উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন দেশ ভালো

অধিকাংশ ছেলেমেয়েরাই স্বপ্ন দেখে এইচএসসি পরীক্ষার পর বিদেশ গিয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করার। বাংলাদেশের অধিকাংশ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের স্বপ্ন এটাই। কিন্তু সবাই উচ্চশিক্ষার জন্য বিদায় যেতে পারে না। কারণ যদি কোন ছাত্র-ছাত্রীর বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই, তাকে ভালো রেজাল্ট করতে হবে এবং মেধাবী হতে হবে। বিদেশ এডমিশনের জন্য অনলাইন আবেদনের যোগ্যতা থাকতে হবে। মেধাবী ছাত্রের ছাত্র বৃত্তি থাকতে হবে।

এবং নির্বাচনমূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সেখানে সুযোগ পাওয়ার পর বিদেশে এডমিশনের সুযোগ পাওয়া যায়। তাই যেসব ছাত্রছাত্রীরা বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন দেখে তাদের অবশ্যই একজন দক্ষ এবং মেধাবী ছাত্র হতে হবে। তারপরেও বিদেশে লেখাপড়ার খরচ বহন করার ক্ষমতা অনেক পরিবারের থাকে না। যার ফলে অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনা।

প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যায়। সম্প্রীতি লক্ষ্য করা যায় যে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ভারতের উচ্চ শিক্ষার জন্য যায়। কিন্তু অনেকে আবার ইউরোপ-আমেরিকা সিঙ্গাপুর ,লন্ডন এইসব জায়গাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য যায়।কিন্তু এইসব দেশের উচ্চ শিক্ষার জন্য যাওয়া সবার প্রতি সম্ভব নয় কারণ বিদেশে পড়াশোনা করার খরচ খুবই ব্যয়বহুল। এই খরচ বহন করার সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে পড়ে না। অনেক মেধাবী স্টুডেন্ট রয়েছে যারা শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে এসব বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পায়। আপনি অথবা আপনার সন্তান যদি এরকম কোন সুযোগ পেয়ে থাকে তাহলে আপনি তাকে কোন দেশে লেখাপড়ার জন্য পাঠাতে চান সেটা নিয়ে কি কনফিউজ?

আপনি কি আপনার সন্তানকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠাতে চান?আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী এবং আপনার সন্তানের লেখাপড়ার বিষয় অনুযায়ী কোন দেশটি আপনার সন্তানের জন্য ভালো হবে সেটা যদি আপনি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটির সাথে জুড়ে থাকুন। এই আর্টিকেলটিতে আজকে আমরা আলোচনা করব যে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কতটা ভালো ডিসিশন হবে এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন দেশটি উত্তম হবে।

অনেক ধনী পরিবারের ছেলে মেয়েরা উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডন , সিঙ্গাপুর এইসব জায়গায় যায়। কিন্তু শুধু এই সব জায়গায় নয় পৃথিবীতে আরো অনেক দেশ রয়েছে যেগুলো শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো যে দেশগুলো সেই দেশগুলোর নাম এবার আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব। অল্প খরচের মধ্যে যেই দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া যেতে পারে সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সর্বপ্রথম চয়েজ হলো জার্মানি। এখানে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে এবং সাধ্যের মধ্যে খরচটাও থেকে যায়।

উন্নত দেশগুলোর মধ্য সবচেয়ে কম খরচে উচ্চ শিক্ষা প্রদান করে থাকে জার্মানি।জার্মানির বেশিরভাগ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার কোন খরচ লাগে না।সবার মধ্য একটি ভয় থাকে জার্মান ভাষা শেখা নিয়ে।তবে এই ভয় অমূলক।জার্মান ভাষায় পড়তে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।জার্মানিতে বিদেশি শিক্ষার্থিদের জন্য ইংরেজি প্রাধান্য দেওয়া হয়। শিক্ষা ও গবেষণায় জার্মানদের জনপ্রিয়তা অনেক জার্মানির বেশিরভাগ ভার্সিটিতে নামেমাত্র টিউশন ফি দিয়ে পড়াশোনা করা যায়।এছাড়াও স্কলারশিপ এর সুযোগ তো রয়েছেই।কেউ যদি নিজের ক্যারিয়ার বানাতে চায়,তাদের জন্য জার্মা স্বপ্নের নাম।কিউএস রাঙ্কিং এ সেরা পাঁচশত ভার্সিটি রয়েছে।

বর্তমানে তুরষ্ক বিদেশী শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে। তাদের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিংয়ের প্রথম দিকে রয়েছে। যারা মুসলমান দেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী তারা তুরষ্ককে নির্বাচন করতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অনেক ছাত্র-ছাত্রী ভারতে পড়ালেখা করতে চাই। উচ্চশিক্ষার জন্য ভারত দেশটিও বেশ অগ্রগতির দিকে। ভারতের বিভিন্ন জায়গা রয়েছে যেখানে উচ্চশিক্ষা এর জন্য অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী যায়।

উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনে যাওয়া যেতে পারে। কিন্তু উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য একজন বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রীর পক্ষে লন্ডনে যাওয়া খুবই দুর্লভ। কারণ সেখানে অনেক খরচ। লেখাপড়ার খরচ বহন করা অধিকাংশ বাংলাদেশী পরিবারের পক্ষে অসম্ভব। তাই উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনের না গিয়ে আরো অনেক দেশ রয়েছে যেগুলোতেও স্বল্প খরচে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব।

Leave a Comment