সাত দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল

যারা জরুরী প্রয়োজনে দ্রুত বিয়ে করবেন বলে ভাবছেন এবং আপনি যদি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকেন তাহলে দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল হিসেবে আজকের এই পোস্ট করতে পারেন। কারণ আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের কে জানিয়ে দেবো ৭ দিনে বিয়ে হওয়ার আমল। যদিও আপনার বিয়ে কখন লিখে রাখা হয়েছে অথবা কার সাথে লিখে রাখা হয়েছে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা জানেন তারপরও আপনারা হয়তো ভাবছেন সাতদিনের ভিতর বিয়ে করতে পারলে ভালো হয় অথবা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ৭ দিনের ভেতরে বিয়ে হওয়াটা জরুরী।

তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে অল্প কয়েকদিনের ভিতরেই যাতে আপনার বিয়ে হয় এবং আপনি যদি ছুটিতে এসে বিয়ে করতে চান তাহলে দ্রুত বিয়ে করার জন্য যে সকল আমলগুলো করবেন তার নিচের দেখানো নিয়ম অনুসরণ করবেন। এখানে আপনাদের জন্য সাত দিনের বিয়ে হওয়ার আমল সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হলো এবং সেটি যদি আপনারা নিয়মিত করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনাদের ফলাফল খুব ভালো হতে পারে।

প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের স্বয়ংসম্পূর্ণতা পাওয়ার জন্য জীবনে একজন ছেলের জন্য মেয়ে এবং মেয়ের জন্য ছেলে প্রয়োজন। নিজের দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পাদন করার জন্য এবং জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একজন ব্যক্তির যদি একজন স্ত্রী থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি দিন শেষে খুব সুন্দর হবে তার দৈনন্দিন জীবনের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে আসেন।

তাছাড়া অনেকে আছেন যারা কর্মের অথবা বেকারত্বের কারণে বিয়ে করতে পারেনি এবং দ্রুত চাকরি হওয়ার কারণে হয়তো ভাবছেন খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে পারলে নিজেকে একটা নিয়ন্ত্রিত জীবনের মধ্যে আনা সম্ভব হবে। তাছাড়া ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যেকটি পুরুষের দৃষ্টিকে হেফাজতে আনার জন্য এবং ইসলামিক জীবন ব্যবস্থা পরিচালনা করার জন্য বিয়ে করা জরুরী।

একজন মানুষ যদি খুব দ্রুত বিয়ে করে তাহলে দেখা যাবে যে তিনি ইসলামের আওতার ভিতরে আসছে এবং তার ভেতরে বিভিন্ন ধরনের পাপ পঙ্কিলতা দূরে সরে যাচ্ছে। অনেকে আছেন যারা বিদেশ থেকে শুধু বিয়ে করার উদ্দেশ্যে এসে থাকেন এবং এক্ষেত্রে যেখানে কাজ করেন সেখানকার ছুটি কম থাকার কারণে ভেবে থাকেন অল্প কয়েকদিনের ভিতরে বিয়ে করে দেশে মা-বাবার কাছে স্ত্রীকে রেখে গেলেই শান্তিতে থাকা যাবে।

তবে যাই হোক আপনারা যেহেতু আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন সেহেতু একজন অবিবাহিত পুরুষ অথবা অবিবাহিত নারী হিসেবে নিজের দেখানো নিয়মগুলো অথবা আমল গুলো অনুসরণ করবেন। যদি দ্রুত বিয়ে করতে চান তাহলে আপনারা অবশ্যই ছেলেরা এবং মেয়েরা প্রতিদিন ফজরের নামাজের পরে ইয়া ফাত্তাহু (الفتاح) অর্থ হে উন্মুক্তকারী বা প্রস্তুকারী পড়বেন।

উপরের উল্লেখিত নিয়ম যদি আপনারা প্রতিনিয়ত পাঠ করতে পারেন এবং ৪০ দিন যদি পাঠ করেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার খুব দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য মহান আল্লাহ পাক সরাসরি সাহায্য করবেন। যেহেতু জন্ম মৃত্যু এবং বিয়ে সবকিছুই সৃষ্টিকর্তা নির্ধারণ করে থাকেন সেহেতু তিনি আপনার এই আবেদন অথবা আপনার এই আমলের দ্বারা সন্তুষ্ট হয়ে আপনার মনের চাহিদা পূরণ করার জন্য সাহায্য করবেন।

তাছাড়া আপনারা যদি প্রতিদিন তওবা পাঠ করেন এবং তওবার দেখানো নিচের আয়াতটি পাঠ করেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার জীবনের ভুল ভ্রান্তি দূর হয়ে যাবে এবং আপনি খুব সহজেই যে আমল করবেন সেটা কাজে দিবে। সাত দিনে ভেতরে বিয়ে হওয়ার জন্য আপনারা নিচের দেওয়া আয়াতটি পাঠ করুন।

সুরা তাওবার এ আয়াতটি তেলাওয়াত করা:

فَإِن تَوَلَّوْاْ فَقُلْ حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ

উচ্চারণ : ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম। ’

বেশি বেশি করে ইস্তেগফার পাঠ করলে আপনারা অনেকটাই আপনাদের মনের চাহিদাগুলো মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে পারবেন এবং তিনি আপনাদের কথা বিবেচনা করে সবসময়ই আপনাদেরকে সাহায্য করবে। তাই নিচের দিকে আপনাদের জন্য যে ইস্তেগফার পাঠের নিয়ম দেখানো হলো সেটা আপনারা পাঠ করুন এবং মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে খাস দিলে দোয়া করুন।

اَسْتَغْفِرُ الله – اَسْتَغْفِرُ الله
উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ।
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।’

হযরত মূসা আলাইহি সাল্লাম তার একাকিত্বের সময়ে নিজের দোয়া গুলো পাঠ করতেন এবং এই দোয়া যদি কোন ব্যক্তি পাঠ করেন তাহলে দেখা যাবে যে তার মন খারাপের বিষয়গুলো দূর হয়ে যাবে এবং তিনি তার খাস দিলে যে দোয়াগুলো করবেন সেটি কবুল হয়ে যাবে। তাই অল্প দিনের ভেতরে বিয়ে করার জন্য উচিত হবে সুরা আদ-দোহাসহ সুরা কাসাসের এ আয়াত পাঠ করা-

فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
উচ্চারণ : ‘ফাসাক্বা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির।

 

Leave a Comment