অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে সম্পর্ক

অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। অধিকার ও কর্তব্যের ব্যাখ্যা হয়তো অনেকেই জানেন না। অনেকেই অধিকার এবং কর্তব্যকে একই রকম হিসেবে মনে করেন তবে আপনাদের উদ্দেশ্যে জানাতে চাই যে অধিকার এবং কর্তব্য দুইটা আলাদা। হয়তো পারস্পরিকভাবে পাশাপাশি তবে অধিকার এবং কর্তব্য সম্পূর্ণরূপে আলাদা একটি বিষয়। আজকে আমরা অধিকার এবং কর্তব্যের মধ্যে যে সকল পার্থক্যগুলো রয়েছে এবং যে সকল সম্পর্কগুলো রয়েছে সে সকল বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করার চেষ্টা করব।

আজকে আমরা একটি বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে অধিকার এবং কর্তব্যের মধ্যে কি ধরনের সম্পর্ক রয়েছে সেটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা অধিকার এবং কর্তব্যের পার্থক্যটাই বোঝেন না। অধিকার এবং কর্তব্য কিভাবে বিবেচনা করতে হয়? অধিকার এবং পার্থক্যের কার্যকারিতা? অধিকার এবং পার্থক্যের বিশেষ বিষয়গুলো অনেকেই উপলব্ধি করতে পারেন না। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, অধিকার এবং কর্তব্যের

উদ্দেশ্য অর্থাৎ অধিকার এবং কর্তব্যের সম্পর্ক কি? সেটা সম্পর্কে তারা জানতে পারবে অর্থাৎ বলা যায় যে শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি অনেক বেশি কার্যকরী। আপনার আশেপাশে যে সকল শিক্ষার্থীগুলো রয়েছে বা আপনার পরিবারের যে সকল শিক্ষার্থী গুলো রয়েছে তাদেরকে আমাদের প্রবন্ধগুলো পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। তারা যদি আমাদের প্রবন্ধ পড়ে তাহলে তাদের শিক্ষাজীবনে অনেক ধরনের সাহায্য সহযোগিতা হবে। এজন্যই আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষা বিষয়ক কর্মকাণ্ডগুলো এগিয়ে রাখছি।

অধিকারের সংজ্ঞা:-

অধিকার বলতে কোন কিছু করা বা কোন কাজ করার ক্ষমতাকে বোঝায়। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞান তা অধিকার সমর্থনযোগ্য নয়। রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত সর্বজনীন কল্যাণ স্বার্থে প্রদত্ত সুব্রত সুবিধাই মূলত অধিকার হিসেবে বিবেচিত।

কর্তব্যের সংজ্ঞা:-

বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে কর্তব্যের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। কর্তব্য বলতে কোন কিছু করা বা করার দায়িত্ব কে বোঝায়। যেসব কাজ তাদের করা উচিত বা যেসব দায়িত্ব ও সম্পাদন করা উচিত সে সকল কিছুকেই কর্তব্য বলা হয়।

অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক

সাধারণ অর্থে মনে করা হয় যে অধিকারও কর্তব্যের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। আমরা আমাদের আজকের প্রবন্ধের নিচের অংশের অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে যে সকল পার্থক্য অর্থাৎ যে সকল সম্পর্ক গুলো রয়েছে সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হচ্ছে।

১. উৎপত্তিগত সম্পর্ক

সমাজ থেকে অধিকার ও কর্তব্যের উৎপত্তি হয়েছে। সমাজ যেমন অধিকার ও কর্তব্যের অভিভাবক তেমনি সমাজ প্রদত্ত অধিকারের বিনিময়ে আমরা কর্তব্য পালন করে থাকি। সমাজ আমাদেরকে যে সকল অধিকার দিয়েছে তার বিনিময়ে আমরা সমাজের জন্য বেশ কিছু কর্তব্য পালন করে থাকি। যেমন: সমাজে যদি আমাকে শিক্ষকতা করার অধিকার প্রদান করা হয় তাহলে আমি শিক্ষকতার মাধ্যমে সমাজের মানুষের কল্যাণ করব এটা হচ্ছে আমার কর্তব্য।

২. কর্তব্য পালন করতে অধিকারের প্রয়োজন

আইন মান্য করা, কর প্রদান করা, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা ইত্যাদি কর্তব্য নাগরিকগণ পালন করে থাকে। তবে এ সকল কর্তব্য গুলো পালন করতে হলে আপনার একটি অধিকারের প্রয়োজন রয়েছে। এসব কর্তব্য পালনের জন্য নাগরিকের ব্যক্তিত্ব বিকাশের অধিকার রয়েছে অর্থাৎ ব্যক্তিত্ব বিকাশের দরকার রয়েছে। আপনি যদি একটি দেশের নাগরিক না হয়ে থাকেন বা একটি দেশের নাগরিকত্বের অধিকার যদি আপনার না থাকে তাহলে আপনি এসবও কর্তব্য গুলো পালন করতে পারবেন না। আর তাই বলা হয় যে কর্তব্য পালনের জন্য অধিকার এর সর্বোপরি প্রয়োজন রয়েছে।

৩. অধিকার ও কর্তব্য একই বাস্তব দুটি দিক।

অধিকার ও কর্তব্য ধারণ করা হয় যে পরস্পর সম্পর্কে যুক্ত। যদি অধিকার না থাকে তাহলে আপনি কর্তব্য পালন করতে পারবেন না। আপনার ভেতরে যদি কর্তব্য পরায়ন মনোভাব না থাকে তাহলে আপনার অধিকার কোনই কাজে আসবে না। এজন্য বলা হয়েছে অধিকার ও কর্তব্য একই বাস্তব দুটি দিক।সুখে পাঠক এবং সুপ্রিয় শিক্ষার্থী মন্ডলী, আপনাদের প্রয়োজনীয় কথা চিন্তা করে আমরা অধিকার এবং কর্তব্যের বিশেষ কিছু দিকগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। এগুলো আপনাদের বাস্তবিক জীবনে অনেক বেশি সাহায্যপূর্ণ হবে বলে আমরা আশা করি।

 

Leave a Comment