রবীন্দ্রনাথের গানের ক্যাপশন

বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই অনেক বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্যাপশন ব্যবহার করি। আর এই ক্যাপশন ব্যবহার করার সময় আমরা অনেকে সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের ক্যাপশন দিতে চাই। তবে এই রবীন্দ্রনাথের গানের ক্যাপশন দেয়ার সময় আমরা অনেকে বুঝতে পারি না আসলে কি ধরনের ক্যাপশন দিলে ভালো লাগবে। যেহেতু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক বিখ্যাত গান রয়েছে। আমরা যখন এই গান গুলো ক্যাপশন হিসেবে ব্যবহার করি তখন অনেকেই এই ক্যাপশন গুলো ভীষণ পছন্দ করে এবং লাইক কমেন্ট করে।

তাই আপনি কি রবীন্দ্রনাথের গানের ক্যাপশন দিবেন বলে চিন্তা ভাবনা করছেন। তবে কি ক্যাপশন দিবেন তা বুঝতে পারছেন না তাই অনলাইনের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করছেন রবীন্দ্রনাথের গানের ক্যাপশন। তবে আমরা আপনাদের সহযোগিতার জন্য আমাদের এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কিছু গানের ক্যাপশন দিয়ে দিব। এই গানের ক্যাপশন গুলো দেখে নিয়ে আপনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান নিয়ে সুন্দর একটি ক্যাপশন দিতে পারবেন। তাই আপনারা যারা এই ক্যাপশন গুলো দেখে নিতে চান আমাদের আলোচনার সাথে থাকুন তাহলে আপনি মনের মত কিছু ক্যাপশন পেয়ে যাবেন।

আপনারা যখনই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান নিয়ে ক্যাপশন দিবেন শুধু ক্যাপশন দিলে হবে না আসলে সে ক্যাপশন কতটুকু সুন্দর হচ্ছে সে বিষয়টি মাথায় রেখে ক্যাপশন দিতে হবে। অনেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান নিয়ে অনেক ধরনের ক্যাপশন দেয়। তবে এই ক্যাপশন গুলো খুব একটা ভালো না হয় অনেকেই সেই ক্যাপশনের কারণে লাইক কমেন্ট করে না।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ছোট্ট জীবনে অনেক ধরনের গান লিখেছে। আর সেই গান থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর ক্যাপশন তৈরি করা যাবে। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান নিয়ে ক্যাপশন দিতে হলে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রেখে ক্যাপশন দিতে হবে।

রবীন্দ্রনাথের গানের ক্যাপশন

বিখ্যাত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে যতই বলা হয় ততই কম বলে মনে হয়। কারণ বাংলা সাহিত্যে এমন কোন জায়গা নাই যেখানে তার অবদান নাই। আর সেই ধারাবাহিকতায় বাংলা সাহিত্যের গানের ক্ষেত্রে এই কবির অসাধারণ অবদান রয়েছে। আর বর্তমান যুগের অনেক ছেলে-মেয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের ছবির সঙ্গে ক্যাপশন ব্যবহার করে। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের কিছু ক্যাপশন আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেব যে ক্যাপশন গুলো আপনি আপনার ছবির সঙ্গে ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন দেরি না করে ক্যাপশন গুলো দেখে নেয়া যাক

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এমন কিছু গান রয়েছে যে গান গুলো ছোট থেকে বড় আমরা সকলে অনেক বেশি খুব বেশি পছন্দ করি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের সংখ্যা অনেক বেশি তবে সব গানই যে সুন্দর তা কিন্তু নাই তবে এমন কিছু গান রয়েছে যে গানগুলো মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রায় দুই হাজারের মতো গান রয়েছে। তবে এতগুলো গানের মধ্যে আপনারা যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ব্যবহার করে ক্যাপশন দিতে চান। তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে আসলে কোন গানগুলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচাইতে জনপ্রিয় গান।

