সুপ্রিয় মুসল্লিবৃন্দ, আসসালামুয়ালাইকুম আপনারা কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আজকে আপনাদের প্রয়োজনে আমরা যে প্রবন্ধটি সাজিয়েছি সে প্রবন্ধে তিন রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম উল্লেখ করা হচ্ছে। অনেকেই তিন রাকাত বিতর নামাজ পড়েন কিন্তু তিন রাকাত বিতর নামাজ পড়ার সঠিক নিয়মটি হয়তো আপনারা জানেন না। তিন রাকাত বিতরের নামাজ পড়ার সময় আপনাকে যা কিছু করতে হবে সকল কিছু আমাদের আজকের এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
আপনারা আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে তিন রাকাত বিতর নামাজ অর্থাৎ তিন রাকাত বিতর সালাত আদায় করার সঠিক নিয়মটি জেনে নিতে পারবেন। আপনারা এখান থেকেই বুঝতে পারবেন যে কোন সময়ে কি করতে হবে এবং তিন রাকাত বিতর সালাত কিভাবে আদায় করতে হবে।আমরা হাদিস থেকে বেশ কিছু বক্তব্য আমাদের এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি যে সকল বক্তব্য গুলো হয়তো আপনারা আগে কখনো দেখেননি।
সাজানো হয়েছে যেখানে আপনাদের প্রয়োজনে তিন রাকাত বিতের সালাত আদায়ের নিয়ম এবং তিন রাকাত সালাত কিভাবে আদায় করতে হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, আপনারা তিন রাকাত বিতর সালাত আদায়ের সঠিক নিয়ম জানতে চাইলে আমাদের এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিবেন তাহলে আপনারা সঠিক নিয়ম টি এই প্রবন্ধের মাধ্যমে সব জেনে নিতে পারবেন।
বিতর নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম
আমাদের দেশের ওলামায়ে কেরামগণ একেক জন একেক রকম ভাবে বিতর সালাত আদায় করেন। অনেকেই একভাবে বিতরের নামাজ আদায় করেন আবার অনেকে আরেকভাবে বিতর নামাজ আদায় করে থাকেন। তবে বিতর নামাজের সঠিক একটি নিয়ম আছে সেই নিয়মটি আমাদের প্রত্যেককে জেনে নিতে হবে। আমরা যদি বিতরের নামাজের সঠিক নিয়ম না জেনে থাকি তাহলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিয়মটি শিখিয়েছেন সেই নিয়ম থেকে আমরা বিতাড়িত হয়ে যাব।
আর এটি কোনভাবেই সঠিক নয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে নামাজ আদায় করেছেন অর্থাৎ তিনি যেভাবে সালাত আদায় করেছেন আমাদের প্রত্যেককেই ঠিক একই ভাবে সালাত আদায় করতে হবে তার দেখানো পথে আমাদেরকে চলতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি বলেছেন তোমরা যারা মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর অনুসারী বা তার উম্মত তারা অবশ্যই তাকে অনুসরণ করবে তার দেখানো পথে তোমরা চলবে।
আমরা হচ্ছি আমাদের শেষ নবী মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর উম্মত তারপরে আর কোন নবী এই জগতে আসবেন না তার দেখানো পথে আমাদেরকে চলতে হবে তিনি যে কাজে আদেশ করেছেন সে কাজটি আমাদেরকে করতে হবে নিষেধ করেছেন সেই কাজটি আমাদেরকে করতে হবে।
নিজে হাদিস থেকে কিছু বর্ণনা উল্লেখ করা হয়েছে আপনারা এটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন:
আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি আয়েশা (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন, রমজানে নবীজির নামাজ কেমন হতো? জবাবে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানে এবং রমজানের বাইরে ১১ রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না! এরপর আরো চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাই বাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন। (সহিহ বুখারি : ১/১৫৪, হাদিস ১১৪৭; সহিহ মুসলিম : ১/২৫৪, হাদিস ৭৩৮; সুনানে নাসায়ি ১/২৪৮, হাদিস ১৬৯৭)।
সাদ ইবনে হিশাম (রহ.) বলেন, আয়েশা (রা.) তাকে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না। (সুনানে নাসায়ি ১/২৪৮; হাদিস ১৬৯৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ৪/৪৯৪, হাদিস ৬৯১২)।
ইমাম হাকেম (রহ.) হাদিসটি বর্ণনা করার পর বলেন, হাদিসটি বুখারি ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক সহিহ।
আমিরুল মুমিনিন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)ও এভাবে বিতর পড়তেন এবং তার সূত্রে মদিনাবাসীরা তা গ্রহণ করেছেন। (মুস্তাদরাক আলাস সহিহাইন ১/৩০৪, হাদিস : ১১৮১)
সুপ্রিয় পাঠক মন্ডলী, আপনাদের প্রয়োজনে বেশ কিছু হাদিস শরীফ থেকে বেশ কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনারা যদি এই তথ্যগুলো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনারা তিন রাকাত বিতর নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন।
এছাড়াও যদি ভিতরে না ছাড়াও আরো কোন নামাজ সম্পর্কে আপনাদের কোন কিছু জানার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন আমরা চেষ্টা করব আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করার। বেতের নামাজ সহ আরো অনেক নামাজের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমাদের প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।