পড়া মনে রাখার ঔষধ

আজকে আমরা সেই প্রবন্ধ নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করতে যাচ্ছি সেই প্রবন্ধটি প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আমরা আমাদের প্রবন্ধের মধ্যে পড়া মনে রাখার ঔষধ এবং পড়া মনে রাখার সহজ বেশ কিছু উপায় নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। আপনারা যদি আমাদের সাথে থাকেন এবং আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আমাদের আজকের এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনারা পড়া মনে রাখার সহজ বেশ কিছু উপায় আপনারা জেনে নিতে পারবেন। যে সকল উপায় গুলো আপনাদের ভবিষ্যৎ জীবনে অনেক বেশি কাজে আসবে। ভবিষ্যৎ জীবনে আপনারা এই উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনাদের শিক্ষা জীবন আরো সুন্দর এবং সাবলীল করে গড়ে তুলতে পারবেন। সে জন্য আপনাদের যেটা করতে হবে সেটা হল আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

যারা প্রতিনিয়ত আমাদের প্রবন্ধ পড়ে তারা জানেন যে আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করে থাকি। আর আজকেও ধারাবাহিকতা নতুন বেশ কিছু তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে। সেই জন্য অনুরোধ থাকবে আপনারা অবশ্যই আমাদের আজকের এ প্রবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিবেন। যাতে করে আমরা যখনই আপনাদের সামনে নতুন নতুন প্রবন্ধ উপস্থাপন করব তখন যাতে সহজেই আপনারা সকল প্রবন্ধ গুলো সবার আগে পেয়ে যান।

পড়া মনে রাখার সহজ পদ্ধতি

পড়া মনে রাখার সহজ পদ্ধতি গুলো নিজে পর্যায়ক্রমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আপনারা পর্যায়ক্রমে এ সকল পদ্ধতি গুলো পড়ুন এবং আমরা আশা করব যে এসব পদ্ধতি গুলো আপনাদের কাজে আসবে এবং আপনাদের ভালো লাগবে।

১. বিরতি নিয়ে রিভিশন দেয়া
জার্মানির একজন মনোবিদ হারমান এভিন ঘোষের মতে যেকোনো পড়া এক ঘন্টা পর সেটি মাত্র ৪৪ শতাংশ আমাদের মনে থাকে। তার বেশি আমাদের মনে থাকে না। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত তাৎক্ষণিক রিলেশন না দেওয়া একটু বিরতি নিয়ে একই বিষয়ে আবার পড়া। তাতে পড়া মনে থাকার সম্ভাবনাটা বেড়ে যায়। বিরতি নিয়ে বারবার পড়লে যে কোন পড়া অতি সহজে আমাদের মনে থাকে। সেজন্য যে কোন পড়া যদি আমরা মনে রাখতে চাই তাহলে আমাদেরকে সেই পড়াটি বিরতি নিয়ে বারবার পড়তে হবে তাহলে যেকোনো পর আমরা সহজেই অনুধাবন করতে পারব।

২. প্রয়োজন মত পর্যাপ্ত ঘুম
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এর মনোবিজ্ঞানী জেসিকা পেইন এবং তার কয়েকজন সহকর্মী মিলে একটি গবেষণা করেছেন। সেখান থেকে জানা গেছে যে পড়াশোনা শেষে নির্দিষ্ট সময় ঘুমালে তা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং সেটি পড়া মনে রাখার জন্য বিশেষ সহায়তা প্রদান করে। তাই লম্বা সময় পড়াশোনার পর কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যারা সারারাত জেগে সকালে পরীক্ষা দিতে অভ্যস্ত অনেক সময় দেখা যায় তাদের পরীক্ষা খারাপ হয়। এ গবেষণা থেকে নিশ্চয়ই এর কারণ বোঝা সহজ হয়। সেজন্য আমাদের প্রত্যেককে অবশ্যই পড়ার সময় পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নিতে হবে।

৩. ফাইন ম্যান পদ্ধতি
পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইন ম্যান প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এই পদ্ধতি উদ্বোধন করেছেন। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে কোন কিছু খুব সহজেই অন্যকে বোঝানোর পদ্ধতিকে সাইনম্যান পদ্ধতি বলা হয়। যে কোন কিছু পড়ার পর তা অন্য কাউকে শেখানোর চেষ্টা করলে সেই পড়া আপনার মনে থাকা সম্ভাবনাটা অনেক বেশি বেড়ে যায়। কোন কিছু শেখানোর সময় আপনাকে সেই পদ্ধতিটি নিজের মত গুছিয়ে সংক্ষেপে তৈরি করে নিতে হয় এবং সে ক্ষেত্রে আলোচনার প্রয়োজন হয়। যার জন্য পড়াটি সহজেই মুখস্ত থাকে এবং পরবর্তীতে সেই পড়াটি আপনি সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন এবং এভাবে আপনার পড়ার গতিবিধি বৃদ্ধি পাবে।

উপরে যে সকল পদ্ধতি গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সকল পদ্ধতিগুলো আপনারা পড়ুন। আমরা আশা করি যে সকল পদ্ধতি গুলো আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং আপনাদের পরবর্তীতে যে কোন কিছু পড়তে সহায়তা করবে।

Leave a Comment