আপনারা যারা রবীন্দ্রনাথের গানের ক্যাপশন দিতে চান তবে কি ধরনের ক্যাপশন দিবেন বুঝতে পারছেন না আর রবীন্দ্রনাথের গানের ক্যাপশন খুঁজতে আপনারা যারা আমাদের এখানে এসেছেন আমি আপনাদেরকে বলবো আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আমরা আপনাদের জন্য আমাদের এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান এর কিছু সুন্দর সুন্দর ক্যাপশন দিয়ে দিব। আপনারা যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের ক্যাপশন গুলো খুঁজছেন এই ক্যাপশন গুলো দেখে আপনি সুন্দর ক্যাপশন ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তার আগে ক্যাপশন গুলো এখান থেকে দেখে নিন।

1. “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর আপন প্রাঙ্গণতলে দিবস শর্বরীব সুধারে রাখে নাই খন্ড ক্ষুদ্র করি।

2. “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।

 3. “অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তবে ঘৃণা তারে যেস তৃণসম দহে।

 4. “যথার্থ অধিকার থেকে মানুষ নিজের দোষে ভ্রষ্ট হয়।

5. “নিজের গুণহীনতার বিষয়ে অনভিজ্ঞ এমন নির্গুণ শতকরা নিরেনব্বই জন, কিন্তু নিজের গুণ একেবারে জানে না এমন গুণী কোথায়

 6. “কাব্যরস আস্বাদনে পাঠকদের অত্যন্ত বেশি যত্নে পথ দেখিয়ে চলা স্বাস্থ্যকর নহে। নিজে নিজে সন্ধান করা ও আবিষ্কার করা সত্যকার আনন্দ।

7. “সীমা আছে এ কথা যেমন নিশ্চিত, অসীম আছেন এ কথা তেমনি সত্য। আমরা উভয়কে যখন বিচ্ছিন্ন করিয়া দেখি তখনি আমরা মায়ার ফাঁদে পড়ি। তখনি আমরা এমন একটা ভুল করিয়া বসি যে, আপনার সীমাকে লঙ্ঘন করিলেই বুঝি আমরা অসীমকে পাইব – যেন আত্মহত্যা করিলেই অমরজীবন পাওয়া যায়। যেন আমি না হইয়া আর-কিছু হইলেই আমি ধন্য হইব। কিন্তু, আমি হওয়াও যা আর-কিছু হওয়া যে তাহাই, সে কথা মনে থাকে না। আমার এই আমির মধ্যে যদি ব্যর্থতা থাকে তবে অন্য কোনো আমিত্ব লাভ করিয়া তাহা হইতে নিষ্কৃতি পাইব না। আমার ঘটের মধ্যে ছিদ্র থাকাতে যদি জল বাহির হইয়া যায়, তবে সে জলের দোষ নহে। দুধ ঢালিলেও সেই দশা হইবে, এবং মধু ঢালিলেও তথৈবচ

8. “বসন্তকালের ঝড়ে যখন রাশি রাশি আমের বোল ঝরিয়া পড়ে তখন সে বোলগুলি কেবলই মাটি হয়, তাহা হইতে গাছ বাহির হইবার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। তেমনি দেখা গেছে, সংসারে উপদেশের বোল অজস্র বৃষ্টি হয় বটে, কিন্তু অনেক স্থলেই তাহা হইতে অঙ্কুর বাহির হয় না, সমস্ত মাটি হইতে থাকে।”

9. “নবসৃষ্টির যত দোষ যত ত্রুটিই থাকুক-না কেন, মুক্তি কেবল ঐ কাঁটাপথেই। বাঁধা সড়ক গোলাপদলের পাপড়ি দিয়ে মোড়া হলেও সে পথ আমাদের পৌঁছিয়ে দেবে শেষটায় চোরা গলিতেই। 

10. “যখন তুমি সত্য কথা বলবার জন্য নিন্দা কর না, কেবল নিন্দা করবার জন্য সত্য কথা বল, তখন তোমার সে সত্য কথা নীতির বাজারে মিথ্যা কথার সমান দরেই প্রায় বিক্রি হবে।

11. “যুক্তির একটা ব্যাকরণ আছে, অভিধান আছে, কিন্তু আমাদের রুচির অর্থাৎ সৌন্দর্যজ্ঞানের আজ পর্য্যন্ত একটা ব্যাকরণ তৈয়ারি হইল না। তাহার প্রধান কারণ, সে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে নির্ভয়ে বাস করিয়া থাকে – এবং সে দেশে “কেন” – আদালতের ওয়ারেন্ট জারি হইতে পারে না।

