আমার পথ প্রবন্ধের মূল উপজীব্য কোনটি

যে সকল শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আমার পথ প্রবন্ধটি পড়েছেন তারা এখন সেখানকার বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন। কারণ প্রবন্ধ থেকে উত্তর প্রদান করাটা কিছুটা কঠিন। তাই প্রবন্ধের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর আমাদের এখানে সহজভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে অথবা এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে কি বোঝানো হয়েছে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমরা এখানে আপনাদের জন্য আমার পথ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর যেমন প্রদান করেছি তেমনিভাবে বহুনির্বাচনের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করার মাধ্যমে প্রস্তুতি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সহায়তনামূলক পোস্ট করা হয়েছে। তবে এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা যারা আমার পথ প্রবন্ধটি মূল উপজীব্য কোনটি তা জানতে চেয়েছেন তারা অবশ্যই জেনে নিন।

যারা কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে জানেন তারা খুব ভালো মতোই অবগত আছেন যে তিনি একজন বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত। তাছাড়া ব্যক্তিগত জীবনে তিনি শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে যেমন কথা বলে গিয়েছেন তেমনি ভাবে মানুষের ভেতরের লুকায়িত সত্তাকে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কোন পথ অবলম্বন করলে সবচাইতে ভালো হয় তা তিনি আমাদেরকে জানিয়ে দিয়ে গেছেন।তাই শিক্ষার্থী হিসেবে আপনারা অবশ্যই আমার পথ প্রবন্ধটি পড়ার মধ্য দিয়ে যেমন পরীক্ষায় ভালোভাবে উত্তর করতে পারবেন তেমনি ভাবে এখান থেকে বাস্তবে অনেক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।

মূলত এই প্রবন্ধটিতে কবি খুব সুন্দর ভাবে মানুষের বাস্তবে জীবনে কোন পথ অনুসরণ করা উচিত তা শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। অর্থাৎ একজন মানুষ হিসেবে আমরা কোন পথে নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করলে সঠিক পথে আমরা সফলতার মুখ দেখতে পারব অথবা সত্যের পথ সন্ধান করতে পারব তা জানিয়ে জানা যাবে। তাই আপনি যখন বাস্তব জীবনে শিক্ষা গ্রহণ করতে যাবেন অথবা বাস্তব জীবনে সঠিক পথ অনুসরণ করতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনাকে সত্যের পথ অনুসরণ করতে হবে।

কারণ সত্যের পথ অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে আপনার যদি কোন ধরনের বিপদ আসে তাহলে সেটা পরবর্তীতে সত্য বলে প্রমাণিত হবে এবং সেখান থেকে আপনি জীবনে সঠিক অর্থ বুঝতে পারবেন। কিন্তু মিথ্যার পথ বেছে নিয়ে যখন আপনি সম্পদের পাহাড় গড়বেন তখন দেখা যাবে যে আপনার জীবনে সুখ শান্তি আসবে না এবং আপনি মানসিকভাবে দগ্ধ হতে থাকবেন। সত্যের পথ অনুসরণ করাটাই শ্রেয় এবং এর মাধ্যমে আপনার ভেতরে যে ব্যাক্তি জাগরণ ঘটছে তার ভেতর দিয়ে আপনি একজন শুদ্ধ মানুষের পরিণত হতে পারছেন।

তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা যদি আমার পথ প্রবন্ধটির মূল উপজীব্য বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করি তাহলে বলব যে এটার মূল উপজীব্য বিষয় হলো ব্যক্তিসত্তার জাগরণ। যদিও কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে লেখা লিখেছেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে লিখেছেন সেহেতু আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে শুধু ব্যক্তিসত্তার জাগরণ বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। অর্থাৎ আমরা যে ভুলের মধ্যে নিমজ্জিত আছি অথবা যে ভুল পথ পরিচালনা করার ফলে নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই সাধন করছি সেই পথ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তিনি এটা লিখেছেন।

জীবনে সত্যের মতো শুদ্ধ এবং সুন্দর জিনিস কখনোই হতে পারে না এবং এর জন্য তিনি বারবার সত্যের পথ অনুসরণ করার জন্য তাগিদ প্রদান করেছেন। মানুষ হিসেবে আমরা সবসময় ভুলের মধ্যে ডুবে থাকি এবং যারা সঠিক পথ অনুসরণ করেন তারাই আসলে প্রকৃত মানুষ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেন। তারপরও মানুষের জীবনে ভুলভ্রান্তি থাকা স্বাভাবিক এবং এই ভুল ভ্রান্তি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ব্যক্তিসত্তার জাগরণকে যদি আমরা অনুপ্রাণিত না করতে পারি তাহলে নিজেদের পরিবর্তন সম্ভব নয়।

তাই মূল উপজীব্য বিষয় হিসেবে এখানে ব্যক্তিসত্তার জাগরণ উল্লেখ করা হয়েছে বলে আপনারা যদি প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারেন তাহলে সেটা অবশ্যই নিজেদের জীবনে অনুশীলন করার চেষ্টা করবেন। যখন আপনি সত্যের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন তখন পাপ থেকে নিজেকে যেমন দূরে রাখতে পারবেন তেমনি ভাবে নিজের কাজের জবাবদিহিতার সুযোগ থাকার কারণে কোন অন্যায় পথে পা বাড়ানোর সাহস পাবেন না।

Leave a Comment