এনাল ফিসার থেকে মুক্তির উপায়

এনআরসি স্যার একটি পায়ুপথের সাধারণ রোগ। পায়ুপথে সাধারণ রোগ হলেও এখান থেকে আপনাদের অবশ্যই মুক্তির উপায় রয়েছে। কারণ এটি কখনোই দুরারোগ্য ব্যাধি নয়। এ কারণে আপনারা এই রোগ হলে কখনোই ঘাপ দিয়ে যাবেন না কারণ এখান থেকে অবশ্যই ওভারকাম করে আসতে পারবেন অর্থাৎ আপনার মুক্তির উপায় রয়েছে। এনাল ফিসার হলে আপনি অবশ্যই সেখান থেকে সারিয়া তুলতে পারবেন অসুখটিকে। তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এখানে এসেছেন এনাল ফিসার থেকে মুক্তির উপায় জানতে আপনারা অবশ্যই এখন আমাদের এখান থেকে সে বিষয়টি জেনে যেতে পারবেন। এনাল ফিসার হলো মলদ্বারের একটি রোগ অর্থাৎ এটি অনেকটা পাইলস বা ফিস্টুলার মত হয়ে থাকে। এই রোগটি হওয়ার সবচাইতে বড় কারণ হলো কোষ্ঠকাঠিন্য।

কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কারণে যখন মলদ্বারে চাপের সৃষ্টি হয় তখন মলদ্বার ফেটে যায়। আর মালদার ফেটে যাওয়ার অর্থই হলো এনাল ফিশার রোগ হওয়া। তাই যদি আপনি প্রথমেই এই বিষয়টি বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গেলে আপনাকে অবশ্যই এই এনাল অফিসার রোগ থেকে মুক্তির উপায় জানিয়ে দেবে। আর এনাল ফিসার রোগ থেকে মুক্তি পেলে অবশ্যই আপনাকে প্রাকৃত িক গত ভাবে যে সকল জীবন আচরণ করা যায় সেই জীবন আচরণ করবেন।

অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য যে খাবারগুলোতে হবে সেই খাবারগুলো আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। বর্তমান সময়ে প্রায় মানুষ একটি কাজ করে আর তা হল কৃত্রিম খাবার এবং তেল চর্বিযুক্ত খাবারগুলি বেশি পছন্দ করে থাকে। শাকসবজি ফলমূল এগুলো খাবারের তালিকা থেকে বিদায় দেয়। আর এসব কারণেই অ্যানাল ফিশারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। আমরা যদি আমাদের খাবারের তালিকায় প্রত্যেকদিন প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং পানিজাতীয় অর্থাৎ যে সকল খাবারের মধ্যে পানির পরিমাণ বেশি সেই সকল খাবার গুলো খায় তাহলে অবশ্যই শরীরের সবদিকে সুস্থতা বজায় থাকবে।

তাই আমাদের খাদ্য তালিকার ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে। সবচেয়ে বেশি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় যে খাবারগুলো খেতে খেলে আমাদের উচিত সেই খাবারগুলো খুব একটা বেশি পরিমাণ না খেয়ে যথেষ্ট পরিমাণ শাকসবজি খাওয়া। আপনারা জানেন যে এনাল ফিসার রোগটি যদি হয়ে যায় তাহলে প্রথমে ই এখানে ফাটল দেখা দিবে এবং কিছুদিন পর পর রক্তপাত হতে পারে। তারপর আপনি যদি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ না আনেন তাহলে এই রোগটি দিন দিন বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখা যাবে যে ঘায়ে পরিণত হয়েছে।

তাই আপনাকে এই রোগ যখনি বুঝতে পারবেন বা আপনার যন্ত্রণা শুরু হয়েছে তখনই আপনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাবেন প্রাথমিকভাবে যে চিকিৎসা গুলি দেবে সেই চিকিৎসায় আপনি সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যেতে পারবেন। তবে আপনি যদি লজ্জার কারণে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বাড়িতেই থেকে যান তাহলে আপনার ভবিষ্যতে রোগটি লুকিয়ে রাখার জন্য বিপদ হতে পারে। তাই রোগের কাছে কোন লজ্জা নেই আপনি ডাক্তারবাবুকে গিয়ে বলবেন অবশ্যই ডাক্তারবাবু আপনার সঠিক চিকিৎসা করবে এবং আপনার সেই এনাল ফিশার রোগটি যাতে উপশম হয় সে ধরনের ব্যবস্থা নেবেন।

আর আপনার খাদ্য তালিকায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। আর তা হল আপনার খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি রাখতে হবে এবং মাংস বিশেষ করে রেড মিট বর্জন করতে হবে। তাহলেই দেখবেন আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়েছে এবং আপনি ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন। তারপরে দেখি চলুন দেখা যাক যে এই রোগটি যদি হয়ে যায় তাহলে আমরা এ থেকে মুক্তির উপায় কি সেটি খুঁজে বের করতে পারি।

আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস বা ফিশারের মতো গুরুতর সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ দেশি ঘি মিশিয়ে পান করুন। বিশেষজ্ঞের মতে, এটি খেলে অন্ত্রে জমে থাকা মলকে নরম করে এবং আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেবে সহজেই। এই ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকতে পারেন।

Leave a Comment