12. “মানুষ যে কেবল নিজের মধ্যে আছে তা নয়, সকলে তাকে যা জানে সে জানার মধ্যেও সে অনেকখানি আছে। … তাই ‘আপনাকে জানো’ এই কথাটা শেষ কথা নয়, ‘আপনাকে জানাও’ এটাও খুব বড়ো কথা।” মা

13. “চিরকাল কোন্‌ জিনসটা থাকবে না – থাকবে তা কেউ বলতে পারে না এবং আমিও সে সমন্ধে কোনোরকম তর্কবিতর্ক করতে চাই নে – নিজের মনের ভিতরে যখন একটা সফলতার আনন্দ অনুভব করা যায় সেইটেই লেখকের পক্ষে যথার্ত অমরতা। 

14. “সামনে একটা পাথর পড়লে যে লোক ঘুরে না গিয়ে সেটা ডিঙ্গিয়ে পথ সংক্ষেপ করতে চায় – বিলম্ব তারই অদৃষ্টে আছে।

15. “তোমার পতাকা যারে দাও তারে বহিবারে দাও শকতি।

16. “আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না।

17. “অপর ব্যাক্তির কোলে পিঠে চড়িয়া অগ্রসর হওয়ার কোন মাহাত্ম্য নাই – কারণ চলিবার শক্তিলাভই যথার্থ লাভ, অগ্রসর হওয়া মাত্র লাভ নহে।

18. “নিজের অজ্ঞতা সম্বন্ধে অজ্ঞানতার মতো অজ্ঞান আর তো কিছু নাই।

19. “মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা আর সমস্তই তার অধীন।

20. “…যতটুকু অত্যাবশ্যক কেবল তাহারই মধ্যে কারারুদ্ধ হইয়া থাকা মানবজীবনের ধর্ম নহে। আমরা কিয়ৎপরিমাণে আবশ্যক-শৃঙ্খলে বদ্ধ হইয়া থাকি এবং কিয়ৎপরিমাণে স্বাধীন। আমাদের দেহ সাড়ে তিন হাতের মধ্যে বদ্ধ, কিন্তু তাই বলিয়া ঠিক সেই সাড়ে তিন হাত পরিমাণ গৃহ নির্মাণ করিলে চলে না, স্বাধীন চলাফেরার জন্য অনেকখানি স্থান রাখা আবশ্যক, নতুবা আমাদের স্বাস্থ্য এবং আনন্দের ব্যাঘাত হয়। শিক্ষা সম্বন্ধেও এই কথা খাটে। যতটুকু কেবলমাত্র শিক্ষা, অর্থাৎ অত্যাবশ্যক, তাহারই মধ্যে শিশুদিগকে একান্ত নিবদ্ধ রাখিলে কখনোই তাহাদের মন যথেষ্ট পরিমাণে বাড়িতে পারে না। অত্যাবশক শিক্ষার সহিত স্বাধীন পাঠ না মিশাইলে ছেলে ভালো করিয়া মানুষ হইতে পারে না – বয়ঃপ্রাপ্ত হইলেও বুদ্ধিবৃত্তি সম্বন্ধে সে অনেকটা বালক থাকিয়াই যায়।…”

আমাদের মধ্যে অনেকেই রবীন্দ্রনাথের কবিতার ক্যাপশনের পাশাপাশি অনেকেই গানের ক্যাপশন ব্যবহার করছে। তবে যারা রবীন্দ্রনাথের গানের ক্যাপশন দেবেন বলে ভাবছেন তারা অনেকে বুঝতে পারে না কি ধরনের ক্যাপশন দিবেন। তাই আমরা তাদের জন্য আমাদের এখানে রবীন্দ্রনাথের গানের কিছু ক্যাপশন দিয়ে দিলাম। আপনারা এই ক্যাপশন গুলো আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারলে রবীন্দ্রনাথ এর গানের সুন্দর ক্যাপশন যখন তখন দিতে পারবেন। তাই দেরি না করে এই ক্যাপশন গুলো এখান থেকে দেখে নিন।

Leave a Comment