ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম

যদি ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম জানতে এখানে ভিজিট করে থাকেন তাহলে বলব যে এটা অত্যন্ত সহজে একটা নিয়ম। সাধারণত ইমাম যেভাবে অনুকরণ করছে ঠিক একইভাবে আপনাদেরকে নামাজ পড়তে হবে এবং নামাজ আদায় করতে হবে। ইমামের পেছনে নামাজ পড়ার জন্য আপনাকে নিয়ত করার পাশাপাশি প্রত্যেকটা ধাপ কিভাবে অনুসরণ করতে হবে তাই এখানে আমরা আলোচনা করব। আর এভাবেই আপনারা ইমামের পেছনে নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার জন্য আপনার নিচের নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন এবং আশা করি এই পোস্ট আপনাদের জন্য অনেক তথ্যবহুল হতে চলেছে।

একটি পরিবারে যখন ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করবে তখন অভিভাবক হিসেবে অবশ্যই তার বয়স যখন সাত বছর পূর্ণ হবে তখন থেকে নামাজ পড়ার শিক্ষা প্রদান করতে হবে। নামাজ পড়ার প্রতি যদি আগ্রহ না দেখিয়ে থাকে তাহলে আপনারা এ ক্ষেত্রে সামান্য শাস্তি ব্যবস্থা করতে পারেন অথবা ভয় পেতে প্রদর্শন করার মাধ্যমে তাকে নামাজের প্রতি ভালোবাসার সৃষ্টি করাতে পারেন। তবে একটি পরিবারের সকল সদস্য যদি নামাজ আদায় করে অথবা আপনি পিতা হিসেবে যখন নামাজ আদায় করতে যাবেন তখন অবশ্যই তাকে সাথে নিয়ে গেলে একটা সময় সে মসজিদের প্রতি আগ্রহ দেখাবে।

আর আপনারা যখন নামাজের প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে ইমামের সঙ্গে নামাজ পড়ানোর নিয়ম সম্পর্কে তাদের অবগত করাতে চাইবেন তখন প্রতিনিয়ত মসজিদে যাওয়ার ফলে দেখা যাবে যে তার ভেতরে সেই ধারণাগুলো চলে আসবে। তবে ইমামের পেছনে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে যে নিয়ম অনুসরণ করতে হবে তা হলো যে মোয়াজ্জেম যখন ইকামত প্রদান করবে তখন সেই ইকামতের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি আপনাদেরকে পরবর্তী সময়ে নিয়ত করতে হবে। ইমাম যখন আল্লাহু আকবার বলে হাত তুলবেন তখন অবশ্যই আপনারা আল্লাহু আকবার বলে নিয়াত বাঁধবেন।

ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজে ইমাম কেরাত পাঠ করে থাকেন বলে সে সময় আমাদেরকে নিরব থাকতে হবে। কিন্তু আসর এবং যোহরের সময়ে কিরাত নিজেদেরকে পড়তে হয় এবং নিয়ত বাধার সাথে সাথে আপনাদেরকে কিরাত পাঠ করতে হবে। সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোন সূরা দিয়ে আপনারা প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শেষ করবেন। অর্থাৎ সেই নামাজ যদি চার ওয়াক্ত হয়ে থাকে তাহলে প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে দুইটি সূরা পড়তে হবে এবং পরের দুই রাকাতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।

তবে প্রথম দুই রাকাতের পর যখন আপনারা সিজদায় যাবেন তখন সিজদা সম্পন্ন করার পর প্রথম বৈঠকে বসতে হবে এবং সেখানে তাশাহুদ পাঠ করতে হবে। ইমামের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আপনারা সেই বৈঠক থেকে উঠে দাঁড়াবেন এবং সূরা ফাতিহা আবার পাঠ করবেন এবং তৃতীয় রাকাত সিজদায় গিয়ে শেষ করবেন। একইভাবে চতুর্থ রাখাতে আপনাদেরকে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে সেজদা সম্পন্ন করে শেষ বৈঠকে বসতে হবে।

আপনারা যখন শেষ বৈঠকে বসবেন তখন সেখান থেকে আপনাদেরকে অবশ্যই তাশাহুদ, দরুদে ইব্রাহিম এবং দোয়া মাসুরা পাঠ করতে হবে। সিজদা, রুকু, কিরাত পাঠ করার জন্য ইমাম সাহেব পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় আমাদেরকে প্রদান করবেন। তাই আমরা আস্তে আস্তে এবং ধীরেস্থে অবশ্যই প্রত্যেকটা স্থানের আমলগুলো সঠিকভাবে এবং সহীহভাবে পালন করব। চতুর্থ রাকাতে যখন ইমাম সকল কাজ শেষ হয়ে যাবে তখন সালাম ফেরানোর জন্য আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলবেন।

তখন আপনারাও ইমামের সঙ্গে সালাম ফেরাবেন এবং এভাবে নামাজ শেষ হবে। ফজরের দুই রাকাত সালাত ইমাম সাহেব কেরাত পাঠ করানোর মাধ্যমে আপনাদেরকে নামাজ পড়িয়ে থাকবেন। জোহরের চার রাকাত এবং আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আপনাদের নিজেদের কিরাত পাঠ করতে হবে। মাগরিবের তিন রাকাত নামাজে প্রথম দুই রাকাতে ইমাম কেরাত পাঠ করবেন এবং পরবর্তী এক রাকাতে আপনাদেরকে সূরা ফাতিহা আমল করতে হবে। এশার চার রাকাত নামাজে প্রথম দুই রাকাতে ইমাম সাহেব কেরাত পাঠ করবেন এবং পরবর্তী দুই রাকাতে সকল মুসল্লিদের মনে মনে দোয়া পাঠ করতে হবে। আশা করি এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা ইমামের সাথে নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

Leave a Comment