্তিশালী ছিল বলে এমনটা করে।
— জনি ডেপ

 

১২. কান্না করো, কান্না করে হৃদয়ের সব দুঃখ কষ্ট ধুয়ে ফেলো।
— সংগৃহীত

১৩. যে মানুষটা কান্না করে সেই আদর করতে জানে।
— পিকচার কোটস

১৪. হৃদয়ের প্রশান্তির জন্য কান্না সর্বোত্তক হাতিয়ার।
— বিল ফারগুসন

১৫. যে কান্নায় শব্দ থাকে না তার কষ্টই সবচেয়ে বেশি।
— আমরিন রাশীদ

তাই আপনারা এখন থেকে সাবধান হয়ে উঠুন এবং আপনারা প্রত্যেকটা বিষয়ে বাস্তবতার আলোকে ভাবতে পারলে দেখা যাবে যে কান্নার এই সিচুয়েশন আপনার লাইফে তৈরি হবে না। আর যদি কান্না এসেও থাকে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন এবং সকল ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করুন। কারণ প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে বিপর্যয় নামক জিনিসটা আসে এবং এই বিষয়ের মধ্য দিয়ে একটা মানুষ নিজেকে শক্তিশালী মানুষের পরিণত করতে পারে।

Leave a Comment