বাতজ্বর থেকে মুক্তির উপায়

বাতজ্বর একটি ভয়াবহ রোগ। আমরা অনেকে মনে করি গিরা, গিরায় ব্যথা হাতে, ব্যথা হলে সেটা বাদ জ্বরের লক্ষণ। আসলে এই ধারণাটা পুরোটাই সঠিক নয়। বার চোরের কিছু লক্ষণ রয়েছে যে লক্ষণ গুলো দেখা দিলে তখন নিশ্চিত হওয়া যাবে যে সে ব্যক্তির বাজার হয়েছে। আমরা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব কিভাবে আপনারা বাদ জোড় থেকে মুক্তি পাবেন। আপনার বাত জ্বর হয়েছে কিনা সেটা কিভাবে বুঝবেন সে বিষয়ে আমার না আপনাদের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। বা জ্বর থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের পুরো আর্টিকেলটি করতে হবে।

বাত জ্বর হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন

  • একজন ব্যক্তির যদি বাজার হয়ে থাকে তাহলে তার বুকে ব্যথা করবে। বুক ধরফর করবে নারীর গতি বেড়ে যাওয়া সহজ শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
  • বাত জ্বর হলে গিরায় ব্যথা হবে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হবে।
  • বাত জ্বর হলে বুকে ও পিঠে লাল বর্ণের মত চাকা, চাকা হতে পারে।
  • বাতজ্বর এর আর একটি লক্ষণ হচ্ছে শরীর বা হাত-পা য়ে কাঁপুনি দেয়া শুরু করবে।
  • স্বল্পমাত্রার জোর গিরায় গিরায় ব্যথা এ জাতীয় সমস্যা দেখা দিবে।

বাত জ্বর কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়

যারা গ্রামগঞ্জে বা শহরের ঘনবসতি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করে তাদের বাত জ্বর বেশি হয়ে থাকে। তাই সব সময় চেষ্টা করবেন এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে না থাকার। নিজেকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবেন। যেমন খাবার পরে দাঁত মুখ ভালো করে পরিষ্কার করবেন। রাতে ও সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালো হবে দাঁত ব্রাশ করবেন। নিয়মিত পানি পান করবেন। খেয়াল রাখবেন কখনোই ঠান্ডা জাতীয় খাবার খেয়ে গলা ব্যথা যেন না করে। আপনি এই বিষয়গুলো যদি মেরে চলতে পারেন তাহলে আপনি বাত জ্বর প্রতিরোধ করতে পারবেন বাড়িতে থেকেই।

বাত জ্বর হলে কি গর্ভধারণ করা যায়?

অনেকেই অনলাইনে এসে সার্চ করে থাকেন। অনেকেই ধারণা করে থাকেন বাতজ্বর হলে গর্ভধারণের সমস্যা হয়। এই ধারণাটি পুরোটাই ভুল। কোন মেয়ে যদি গর্ভধারণ করে তার যদি বাতজ্বর হয় তাহলে সে সব ধরনের ওষুধ চালিয়ে যেতে পারবে। এতে করে সন্তানের কোন ক্ষতি হবে না। তবে যে সব মায়েদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটা বিপদজনক হতে পারে। তাই যাদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তারা গর্ভধারণের আগে অবশ্যই বাতজ্বরের সমস্যা সমাধান করে নেবেন।

বাত জ্বরের ওষুধের নাম

বাজারে ভাত জ্বরের বিভিন্ন ওষুধ পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে প্রচলিত যে ওষুধটি সে ওষুধটির নাম হলো অ্যাসপিরিন যেটা খুবই কার্যকরী ওষুধ। সকল ধরনের ব্যাথা কমানোর জন্য এই ওষুধটি অনেক ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

বাত জ্বরের ইনজেকশন এর নাম

Inj. Benzathine Penicillin for IM সিঙ্গেল ডোজ অথবা Phenoxymethyl Penicillin ট্যাবলেট এই ওষুধগুলো আপনি যদি নিয়মিত ১০ দিন গ্রহণ করেন। তাহলে আপনি বাত জ্বর থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে যে কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা সবচাইতে ভালো। তাই আপনি যদি বাতজ্বরের লক্ষণগুলো আপনার মধ্যে দেখতে পারেন আপনি অবশ্যই। একজন এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

বাতজ্বর কেন হয়

বাতজ্বর বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া হলো স্ট্রেপটোকক্কাস পায়োজেনস। বিজ্ঞানীরা বাত জ্বরের রোগীর মনে তদন্ত করে জানতে পারে। এ রোগে রোগীর শরীরের টিস্যুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে যাদের শরীরের রোগের জিন থাকে তারা অন্যদের তুলনায় খুব সহজে বাত জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যায়।

আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে চেষ্টা করেছি আপনারা কিভাবে বাত জ্বর থেকে মুক্তি পেতে পারেন সে বিষয়ে তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমাদের পুরো আর্টিকেলটি যদি আপনারা পড়ে থাকেন তাহলে অনেক উপকৃত হবেন।

 

 

Leave a Comment