যদি কারো পায়ে পানি আসে তাহলে সেই ক্ষেত্রে কি করনীয় করতে হবে তা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে আশেপাশের বর্তমান সময়ের মানুষের স্বাস্থ্য আগেকার দিনের চাইতে অনেক ভালো অথবা অনেক মোটা। আগেকার দিনে মানুষের খাবারের স্বল্পতা এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়ামের যে বিষয়গুলো ঘটতো সেগুলো বর্তমান সময়ে মানুষের অলসতার কারণে হচ্ছে না। ফলে অনেক বাচ্চা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষের দুর্ভাগত ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অল্প কিছুদিনের ভিতরে বিভিন্ন সমস্যার ভেতরে পতিত হচ্ছেন।
তাই এরকম পরিস্থিতিতে একজন মানুষের শরীরে যদি রক্তের ভেতরে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যায় অথবা মানুষের শরীরে যদি অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট বেশি হয়ে যায় তাহলে সেটা থেকে সমস্যার সৃষ্টি হবে। তবে সে সকল বিষয় আলোচনা না করে আমরা এখানে আলোচনা করব একটি বিশেষ কারণে এবং সেটা হল পায়ে পানি আসলে আসলে কি করনীয় রয়েছে। সাধারণত বাচ্চা অথবা পুরুষ মানুষদের এই ধরনের সমস্যাগুলো হয়ে না থাকলেও মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা কিন্তু খুবই কমন দেখা যায়। তাই এরকম পরিস্থিতিতে পায়ে পানি আসলে কি করতে হবে সেটা আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে আলোচনা করব।
প্রকৃতপক্ষে পায়ে পানি আসলে কি করতে হবে সেটা জানার আগে আমাদেরকে জানতে হবে এটা কেন হচ্ছে অথবা এই সমস্যাটার উৎপত্তি কোথায় থেকে হয়েছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে পায়ে পানি আসার কারণ হিসেবে যদি থাইরয়েডের সমস্যা ধরা হয় তাহলে থাইরয়েডের চিকিৎসা করতে হবে। এক্ষেত্রে যদি লিভার অথবা কিডনির সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেটাও ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ সেবন করতে হবে। তাছাড়া অপুষ্টির কারণে এমনটা হতে পারে এবং অনেক সময় বিভিন্ন রোগের জন্য যে ওষুধ খেয়েছেন সেটার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে।
প্রকৃতপক্ষে এই সমস্যার সমাধান হিসেবে ডাক্তার তখনই ঔষধ বা বিভিন্ন চিকিৎসা সাজেস্ট করেন যখন আপনাদের সমস্যাটি শনাক্ত করা যায়। আর যখন সমস্যাটি ভালোমতো বোঝা যায় তখন ঠিকমতো চিকিৎসা দিয়েও কিন্তু ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তাই পায়ে পানি আসার কারণে যারা পা ফেলতে অসুবিধা বোধ করছেন অথবা শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পায় এসে পানি জমার কারণে যাদের অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে তারা বসে না থাকে ঠিক ঠাক মত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থতা অর্জন করুন। সেই সাথে নিচের দিকে কিছু নিয়ম আলোচনা করব যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা পায়ে পানি আসা থেকে দূরে অবস্থান করতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় একজন নারী যখন স্বাভাবিকভাবে খাওয়া-দাওয়া বেশি করেন অথবা তাদের চলাফেরা অনেকটাই কমে যাওয়ার কারণে পা ঝুলিয়ে বসে থাকেন বলে পানি বেশি আসতে পারে। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় শরীরের ভেতরে বাচ্চার অবস্থান করার কারণে শরীরে ভেতরে যে পানি উৎপন্ন হয় সেই পানির কারণেও সেটা আপনার চলাফেরা অথবা শোয়ার কারণে পায়ে পানি জমতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি জমলে খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে ঘুমানোর যে পজিশন রয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে মেনে চললে আশা করি এই সমস্যা আপনাদের হবে না।
পায়ে পানি আসার ওষুধ
প্রকৃতপক্ষে এই ধরনের সমস্যা হওয়ার ক্ষেত্রে যদি থাইরয়েড অথবা হরমোনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেটা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই ঔষধ সেবন করবেন। দৈনন্দিন জীবনে কারো কোন সমস্যা হয়ে থাকলে সরাসরি ওষুধের নাম জানিয়ে না দিয়ে সে বিষয়ে ঘরোয়া চিকিৎসা আমরা জানিয়ে দিয়ে থাকি এবং ওষুধ গ্রহণ করতে হলে সেটা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত এ বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকি। তাই পায়ে পানি আসার ঔষধ সম্পর্কে না জেনে আপনারা দৈনন্দিন জীবনে শর্করা জাতীয় খাবার থেকে দূরে সরে যদি আমি জাতীয় খাবারের প্রতি নির্ভরশীল হতে পারেন তাহলে খুব ভালো হয়।
পায়ে পানি আসার কারণ ও প্রতিকার
পায়ে পানি আসার জন্য আরো কিছু সমস্যা কে দায়ী করা হয়ে থাকে এবং এক্ষেত্রে খাবারে আপনারা অপ্রয়োজনীয় লবণ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। ঘুমানোর সময় যাদের পায়ে পানি জমে তারা অবশ্যই পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে রাখবেন যাতে হার্টের অবস্থান এবং পায়ের অবস্থান সোজাসুজি থাকে। সেই সাথে দৈনন্দিন জীবনে কিছুটা ব্যায়াম করতে পারলে এবং শারীরিক ওজন কমাতে পারলেই আপনাদের এই পায়ে পানি জমার সমস্যা গুলো সমাধান হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকলে আপনারা প্রশ্ন করে আমাদের উত্তর জেনে নিতে পারেন।