কোন ভিটামিন কি কাজ করে

আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে। অর্থাৎ শরীরের বৃদ্ধি সাধন হয় সাধন বা অন্যান্য যে তাপ শক্তি চলার শক্তি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ইত্যাদি কাজ করার জন্য আলাদা আলাদা ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে। অর্থাৎ আমরা যদি পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকে তাহলে সে সকল পুষ্টিকর খাবার থেকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। আবার দেখা যায় যে এই সকল ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে আমাদের শরীরে। তাই ওই সকল ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য আমরা যদি ওই ধরনের খাবার খেতে না পারি তাহলে অবশ্যই সেই ভিটামিন ঔষধ এর মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করাতে পারি।

তবে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য শরীরের সকল কর্মকান্ড সুস্থভাবে বজায় রাখার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে। এখন আমরা দেখব এই ভিটামিন গুলো আসলে কোন ধরনের কাজ করে থাকে। এ কথা সত্য যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। এই বিভিন্ন ধরনের কাজ কোনগুলো। শরীরে রক্ত চলাচল থেকে শুরু করে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই আলাদা আলাদা কিছু কাজ করে থাকে। এবং এই আলাদা আলাদা কাজগুলো করার জন্য যে শক্তি যোগায় এনার্জি যোগায় সেগুলো অবশ্যই আমরা বিভিন্ন ধরনের খাদ্য থেকে পেয়ে থাকি।আর এই খাদ্য গুলোর মাধ্যমে আসলে ভিটামিন আসে শরীরের মধ্যে এবং শরীরের সেই সকল কাজগুলো করতে তারা সহায়তা প্রদান করে থাকে। আমরা জানি যে পোস্টটিবিদরা যে ভিটামিনের কথা বলেছেন তা হল ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন কে।

তাহলে এখন আমরা দেখব যে এই সকল ভিটামিন এ বি সি ডি এবং কে কোন ধরনের কাজ করে থাকে। প্রতিটা ভিটামিন ই আমাদের শরীরের দেহে আলাদা আলাদা যে কাজগুলো করে থাকে তা আমাদের বর্ণনা করে হয়তো শেষ করা যাবে না। কারণ প্রত্যেকটা ভিটামিন শরীরের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে। যেমন ভিটামিন এ যে কাজগুলো করে থাকে তার বর্ণনা আমরা এখন দিচ্ছি দেখুন।
ভিটামিন এ আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এই ভিটামিন রক্তের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। এই ভিটামিন রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। অর্থাৎ দৃষ্টি শক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। দেহের বৃদ্ধি ঘটায় এবং দেহের প্রয়োজনীয় বস্তুর যোগান দিতে সাহায্য করে ভিটামিন এ। আবার ভিটামিন সি মানব দেহের রক্তের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় রক্তে অক্সিজেন পরিহার করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। ভিটামিন সি শরীরের এলার্জির তীব্রতা থেকেও কমাতে সাহায্য করে। শ্বাসনালী ও ফুসফুসের প্রদাহকে কমাতে সাহায্য করে এর যে কোন জায়গায় ক্ষত হলে সেটি শারিয়া তুলতে ভিটামিন সি এর প্রয়োজন রয়েছে। ভিটামিন ডি আপনার দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া বাচ্চাদের দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে থাকে এই ভিটামিন ডি। এরপর আসি ভিটামিন বি এর কাছে। ভিটামিন বি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে। ভিটামিন বি গলার ঘা এবং মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। ভিটামিন এ আপনার শরীরের অ্যান্টিঅক্সিজেন কে বাড়িয়ে তোলে।

ভিটামিন ই গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্ক বিকাশেও সাহায্য করে থাকে। আবার ভিটামিন-ই হলো চুল পড়া থেকে রোধ করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সাহায্য করে থাকে এই ভিটামিন ই। তারপরে ভিটামিন কে আপনার শরীরের হাড় গঠন সহ মানব দেহের অতিরিক্ত গ্লুকোজ উপাদান বাধা প্রদান করে থাকে। তাই ভিটামিন কে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাধা দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এজন্য দেখা যায় যে ভিটামিন আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। শুধুমাত্র একটি ভিটামিন শরীরের বেশি করে দিলেই হবে না। সব রকমের ভিটামিন যেন শরীরে প্রবেশ করানো যায় বিভিন্ন খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে সে বিষয়টি আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে।

Leave a Comment