আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আজকে জানানোর চেষ্টা করব কিভাবে আপনারা শিরক থেকে বাঁচতে পারেন। আপনারা অনেকে আছেন যারা শিরক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। আমাদের পুরো আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি শিরক থেকে বাঁচার উপায়গুলো জেনে নিতে পারবেন। শিরক থেকে বাঁচতে হলে আপনার বেশ কিছু কাজ করতে হবে যেই কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি ফিরোজ থেকে বাঁচতে পারবেন। চোদোন তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে শিরক থেকে বাঁচার উপায় গুলো জেনে নেয়া যাক।
এমন কিছু সময় আছে যখন শয়তান মানুষকে শিরিকের বা আল্লাহর সঙ্গে বিভিন্ন কল্পনায় ডুবিয়ে দেয়। হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে ও বিভিন্ন নবী গন এরশাদ করেছেন শয়তান বলে এটাকে সৃষ্টি করেছে অতঃপর তাকে কি সৃষ্টি করেছে এমনকি বলে তোমাদের প্রভুকে কে সৃষ্টি করেছে। আল্লাহর রাসূল এর কল্পনা মনে এলে তা থেকে উত্তরণের পথ বলে দিয়েছেন।
এই কথার মানে হলো অনেক অমুসলিম ব্যাক্তি আছে যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না তারা সেই সময় আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে এই পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছে বিভিন্ন রকম শিরক জাতীয় কথাবার্তা বলে এইসব খারাপ জাতীয় কথাবার্তা বলা থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে আপনি যদি এসব শিরক জাতীয় কথাবার্তা বলা থেকে বিরত থাকতে পারেন তাহলে আপনি শিরক থেকে বাঁচতে পারবেন।
যাদের মাঝে শিরকের অস্তিত্ব রয়েছে তারা কখনো জান্নাতবাসি হতে পারবে না। তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি এসব শিরক থেকে বাঁচতে। এসব হীরক থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আপনাকে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শয়তানের রাজিম এটা পড়া এবং শিরিকের কল্পনা থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
শয়তানি যে কাজগুলো রয়েছে সে কাজগুলো থেকে সবসময় বিরত থাকতে হবে আমাদের। যে কাজগুলো আমাদের কুমন্ত্রণা দিয়ে থাকে সেসব কাজে কখনো মনোযোগী হওয়া যাবে না। সব সময় চেষ্টা করতে হবে পবিত্র অবস্থায় থাকার এবং পবিত্র স্থানে থাকতে হবে তাহলে খারাপ কথাগুলো আমাদের মনে কখনোই আসবেনা। একটি কথা মনে রাখবেন যারা পবিত্রতার প্রতি মনোযোগী কম হয় তাদের পেছনে শয়তান লেগে থাকে নাপাক অবস্থায় মানুষের শরীরে বা কাছের মানুষের শয়তান বিভ্রান্ত করার চেষ্টা বেশি করে তাই আপনি চেষ্টা করবেন সব সময় পবিত্র ভাবে থাকা।
আমাদের সমাজে অনেকে আছে যারা সৃষ্টিকর্তার সাথে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পন্থায় শিরকই কথাবার্তা বলে থাকে। মানুষ পাথর অগ্নি গাছ ও কবর পূজা ইত্যাদির মাধ্যমে এছাড়াও আরো বেশ কিছু কথা শিরক করে থাকে। আবার অনেকেই আছে যারা ব্যবসা-বাণিজ্য চাকরি-বাকরি বিবাহ স্বাধীন মাধ্যমেও শিরক কি কথাবার্তা বলে থাকে।
এইসব বিভিন্ন পন্থা মাধ্যমে আমাদের মুসলিম ভাইরা সুযোগ করে থাকে। কিন্তু এই শিরক থেকে আমাদের প্রতিটা মুসলিম বান্দাকেই দূরে থাকা উচিত। কারণ শিরককারীকে আল্লাহ তায়ালা কখনো পছন্দ করে না শিরককারীর জাহান্নামে দেয়া হবে কোরআন হাদিসের আয়াতে এসেছে।
যারা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য করবে বা তা এবাদত করবে তারা কিন্তু পথভ্রষ্ট মুসলিম। কোরআন হাদিসে বলা আছে স্মরণ করো যখন ইব্রাহিম তার পিতা আজগরকে বললেন তুমি কি প্রতিমাগুলোকে উপাস্য মনে কর আমি দেখতে পাচ্ছি যে তুমি তোমার সম্প্রদায় প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট।
আল্লাহতালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার এ বছরের জন্য আর সেই মানুষ যদি আল্লাহ তাআলার শিরক করে বেড়ায় তাহলে বিষয়টা কেমন হয় বলুন। তাই অবশ্যই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হলে আমাদের আল্লাহতালার বিধানগুলো মেনে চলতে হবে।
আমাদের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর নির্দেশ দেওয়া পথে আমরা আল্লাহর এবাদত করব কিন্তু অনেকে আছে যারা মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর দেখানোর পক্ষের বিশ্বাস করে না বিভিন্ন শিরক মূলক কথাবার্তা বিভিন্ন সময়ে পড়ে থাকে।
মহানবী সাল্লাহু সাল্লাম এর আগমনের পর পৃথিবীতে আর কোন নবীগণ আসেনি তিনি হলেন আমাদের এই মানবজাতির নির্দেশক। তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর দেখানো পথে চলা সেইসাথে আল্লাহর এবাদত বন্দেগী করা। কেয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে যত মানুষ আসবে প্রত্যেকটা মানুষই মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর উম্মত বলে বিবেচিত হবে।