মিসক্যারেজ থেকে বাঁচার উপায়

আজকে আমাদের ওয়েবসাইট আপনাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন যেটা প্রত্যেকটি মেয়েদের জন্য জানা অত্যন্ত জরুরি। মেয়েদের জীবনের সবথেকে বড় পাওয়া হচ্ছে একটি সন্তান আর সেই সন্তান পাওয়ার ক্ষেত্রে তাকে পাহাড় সমান কষ্ট এবং পাহাড় সমান বাধা ও অতিক্রম করতে হয়। আর এই বাধা একবারে আসে না ধাপে ধাপে তাকে সহ্য করতে হয় এবং প্রত্যেকটা ধাপেই তাকে সতর্ক হতে হয়। এই বাঁধার মধ্যে একটি বড় বাঁধা হচ্ছে মিসক্যারেজ আর এই সম্মুখীন যারা আগে থেকে হতে চান না তারা যেই সতর্ক বিষয়গুলো অবলম্বন করতে পারেন সেই বিষয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব।

সবার প্রথমে একটা বিষয় সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই সেটা হচ্ছে আপনি যতটুকু জানেন সে সম্পর্কে আপনি চেষ্টা করবেন আপনার পরিবারের অন্য কোন মেয়েকে অথবা আপনার আশেপাশের অন্য কোন মেয়েকে সেই বিষয়ে অবগত করার। এইভাবে মূলত সচেতনতা আসতে আসতে একটা পরিবার থেকে গোটা জাতিতে পৌঁছে যাবে আর সেই সচেতনতাই আমাদের এই বিপদ থেকে মুক্তি করবে। আর সব সময় আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা রাখতে হবে তার কারণ হচ্ছে আল্লাহ তালাই সব কিছুর মালিক। আমরা স্বল্প পরিসরে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব যে কেন গর্ভপাত হয় এবং এর কারণ বা এটা থেকে বেঁচে থাকতে কি কি করা যেতে পারে এই বিষয়ে। গর্ভবতী মায়ের প্রতিটা মুহূর্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় এবং সেই সতর্কতা গুলো কি কি সেগুলো জানার চেষ্টা করব।

গর্ভপাত কেন হয়

সাধারণত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথ্য অনুযায়ী শিশু পরিপূর্ণ হয়ে ওঠার আগেই গর্ভপাত হয়ে যাওয়া বিশ্বে খুব সাধারণ একটি ঘটনা এবং প্রতি 100 জন গর্ভবতী নারীর মধ্যে 10 থেকে 15% ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটতে থাকে। তাই প্রথমে আপনাদের মানসিক দিক দিয়ে শক্ত হতে হবে। এটা হতেই পারে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে হবে না এই কনফিডেন্স ও আপনাকে রাখতে হবে।

সাধারণত গর্ভধারণের প্রথম ২৮ সপ্তাহের মধ্যে যদি কোন শিশুর মৃত্যু হয় সেটাকে গর্ভপাত বলা হয় এবং সাধারনত প্রতি চারটি গর্ভপাতের তিনটি একই রকম হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি কথা বলি তাহলে ২০১৪ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী প্রতি বছরে অন্তত ১১ লাখ ৯৪ হাজার শিশুর ক্ষেত্রে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে থাকে যেটা একটি ভয়ংকর ঘটনা। আপনি যদি প্রতিদিনের হিসাব করেন তাহলে 3271টি ঘটনা ঘটে থাকে। এটা সঙ্গে আপনি যদি করোনা মহামারীর কথা উল্লেখ করেন তাহলে সেটা খুবই সামান্য একটি ব্যাপার মনে হবে। কারণগুলো আমরা জানার চেষ্টা করব।

বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের ত্রুটির কারণে এই সমস্যা হয় যেমন গর্ভধারণের সময় একেবারে কম ক্রোমোজোম পাওয়া বা এই ধরনের সমস্যার ফলে গর্ভপাত হতে পারে।

মা যদি বড় কোনো ধরনের অসুস্থতা থাকে যেমন ডায়াবেটিস বা ব্লাড প্রেসার বা কিডনির সমস্যা এই ধরনের সমস্যার কারণে গর্ভপাত হয়ে থাকে।

মায়ের সঙ্গে যদি কোন ইনফেকশন হয় যেমন রুবেলা বা এইচআইভি এছাড়াও গনোরিয়া বা সিফিলিয়ার মতন বড় ধরনের রোগে আক্রান্ত হলেও সাধারণত এই ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

অনেক গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে বয়স বেশি হওয়ার কারণে ও সমস্যা হয় যেমন ৩৫ বছরের বেশি অথবা ৩৯ বছরের বেশি যাদের থাকে তাদের এই সমস্যা হতে পারে।

হরমোনের সমস্যা থাকলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি থাকে।

হঠাৎ করে অতিরিক্ত পরিশ্রম যদি করে থাকেন গর্ভবতী মায়েরা যেটা কাম্য নয় এই সময় সেটার কারণে অনেক ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেও গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিগারেট বা মধ্য পান বা মাদক নেওয়ার কারণেও এ সমস্যা হতে পারে বা অতিরিক্ত ক্যাফিন জাতীয় জিনিস বা অতিরিক্ত জার্নি করলেও এ সমস্যা তৈরি হতে পারে।

অনেক মেয়েদের জরায়ুর ত্রুটি থাকার কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে অথবা জড়ায়ুতে টিউমার বা বড় ধরনের কোন সমস্যা থাকে তাহলেও গর্ভপাত হতে পারে।

একসঙ্গে একাধিক বাচ্চা গর্ভধারণ করলে অথবা ঘনিষ্ঠ কারো বা নিজ রক্তের কারো গর্ভপাতের রেকর্ড থাকলে ডিম্বাশয়ের আকৃতি স্বাভাবিক না থাকলে, বিষাক্ত খাবার ঔষধ অতিরিক্ত চর্বি এই ধরনের সমস্যা থাকলে।

Leave a Comment