দৈনন্দিন জীবনে একজন মানুষ হিসেবে আপনি যে জল ত্যাগ করছেন অথবা প্রসাব করছেন সেটা স্বাভাবিক থাকা উচিত। আমরা যে পানি পান করে থাকি সেটার মাধ্যমে খাবার যেমন ডাইজেস্ট হয়ে থাকে তেমনি ভাবে আমাদের শরীরের ভেতরের যাবতীয় ময়লা আবর্জনা পরিশোধিত হয়ে মলত্যাগের মাধ্যমে এবং প্রসবের মাধ্যমে বের হয়ে আসে। তবে প্রসাবের কালার যদি স্বাভাবিক না হয়ে হলুদ রঙের হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আসলে এটা কেন হলুদ রং হচ্ছে তাই আলোচনার বিষয়বস্তু।
তাছাড়া প্রসাব যখন হলুদ হয়ে থাকে তখন সেখানে অনেক জ্বালাপোড়া করে এবং এই সমস্যা থেকে আপনারা যারা মুক্তি পেতে চান তাদের উদ্দেশ্যে এই পোস্টে আমরা অনেক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। দৈনন্দিন জীবনে আমাদেরকে অন্ততপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত। গরমের দিনে ফলের জুস থেকে শুরু করে বিভিন্ন পানিও দিয়ে তিন লিটার পানি পান করার অভ্যাস গড়ে উঠলেও শীতের মধ্যে আমরা কিন্তু প্রায় সময় পানি পান করতে চাই না।
কারণ শীতের ভেতরে আমাদের খুব একটা পানির পিপাসা পায় না এবং পানি ঠান্ডা হয়ে থাকার কারণে আমরাও প্রয়োজন ছাড়া পানি পান করার আগ্রহ দেখিনা। তাছাড়া কিছু কিছু মানুষ রয়েছে তারা দৈনন্দিন জীবনে আসলে কম পানি পান করে। তাই ধরনের সমস্যা থেকে আপনি যদি মুক্তি পেতে চান তাহলে প্রসাব হলুদ হওয়ার পেছনে আপনি যে যুক্তিটা খুঁজে বের করতে চাচ্ছেন তার প্রথম যুক্তি হলো পানি কম পান করা। তাই প্রসব হলুদ হওয়ার কারণ হিসেবে সর্ব প্রথমে আমরা পানি কম করার কারণ কে সবচাইতে গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
যদি কোন মানুষের শরীরে ইউরোবিলিন পিগমেন্ট যদি উৎপাদিত হয়ে থাকে তাহলে সেটা কারণে অনেক সময় প্রসাবের রং হলুদ আকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রং ধারণ করতে পারে। তাই সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রসাবের রং হলুদ হচ্ছে কেন সেটা পানি পান করার কারণ ছাড়াও অন্যান্য কিছু শারীরিক কারণ রয়েছে যেটার মাধ্যমে আসলে আমরা বুঝতে পারি না এবং সে অনুযায়ী প্রতিকার ব্যবস্থা করে তুলতে পারে না। তাই প্রসবের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে যাতে করে প্রসব ক্লিয়ার হয়।
বাচ্চাদের প্রসাব হলুদ হওয়ার কারণ
বাচ্চাদের যখন প্রসাব হলুদ হবে তখন হয়তো আপনারা ভাববেন যে তাদের কোন ধরনের সমস্যা না থাকার কারণে এটা কেন হচ্ছে। বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন ধরনের খাবার জোর করে খাওয়ানো হলেও অনেক সময় তাদেরকে পানি খাওয়ানো যায় না অথবা পানি খাওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে তারা বোঝেনা। খুব বেশি পিপাসা না পেলে তারা পানি খায় না অথবা কোন না কোন খেলার তাড়নায় তারা এ সকল নিয়মগুলো ভুলে যাই। তাই অধিকাংশ বাচ্চার পানি না খাওয়ার কারণে প্রসাব হলুদ হচ্ছে এবং যদি পানি খেয়ে এই সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
শিশুর প্রস্রাব হলুদ হওয়ার কারণ কি
উপরের উল্লেখিত কারণ আপনাদের জন্য জানিয়ে দেওয়া হলো এবং কোনো বাচ্চার যদি শরীর পানি শূন্য হয়ে যায় তাহলে প্রসাবের রং হলুদ হতে পারে। অর্থাৎ শিশুর প্রসাব তখনই হলুদ হবে যখন তার শরীর হয়ে যাবে এবং কিডনি থেকে তখন পানি শোষণ করার ফলে এটা হলুদ আকার ধারণ করবে। তাই আপনার শিশুকে অবশ্যই ভালোমতো খেয়াল রাখুন এবং সে আসলে দৈনন্দিন জীবনে কেমন খাবার খাচ্ছে এবং কেমন ভাবে মলত্যাগ ও প্রসাব করছে সেগুলো খেয়াল রাখা অনুযায়ী তাকে খাবার প্রদান করা যেতে পারে।
প্রসাব হলুদ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
উপরের ছোট ছোট আলোচনার ভিত্তিতে আপনাদেরকে প্রসব হলো ধরার কারণ আলোচনা করা হয়েছে। এ সকল কারণ ছাড়াও অন্যান্য কারণ থাকতে পারে এবং অবশ্যই আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। প্রতিকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আপনাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। যদি কোন সমস্যা থেকেও থাকে তাহলে এই পানি পান করার ফলে আস্তে আস্তে সমস্যা কেটে যাবে। আর সমস্যা যদি কেটে না যাই এবং সেখানে যদি জ্বালাপোড়া থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিলে তাদের চিকিৎসা অনুযায়ী সমাধান পেয়ে যাবেন।