বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়

আমরা সবাই সাধারণত জানি একটি বাচ্চা জন্মের সময় ২.৫ থেকে ৪ কেজির মধ্যে হয়ে থাকলে সেই বাচ্চাকে আমরা সুস্থ বলি। মায়ের প্রসাবের রাস্তা যদি ঠিকঠাক থাকে, কোন ধরনের সমস্যা না থাকলে শিশু নরমাল ডেলিভারি করা যায়। তবে ৪ কেজি ওজনের বেশি যদি হয়ে যায় তাহলে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারি করা উচিত। বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি করাতে হলে বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যেই নিয়মকানুন গুলো গর্ভবতী মায়েদের মেনে চলা উচিত। তাহলে একটি মা সুস্থ সবল একটি বাচ্চা এই দুনিয়াতে নিয়ে আসতে পারবে। আমরা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে বাচ্চার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব।

নরমাল ডেলিভারি কত দিনে হয়

একটি শিশু তার মায়ের গর্ভে তৈরি হওয়ার সময় থেকে। ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। একটি শিশু জন্ম দানের মধ্যে দিয়ে দশ মাস দশ দিন সময় নেই। এতে করে বাংলাদেশে প্রচলিত আছে নয় থেকে 10 মাসের মধ্যেই বাচ্চা ডেলিভারি করা সম্ভব।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ

একটি গর্ভবতী মায়ের যদি নরমাল ডেলিভারি হয় তাহলে আগে থেকে বেশ কিছু লক্ষণ তার মধ্যে দেখা যায়। অন্যান্য গর্ভবতী মা দূর থেকে বেশি স্রাব বের হওয়া। সাধারণ মেয়েদের চেয়ে আলাদা স্রাব যেমন পানি,পানি আঠালো কিংবা, রক্তের মতো শ্রাব বের হওয়া।প্রসাবের জায়গা দিয়ে রক্ত বের হওয়া। পেটে ব্যথা করা মাসিকের সময় মেয়েদের যেমন ব্যাথা হয় ওই ধরনের ব্যাথা করলে। তলপেটে চাপ অনুভব করা এবং কোমর ব্যথা হওয়া। এইসব লক্ষণ গুলো যদি থাকে তাহলে ধারণা করা যায়।একটি গর্ববতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি হতে পারে।

বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করতে হয়

একটি বাচ্চা যদি তার মায়ের গর্ভে চার কেজি ওজনের বেশি হয়ে যায় তাহলে এটা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। তখন অবশ্যই একটি গর্ভবতী মাকে স্বীকার করানো উচিত। তা না হলে গর্ভবতী মা এর অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে।তাই এই বিষয়গুলো অবশ্যই গর্ভবতী মেয়েদের পরিবারের খেয়াল রাখা উচিত।

ডেলিভারিতে ব্যথা কেমন হয়

যখন একটি গর্ভবতী মায়ের ব্যাথা শুরু হয় তখন জীবনে যুক্ত পেট ব্যথা বা পেট ব্যথা শুরু হয়।এই ব্যথা তিরিশ মিনিটের মত স্থায়িত্ব হয়। কিছু কিছু মেয়েদের এ ব্যাথা হতে পারে। এই ব্যথা আস্তে আস্তে বেড়ে যায় এবং বাচ্চা যখন হবে সেই সময় অনেক ব্যথা শুরু হয়।

সর্বনিম্ন কত সপ্তাহে সিজার করা যায়

একটি মেয়ে গর্ভ ধারনের পর সর্বনিম্ন ৩৯ তম সপ্তাহের পর সিজার বা অপারেশন করার দুনিয়া যেতে পারে। আপনি যদি ৩৯ সপ্তাহের আগে সিজার করার তাহলে সেই বাচ্চা জন্মগ্রহণের পর সমস্যা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। একটি বাচ্চার জন্মগ্রহণের পর তার অনেক ধরনের রোগবালাই হয়ে থাকে। তাই চেষ্টা করতে হবে স্বাভাবিকভাবে বাচ্চাকে জন্ম দান করা।

নরমাল ডেলিভারি করার সহজ উপায়

নরমাল ডেলিভারি করতে হলে। গর্ভবতী মা দের নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। বিভিন্ন ব্যায়াম রয়েছে আপনারা এই ব্যায়ামগুলো অনলাইন থেকে সার্চ করে পেয়ে যাবেন। নরমাল ডেলিভারি করতে হলে গর্ভবতী মা দের পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। নিয়মিত গর্ভকালীন চেকআপে যাওয়া উচিত। এতে করে আপনারা আপনার বাচ্চার এবং সমস্যা আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে পারবেন। বাচ্চা আবার আগে গর্ভবতী মাকে তার ওজন বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে।

সব সময় গর্ভবতী মাকে মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে। সে যত চাপ মুক্ত থাকতে পারবে তার বাচ্চা তত ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারবে গর্ভে। এছাড়া গর্ভকালীন বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে চলতে হবে। অনেক ধরনের এক্সারসাইজ বা মাসাজ রয়েছে সেগুলো নিয়মিত করতে হবে। সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত খাবার এবং ঠিকমতো ঘুমাতে হবে। আমরা আমাদের পুরো পশ্চিম মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি। কিভাবে আপনারা সুস্থ থাকতে পারেন এবং চা নরমাল ভাবে প্রসব করতে পারেন।

 

Leave a Comment