দুধ খাওয়ার উপযুক্ত সময় । দুধ কখন খাওয়া উত্তম

আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় বন্ধুগণ। স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোনো আলোচনায় আমাদের ওয়েবসাইট টা অবশ্যই ফলো করুন। আমাদের দৈনিন্দা জীবনের সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ছোট ছোট উপকারী সব টিপস পেতে আমাদের এই আর্টিকেলটি অবশ্যই পড়তে হবে। আজকে আমরা কথা বলবো দুধের উপকারিতা সম্পর্কে। দুধ পান করা যে খুবই উপকারী সেটা মূর্খরাও জানে। তাই আমরা সবাই খাটে দুধ। যদি কেউ দুর্বল বোধ করে তাহলে আমরা খুব সহজেই বলে দেই যে দুধ পান করলে শরীর সুস্থ হয়ে যাবে।কিন্তু সত্যিই কি তাই? দুধ পান করলে কি শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায়? দুধ পান করা কি সবার জন্য উপকারী? প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে কখন দুধ পান করা উচিত? এগুলো বিভিন্ন প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে আজকের এই আলোচনা।

আমরা সবাই জানি দুধ-কবি উপকারী একটি খাদ্য। কিন্তু এই দুধ যদি সঠিক নিয়মে পান না করা যায় তাহলে অম্বল এবং গ্যাস্ট্রিক জনিত নানা শারীরিক সমস্যায় গুরুতরো ধরনের প্রবলেম হতে পারে। এজন্য সঠিক নিয়ম যেন বেশ আবশ্যক।

দুধ পান করার সঠিক সময়

ভরা পেটে দুধ পান করা সবচাইতে ভালো। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কুসুম গরম দুধ খুবই সামান্য পরিমাণে রাতের খাবারের পর পান করা উচিত। খাবার খাওয়ার পর যদি প্রতিদিন ২৫০ মিলিমিটার দুধ পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনার বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দূর হয়ে যাবে।খাবার খাওয়ার পরপরই দুধ পান করা উচিত নয়। এর পাশাপাশি দুধ খাওয়ার আগে টক জিনিস বা ফল, দই, টক জাতীয় খাবার খাওয়া চলবে না । এটি করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে, খাবার খাওয়ার ৪০ মিনিট পর দুধ পান করা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী বলে।

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়ামের পরে দুধ পান করলে আপনার পেশি আরও শক্তিশালী হবে, শক্তি বৃদ্ধি করে, এমনকি পেশির ব্যথাও হ্রাস করতে পারে। নিয়মিত দুধ পান করলে আপনার হাড় সুস্থ থাকবে। এটি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন কে২ সহ পুষ্টির শক্তিশালী উৎস দুধে আছে প্রোটিন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-বি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এসব উপাদান পেশিকে মজবুত ও শক্ত করে। পাশাপাশি শরীরে পুষ্টি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

রাতে সুষ্ঠুভাবে ঘুম পাড়া, খুবই প্রয়োজন একটি শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য। যারা অনিদ্রা জনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন রাতে নিয়মিত দুধ পান করুন। এতে আপনার ঘুম ভালো হবে। পরিপাকতন্ত্র সজল থাকবে।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দুধ পান করার সবচেয়ে ভালো সময় হল রাতে ঘুমানোর আগে । অন্যদিকে বাচ্চাদের সকালেই দুধ পান করা উচিত । রাতে দুধ পান করে শরীরে উপরকার পাওয়া যায় । দুধ খেলে করলে ভালো ঘুম হয় ।শরীরের শক্তি যোগানোর ক্ষেত্রে ঠান্ডা বা গরম— উভয় ধরনের দুধই সমান ভূমিকা রাখে। তবে ঘুমের সমস্যা দূর করার জন্য গরম দুধ উপকারী। আবার অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে ঠান্ডা দুধ বেশি উপকারী। গরম দুধের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো তা খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়।

আমাদের খাদ্য তালিকায় দুধ থাকলে। তাই নিয়মিত বিভিন্ন খাবার-দাবারের পাশাপাশি এক কাপ গরম দুধ রাখা উচিত।প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে দুধকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এতে সন্তোষজনক মাত্রায় ফসফরাস থাকে। শিশু ও বাড়ন্ত বয়সে হাড়, দাঁতের গঠন ও মজবুতের জন্য এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের হাড়ের ভঙ্গুরতা রোধ করার জন্য দুধ প্রয়োজন। অর্থাৎ সব বয়সের মানুষের দুধ খাওয়া জরুরি।

পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, দুধ কিংবা দুগ্ধজাত কোনো খাবার ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে না। বরং রোগা হওয়ার ডায়েটে দুধ থাকলে ওজন কমার পাশাপাশি শরীরের আরো অনেক সমস্যা দূর হয়। ডায়েটে নিয়মিত দুধ রাখলে দ্রুত ওজন কমে। কারন আমরা সবাই জানি যে সুস্থ ডায়েট চ্যাটে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন থাকতে হবে। দুধে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। এজন্য যারা হেলথ কনসিয়াল বা যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারাও নির্ভয়ে দূত পান করতে পারেন।

Leave a Comment