কোন জাতের গাভী সবচেয়ে বেশি দুধ দেয়

আমাদের দেশে বেশি যে গাভীগুলো রয়েছে সেই গাভীগুলো খুব বেশি পরিমাণের দুধ দেয় না। তবে আমাদের দেশীয় প্রজাতির কিছু গাভী গুলোর মধ্যে রয়েছে সারাদিনে তিন থেকে চার অথবা পাঁচ সাত কেজি পর্যন্ত দুধ দিতে পারে এমন গাভী। গোপালনের রীতি প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মাঝে চলে আসছে। একটা সময় রাজ রাজাদের ধন-সম্পদের বিচার করা হতো কার সংগ্রহশালায় বা কার গোশালায় কতগুলো গরু বা গাভী রয়েছে তার ওপর।

মুঘল আমলেও আমরা সম্রাট আকবরের ক্ষেত্রেও দেখেছি তিনি প্রচুর পরিমাণে গো পালন করতেন। এবং তার সময়ও অর্থাৎ সম্রাট আকবরের রাজত্বকালেও গো হত্যাকে নিষিদ্ধ করা ছিল। বর্তমানে আমাদের এই উপমহাদেশে ইউরোপ আমেরিকার মত নিউজিল্যান্ডের মতো বিভিন্ন ধরনের গাভী পালন এর যুদ্ধ খামার রয়েছে। দুধ উৎপাদন করার নিমিত্বেই দুগ্ধ খামার গুলোর সৃষ্টি হয়েছে।

তাই যে খামারে শুধুমাত্র দুগ্ধ উৎপাদনের জন্য করা হয়ে থাকে সেই খামারগুলোতে অবশ্যই কি পরিমান দুধ উৎপাদন করতে পারবে অর্থাৎ গাভী গুলো কেমন পরিমাণে দুধ দিবে তার ওপর নির্ভর করে তারা গো পালন করে থাকেন। আমাদের দেশীয় প্রজাতির গরুগুলো থেকে খুব একটা বেশি দুধ পাওয়া যায় না। তাই গাভীর খামারের জন্য অবশ্যই বিদেশি বিভিন্ন ভালো ভালো জাতের গাভী পালন করা হয়ে থাকে। সেই সকল গাভী থেকে প্রত্যেকদিন প্রচুর পরিমাণে দুধ সংগ্রহ করা হয়।এবং এই উন্নত জাতের গাভীগুলো বর্তমানে সকলেই পালন করে থাকেন।

অনুন্নত বা দেশীয় প্রজাতির গরুগুলো যেহেতু কম দুধ উৎপাদন করে থাকে সেজন্য সেগুলো শুধু সাধারণ ভাবে পালন করা হয়ে থাকে। দেশীয় প্রজাতির গাভী গুলোর খাদ্য কম লাগে এবং অসু খ বেশি কম হয়ে থাকে এই কারণে এই গাভীগুলো এখনো পালন করা হয়ে থাকে গ্রামেগঞ্জে। আজ আমরা দেখব যে কোন গাভীগুলো বা কোন জাতের গাভী গুলো বেশি পরিমাণে দুধ দেয় এবং সেগুলো পালনের নিমিত্তে বা পালন করার উদ্দেশ্যে এখনো খামারে পালন করা হয়ে থাকে।

বিদেশি অনেক জাতের গরু যদি সুস্থ ভাবে পালন করা যায় তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে দুধ উৎপাদন করা সম্ভব। আমরা এখন দেখব যে কোন গাভী গুলো পালনের জন্য সবচাইতে সুবিধা জনক। কারণ কিছু কিছু উন্নত জাতের গাভী রয়েছে যেগুলো শীত প্রধান দেশে পালন করা সম্ভব আমাদের এই গ্রীষ্ম প্রধান দেশে সে সকল গাভীগুলো টিকানো খুবই মুশকিল হয়ে পড়ে। তাদের অনেক রোগ বালাই হয়ে থাকে এজন্য যে সকল গাভীগুলো আমাদের দেশের তাপমাত্রায় সহনশীল এবং বেশি পরিমাণে দুধ উৎপাদন করে এবং অন্যান্য খরচ

অর্থাৎ খাদ্য খরচ কম সে সকল গাভীগুলো খামারে পালন করলে লাভজনক। তাছাড়া কিছু প্রজাতির গরু অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ান প্রজাতির গাভী গুলো সেই দেশের জন্য মানানসই কিন্তু আমাদের দেশে নিয়ে এসে সেই গাভীগুলোকে রাখা অনেকটাই বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।তারপরেও আমরা এখন দেখব যে কোন গাফিগুলো পালন করলে একজন খামারি বেশি দুধ পাবে এবং লাভজনকভাবে তার খামার পরিচালনা করতে পারে।ল্যাটিন আমেরিকাতে হোলস্টাইন এবং ইউরোপ ও এশিয়া আফ্রিকাতে ফ্রিজিয়ান নামে ডাকা হয়।

বিশ্বের সবচে বেশি দুধ উৎপাদনকারী গাভী এবং বিশ্বের মোট উৎপাদিত দুধের প্রায় ৫০ শতাংশ হোলস্টাইন থেকেই উৎপাদিত হয়। এটাকে মূলত সিঙ্গেল পারপাস (শুধু দুধ উৎপাদন) গরু হিসাবে চিহ্নিত করা হলেও এই জাতের ষাঁড়ও বৃহৎ আকৃতির হয়ে থাকে। তাই দুধ উৎপাদন করার জন্য আপনারা অবশ্যই এই গাভীগুলোকে পালন করবেন বলে আশা করি। কারণ এই গাছগুলো সর্বোচ্চ দিনে ৫০ লিটার পর্যন্ত দুধ দিয়ে থাকে। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত উপায় এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে সেই সকল গাভীগুলো পালন করা সম্ভব। এ ধরনের যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে আসতে পারেন এবং আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতেও পারেন।

Leave a Comment