ঋণ থেকে মুক্তির উপায়

আমরা জীবনে পরিবার নিয়ে বসবাস করি। আমাদের জীবন কিন্তু আমাদের একার হাতে আবদ্ধ থাকে না। জীবনের ওপর অধিকার থাকে আরো অনেক জনার। আমার কোন কাজ এবং পাপ কাজ দ্বারা কিন্তু আমার পরিবারের লোকজনের রাও এফেক্টেড হয়। একটা ভুল কাজ একটা পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই ভালোভাবে থাকতে হবে এবং সকল ধরনের পাপ কাজ থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।

জীবন দর্শনের মূল মন্ত্র হলো লোভ করা যাবে না। কথায় বলে অতি লোভে তাতে নষ্ট। সত্যি কিন্তু লোভে পড়লে মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। লোভের ফলে আমরা বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হই। ঋণ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে যায়। তাই আমরা যাতে সুষ্ঠুভাবে জীবন-যাপন করতে পারি এবং ঋণ থেকে নিজেকে অনেক দূরে রাখতে পারি সেটাই আমাদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে জীবন যাপন করলে এবং কিভাবে আমাদের জীবন যাপন করা উচিত যাতে করে আমরা ঋণ নামক অভিশাপ থেকে দূরে থাকতে পারি। চলুন আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় যাওয়া যাক।অল্পে তুষ্ট ব্যক্তি কখনো হতাশ হয় না। বেশি পাওয়ার লোভ তাকে দুনিয়ার প্রতি আসক্ত করতে পারে না। তাই ঋণ থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হলো আল্লাহপ্রদত্ত নিয়ামতে তুষ্ট থাকা। রাসুলুল্লাহ বলেছেন, ‘আল্লাহ তোমার ভাগ্যে যতটুকু বণ্টন করেছেন, তার প্রতি তুষ্ট থাকো, তাহলে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধনী হতে পারবে।

আজকে এ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করতে চাই। মানুষের জীবনে এই গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো জানা খুবই দরকার। মানুষের বিবেক বিবেচনা এবং আচার-আচরণের পরিবর্তন ঘটাতে আমাদের এই সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনটি খুবই কার্যকরী হবে। তাই মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করবেন। আমরা সবাই নিজেদের জীবনের সঙ্গে কোথাও না কোথাও মিল খুঁজে পাবো এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে।

ঋণ থেকে বাঁচার সহজ কিছু উপায় যদি আমরা মেনে চলি তাহলে আমরা কোনদিনও ঋণগ্রস্ত হবো না। সঠিক নিয়মে যদি আমরা জীবন যাপন করি তাহলে এইসব সমস্যায় আমরা কোনদিনই জড়িয়ে পড়বো না।জীবন এবং জীবিকার জন্য অর্থের প্রয়োজন। অর্থের অভাব মানুষের সবচাইতে বড় অভাব। জীবনে শান্তিতে থাকতে হলে মানুষের অর্থ থাকতে হবে। মানুষের জীবন প্রভাবিত হচ্ছে অর্থের পেছনে ছুটতে ছুটতে।

শিশু জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার সারা জীবন কিন্তু অর্থ উপার্জনের পথেই অতিবাহিত করছে। মানুষের মন স্বল্পতে কিন্তু সন্তুষ্ট হয় না। মানুষ জন্মগতভাবেই হিংসাগত মনোভাব নিয়ে জন্মায়। সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করায় মানুষ একে অপরের প্রতি হিংসা করে এবং লোভে পরিণত মানসিকতায় আসক্ত হয়ে যায়। আমাদের যদি ১০০ টাকা থাকে তাহলে আমরা সেটা ২০০ টাকায় পরিণত করতে চাই। ২০০ টাকা হলে তার চেয়ে বেশি টাকার প্রয়োজন পরে আমাদের। আমাদের

যেটা আছে তা নিয়ে যদি আমরা সন্তুষ্ট থাকি তাহলে এইসব ঋণ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় কিন্তু আমরা কোনদিনই পড়বো না। কিন্তু লোভের কারণে মানুষ নিজের আর্থিক সমস্যা দূর করতে নানা ধরনের পাপমূলক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এর ফলে ঋণগ্রস্থ হয়ে অনেক পরিবার উজার হয়ে যায়। একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যায় ঋণের বোঝা না বইতে পেরে। তাই আমরা সব সময় নিজেকে সংযত করব। এ বিভিন্ন ধরনের ঋণ এবং আর্থিক লোভ করলে চলবে না। পরিশ্রমই হতে হবে এবং পরিশ্রম করতে হবে তাহলে কোনদিনও ঋণের বোঝা বইতে হবে না।

প্রত্যেক মানুষেরই জীবনে একটা ইচ্ছা থাকে যে সে যেন ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ হয় এবং জীবনে তার যেন কোন কিছুরই অভাব না থাকে, কিন্তু এই জীবনে সুখ-দুঃখ রোদ-ছায়ার মতো আসা-যাওয়া করে। অনেক সময় আপনার কাছে এত টাকা থাকে যে আপনি তা সামলাতে পারেন না এবং আপনি রাজার মতো জীবনযাপন করেন এবং কখনও কখনও এমন পরিস্থিতি আসে যে সামান্য কারণে ঋণের বোঝা বেড়ে যায়। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে আমাদের কিভাবে জীবন যাপন করা উচিত। সবার জন্য রইল অনেক শুভকামনা এবং অনেক দোয়া।

Leave a Comment