ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত যখন খাবারের থেকে সঠিক বা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন আমাদের শরীরে প্রবেশ না করে তখন যেই পদ্ধতিতে আমরা ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করতে পারি সেটা হচ্ছে ঔষধ সেবন। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার ভয়ে চিকিৎসক যদি বুঝতে পারে আপনার শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি আছে তাহলে তিনি কিছু ঔষধ লিখে দিবেন এবং সেগুলো আমাদের ক্যাপসুল। সাধারণত যে ঔষধ গুলো রয়েছে তার মধ্যে একেবারে সহজ উপায়ে খাওয়া যায় যে ক্যাপসুলগুলো সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেটা বিভিন্ন কোম্পানির হতে পারে।

বাংলাদেশে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয় ই ক্যাপ নামক ক্যাপসুল যেটা সবথেকে বেশি ফলাফল দিতে পারে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব এই ক্যাপসুলের সঠিক ব্যবহার তবে আপনাকে সবার প্রথমে এটা নিশ্চিত করতে হবে আপনার এই ওষুধ খাবার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা এবং এর জন্য অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা নিজে থেকেই ওষুধ খাওয়ার চেষ্টা করি যার কারণে অতিরিক্ত ওষুধ খেলে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় যেটা অন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তাই অবশ্যই আমাদের জানতে হবে সবকিছু তারপরে ওষুধ খেতে হবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা কি

ভিটামিন ই ক্যাপসুল সাধারণত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আমাদের মুক্ত করতে পারে যেমন বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা।ত্বক সুস্থ থাকা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ফুস্কুনি বের হওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ক্ষত এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য ভিটামিন ই ব্যবহার করা হয়। চুল ওঠা থেকে শুরু করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ভিটামিন ই ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও এর বাইরে বিভিন্ন ধরনের বড় সমস্যা যেমন নার্ভের ক্ষতি থেকে শুরু করে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব এবং বয়স সম্পর্কিত ম্যাকুলার ডিজাইনারেশন এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল নির্দেশ করা হয়।

এছাড়াও ভিটামিন ই ক্যাপসুল সাধারণ পূর্ব লক্ষণ থেকে শুরু করে বেদনাদায়ক মাসিকের সময়কাল হৃদরোগ এই ধরনের সমস্যা থেকে সমাধানে ব্যবহার করা হয়। তবে এই ওষুধের সঠিক ব্যবহার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে এবং সঠিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে জানতে হবে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে অথবা বিভিন্ন ধরনের রোগের ভিত্তিতে ঔষধ কতটুকু একজন মানুষ ব্যবহার করতে পারে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাবার সঠিক নিয়ম

সাধারণত বয়স সম্পর্কিত ম্যাকুলার ডি জেনারেশন এর ক্ষেত্রে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০ থেকে ৬০০ আই ইউ দৈনিক একটি করে খেতে হবে। এক কথায় বলতে গেলে দৈনিক ৪০০ থেকে ৬০০ আয়ু খেতে হবে এই ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য।

সাধারণত যাদের হৃদরোগের সমস্যা আছে এবং যেখানে নাইট্রেট এর কার্যকারিতা উন্নত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন 200 আয়ু করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে হবে।

সাধারণত যাদের বড় ধরনের সমস্যা যেমন বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় এই ধরনের সমস্যার উন্নতি করার জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল সাধারণত 200 থেকে 600 আই ইউ দৈনিক খেতে হবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে।

এছাড়াও মেয়েদের মাসিক সিনড্রোম থেকে শুরু করে এই ধরনের সমস্যা সমাধান করার জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০ আই ইউ দৈনিক খেতে হবে।

এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন আমাদের চুল ওঠার সমস্যা থেকে শুরু করে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ২০০ থেকে ৪০০ আয়ু প্রতিদিন খেতে হবে।

তবে সমস্যা নির্ণয় করার জন্য সবার প্রথমে একজন বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং তার কথামতো আপনাকে ওষুধ খেতে হবে। একটা বিষয় মাথায় রাখবেন প্রত্যেকটি ওষুধে রয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতায় আমাদের এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত থাকার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে ওষুধ সেবন করা উচিত।

Leave a Comment