আমি কখন ঘুম থেকে উঠি

আমরা যদি কোন প্রশ্নের উত্তরে জানতে চাই অথবা যে কোন প্রশ্নের উত্তর জানাটা যদি আমাদের জন্য জরুরী হয়ে ওঠে তাহলে কাউকে জিজ্ঞাসা না করে গুগলের মাধ্যমে বর্তমান সময়ে অনেক অনেক প্রশ্নের উত্তর জানা সম্ভব। তাই সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি কখন ঘুম থেকে উঠি- এই প্রশ্নের উত্তর যারা জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলব যে এই পোস্ট প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি বলে এটা আপনাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে তোলে। আর সেই ধারাবাহিকতার জায়গা থেকে আপনার ঘুম থেকে ওঠার সময় সম্পর্কে আমরা যদি বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে পারি তাহলে হয়তো অনেক ভালো হয়।

তবে আপনাদের এখানে নিশ্চিত করতে চাই যে আপনি কখন ঘুম থেকে ওঠেন এটা কখনো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হতে পারে না। সকলের ব্যক্তিগত জীবন আলাদা হয়ে থাকার কারণে কেউ ফজরের আযানের আগে উঠে অথবা সূর্যোদয়ের পূর্বে যে কাজগুলো থাকে সেগুলো করার জন্য উঠে আবার অনেকেই ভোরবেলা ঘুমাতে গিয়ে দুপুর ১২ টার সময় ওঠে। তাই কে কখন ঘুম থেকে উঠল অথবা কে কখন ঘুমালো সে প্রসঙ্গে google এর কাছে এমন কোন তথ্য সংগ্রহ নেই।

তাছাড়া আপনি যে ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত সেই কাজের উপর ভিত্তি করে কখন আপনি ঘুমাতে যাবেন অথবা কখন আপনি ঘুম থেকে উঠবেন সে বিষয়গুলো গুগলের কাছে এমন কোন সিস্টেম নেই যা সংরক্ষণ করে রাখে। একজন মানুষ ঘুমাতে যাওয়ার বিষয়টা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং এই ক্ষেত্রে গুগলের সঙ্গে এমন কোন সম্পর্ক থাকার বিষয় নিয়ে যেখানে মানুষ তথ্য ইনপুট করার মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছে আমি এই সময় ঘুমাতে যাচ্ছি এবং এই সময় ঘুম থেকে উঠছি।

তাছাড়া আপনি কখন ঘুমাতে যাবেন অথবা কখন ঘুম থেকে উঠবেন এ প্রসঙ্গে আমরাও তথ্য প্রদান করতে পারবো না কারণ এটা আপনাদের ব্যক্তিগত লাইফ স্টাইল। তাই মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে কখন কি ঘুরছে অথবা ভবিষ্যত সম্পর্কে যখন কোন ভবিতব্য বিষয়ে জানতে চান তখন আমাদের পক্ষে এটা প্রদান করা সম্ভব হয় না। ঘুম মানুষের আরামের একটা বিষয় এবং এই বিশ্রাম যদি মানুষ গ্রহণ না করতে পারে তাহলে দিনে দিনে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুতে পর্যবসিত হতে পারে।

স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষ যদি না খেয়ে থাকে তাহলে বেশ কয়েকদিন বাঁচতে পারে কিন্তু একটা মানুষ যদি বেশ কয়েকদিন ঘুমাতে না পারে তাহলে সে মারা যাবে। তাছাড়া ঘুম একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হওয়ার কারণে আমাদেরকে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে খুব দ্রুত ঘুমিয়ে যাওয়ার এবং সূর্যদয়ের পূর্বে ঘুম থেকে ওঠার। কিন্তু বর্তমান সময়ের যে জেনারেশন এসেছে তারা সারারাত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অথবা সারারাত হয়তো কাজে সময় নষ্ট করে সকালবেলা ঘুমাতে যায় এবং দুপুরবেলা ঘুম থেকে উঠে।

এদেরকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তারা এরকম ধরনের লাইফ স্টাইল কেন অনুসরণ করে তাহলে অধিকাংশই উত্তর প্রদান করবে রাতের বেলায় তাদের ঘুম ধরে না। কিন্তু রাতের বেলায় ঘুম না ধরার কারণ হলো তাদের ডিভাইস ব্যবহার করার অন্যতম কারণ। তাছাড়া সেভাবে তাদের কাজ না থাকার কারণে ঘুমের যে প্যাটার্ন রয়েছে সেটা নষ্ট করে ফেলছে। আর সেই কারণে তাদের ভেতরে খুব দ্রুত অনিদ্রা নামক রোগ যোগ হয়ে যাচ্ছে।

বর্তমান সময়ে শুধু বৃদ্ধরাও নয় বরং যুব সমাজের অনেকেই ঘুমের সমস্যায় ভুগছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মে এরা ঘুমের ওষুধ খেয়েও ঘুমাতে পারবে না অথবা এদের রক্তচাপের বিষয়গুলো অস্বাভাবিক দেখা দিবে। আপনার যদি কাজ নাও থাকে তাহলে ভালো ভালো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখার পাশাপাশি সঠিক সময় যেমন ঘুমাতে হবে তেমনিভাবে সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। ঘুমের মাধ্যমে মানুষের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে অথবা সুস্থতা নির্ভর করে বলে এক্ষেত্রে কেউ অবহেলা করবেন না।

Leave a Comment