সাধারণত যদি কারও কানের মধ্যে সো সো শব্দ হয়ে থাকে তাহলে সেটাকে আমরা টিনিটাস বলে বিবেচনা করে থাকি। বয়স হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে অথবা বিভিন্ন কারণে এ ধরনের সমস্যাগুলো একজন মানুষের জীবনে আসতে পারে। সাধারণত এই রোগ গুলো হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকে এবং সেই কারণগুলো যদি উদ্ঘাটন করতে পারেন তাহলে সেই অনুযায়ী রোগের আসল কারণ বুঝে নিয়ে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে খুবই সুবিধা হবে। তাই আপনাদের জন্য এখানে এই রোগ থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে কোন ক্ষেত্রে কি ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে তা আলোচনা করা হবে।
মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে এবং আপানারা উপরের উল্লেখিত এই রোগটির নাম ডাক্তারি পরিভাষায় হয়তো জানতে পারবেন যে তার নাম দেয়া হয়েছে টিনিটাস। বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য কারণে এ ধরনের সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। তাই স্বাভাবিকভাবে কানের ভেতরে যদি এরকম ধরনের শব্দ হতে থাকে তাহলে সেটা যেমন বিরক্তিকর তেমনি বাইরের বিভিন্ন ধরনের শব্দ হয়তো আমাদের কানে এসে পৌঁছায় না।
তাছাড়া অনেক সময় কানের ময়লাগুলো পরিষ্কার না হওয়ার কারণে অনেক মানুষের সমস্যা হয়ে থাকে এবং এটা বধির হওয়ার প্রথম লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়। সুতরাং এই সমস্যাগুলোর দিনে অথবা রাতে যখন বেশি হয় তখন কিন্তু আপনাদের রাতের ঘুম হারা হয়ে যায় এবং অনেকেই নির্ঘুম রাত পার করে অনেক কষ্ট করে থাকেন। তাই এ ধরনের শব্দ আপনার ঘুম যদি নষ্ট করে তাহলে দেখা যাবে যে সেখান থেকে আরো অন্যান্য রোগের উৎপত্তি হচ্ছে এবং এই ক্ষেত্রে আপনি এই সমস্যাগুলো ফেস করার কারণে দিনে দিনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
তাই এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার বয়স কেমন অথবা বয়সের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে এই অসুখ বেড়ে চলেছে কিনা। সর্ব প্রথমে নিয়মিতভাবে আপনাদের কান পরিষ্কার করার বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে এবং কানের ভেতরে যেন কোন ধরনের খৈল না হয় সেটা মাথায় রাখবেন। সেই সাথে বাস্তব জীবনের নিজেরাই ডাক্তারি না করে অনেক সময় ওষুধের পাশে প্রতিক্রিয়া থেকে এগুলো হতে পারে বলে সকল ধরনের ওষুধ খাবার ক্ষেত্রে কিন্তু সঠিকতা এবং নিয়ম মেনে চলতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি কাজের জন্য আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন এবং ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ওষুধের গুনাগুন জেনে নিয়ে সেটা যদি ব্যবহার করেন তাহলে হিতে বিপরীত হয়ে যেয়ে আপনাদের এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। আবার অনেক সময় হরমোন জনিত সমস্যার কারণে এগুলো ঘটে থাকে বলে হরমোনের যাতে অসামঞ্জস্যতা না হয় সে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। সুতরাং বাস্তবিক জীবনে সকল ধরনের নিয়মকানুন আমাদেরকে মেনে চলতে হবে এবং সেইসাথে খাবারদাবারের ব্যাপারেও সচেতন হবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করতে হবে।
টিনিটাস থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
তাই এই ধরনের লোক থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে আমরা যেটা বলবো সেটা হল যে নিয়মিত কান পরিষ্কার করার পাশাপাশি অতিরিক্ত শব্দ প্রথমত পরিহার করতে হবে। খুব জোরে সাউন্ড বক্স বাজছে অথবা কানের ভেতরে হেডফোন দিয়ে উচ্চ শহরে গান শোনার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। আর এভাবে আপনারা যদি শব্দের বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে আপনার শ্রবণশক্তি ঠিকঠাক মতো কাজ করবে এবং এটা হ্রাস পাবে না। এটা বয়স অনুযায়ী অথবা সমস্যার প্রকারভেদ অনুযায়ী যেমন বিশ্রামে ছেড়ে যেতে পারে তেমনি ভাবে ভিটামিন বি জিংক ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে অনেক সময় কমে যায়।
টিনিটাস থেকে মুক্তির হোমিও চিকিৎসা
সাধারণত হোমিওপ্যাথি যেসকল ডাক্তার রয়েছে তারা ওষুধের নাম প্রদান করে না যাতে করে সেই নামগুলো জেনে নিয়ে আপনারা অন্য কোন দোকান থেকে ঔষধ কিনে খেতে পারেন। তাই তাদের থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করার পর যদি আপনার সমস্যা লাঘব পেতে থাকে তাহলে আর দেরি না করে সেই অনুযায়ী আপনারা ওষুধ খেতে পারেন। তবে উপরের উল্লেখিত আলোচনার পাশাপাশি আপনারা বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল জাতীয় অথবা কোমল পানীয় জাতীয় খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। তাছাড়া যে সকল সমস্যা থেকে এগুলো হয়ে থাকছে সেগুলো থেকে অবশ্যই দূরে অবস্থান করতে হবে।