কোন প্যাড সবচেয়ে ভালো

বর্তমানে যুগ অনেক বদলেছে। একটা সময় ছিল যখন মেয়েদের রজচক্র শুরু হয় সেই রজচক্র শুরু হওয়ার কথাটা তারা বাড়ির কাউকে লজ্জায় বলতে পারতো না। এবং এই বিষয়টিতে মেয়েরা অত্যন্ত লজ্জাবোধ করে থাকে। কিন্তু সনাতন পদ্ধতিতে অর্থাৎ প্রাচীনকালে যে পদ্ধতিতে মেয়েদের রজঃচক্র চলাকালে তাদেরকে কোন কাজকর্ম করতে দেওয়া হতো না এবং এই সময়টায় আলাদা ঘরেও কখনো কখনো থাকতে হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টা মোটেই কাম্য নয়।

রাজাচক্রের শুরু হওয়া মানে একজন মেয়ে, নারীতে রূপান্তরিত হওয়া। এটি একটি স্বাভাবিক বিষয় এবং এটি স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বিষয়। এজন্য এই বিষয়টিকে নিয়ে মানুষের এত বিলম্ব না কোনই কারণ নেই বলে মনে করি। চিকিৎসা বিজ্ঞান আগে এগিয়েছেন মানুষের জন ক জীবনের জীবন যাত্রার মান এগিয়েছে আর মেয়েরা যদি সেই মানদত্তার আমলে ধরে থাকে তাহলে আমাদের জাতি কিছুতেই এগিয়ে যাবে না। পৃথিবীর অর্ধেক সংখ্যক নারী।

তাই মোট জনসংখ্যার অর্ধেক সংখ্যাকে যদি আমরা কোন ধরনের ভালো কিছুতে কাজে না লাগিয়ে একেবারে নিষ্ক্রিয় করে রেখে দেই তাহলে কিছুতেই একটি দেশের বা জাতির উন্নতি হতে পারে না। এই কারণে আধুনিক যুগে অবশ্যই মানুষকে আধুনিকভাবেই সবকিছু মোকাবেলা করতে হবে। তিন থেকে চার দশক আগেও দেখা গিয়েছে যে মেয়েদের রজচক্র চলাকালে তারা বিভিন্ন ধরনের পুরাতন কাপড়ের মাধ্যমে সেটিকে মোকাবেলা করতে। কিন্তু বর্তমান সময়ে এটি মোকাবেলা করার জন্য এখন বিভিন্ন ধরনের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

উন্নতি প্রযুক্তি বলতে আসলে বিভিন্ন ধরনের সেন্টার ইন ন্যাপকিন বা প্যাড এগুলো মেয়েরা ব্যবহার করে থাকে। রাজাচক্র চলাকালীন সময়ে মানুষ কাজ কাম বাদ দিয়ে সব একেবারে বসে থাকবে এটি কখনোই হতে পারে না। টেলিভিশন তাই আপনারা আজকে আমাদের এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন যে বাজারে বিভিন্ন ধরনের যে পেট রয়েছে সেই প্যাড গুলোর মধ্যে আসলে কোন প্যাড ভালো। আপনারা জানেন বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের প্যাড পাওয়া যায়।

কারণ প্রচারে প্রসার। একটা সময় যখন মেয়েরা এসব কথা বলতে লজ্জা বোধ করত এখন বাজারে রীতিমতো বিক্রয় হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের স্যানেটারি ন্যাপকিন। আমাদের দেশেও কোম্পানির সাথে সাথে বিদেশি কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতা করে আমাদের বাজারে টিকে রয়েছে। অনেক ভালো ভালো দেশি ব্র্যান্ডের সাথে বিদেশি নামকরা ব্যান্ডের সেনেটারী ন্যাপকিন বা প্যাডের যোগান রয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। তাই আপনারা যদি এই আধুনিক যুগে এসে স্যানিটারি ন্যাপকিন গুলো রজচক্র সময়কালে ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই পাবেন। দেশীয় বাজারে বড় বড় কোম্পানি যেমন বসুন্ধরা,

এসিআই, স্কয়ার, এগুলোই বেশি এগিয়ে রয়েছে। তবে এদের সাথে সাথে অনেক ছোট কোম্পানিগুলো রয়েছে। তবে যাদের যেমন সামর্থ্য সে অনুযায়ী তারা পেটগুলো ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারেন। বাংলাদেশের বাজারে যে সকল প্যাড গুলো প্রচলিত রয়েছে তাদের সবচেয়ে ভালো মানের প্যাড গুলি হল-জয়া, সেনোরা, ফ্রিডম, মোনালিসা, ভেনাস, সাপটি উল্লেখযোগ্য। তবে এ সকল উল্লেখযোগ্য সেনেটারী ন্যাপকিনের বাদেও একটু কম মূল্যের অনেক অখ্যাত কোম্পানির সেনেটারি ন্যাপকিনগুলো রয়েছে। সেগুলোর যে মানে দিক থেকে একেবারে কমা সেতু আপনারা বলতে পারবেন না।

তবে সব সময় আমরা যেহেতু ভালো জিনিসটি ব্যবহার করতে চাই তাই আপনারা অবশ্যই ভালো গুলো কিনতে পারেন। আপনারা যে বিষয়টি জানার জন্য আমাদের এই পোস্টে এসেছিলেন আশাকরি সেই উত্তরটি আপনারা পেয়েছেন। কারণ আপনারা জানতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশে ব্যবহৃত যে সকল প্যাডগুলো রয়েছে সেই প্যাডগুলোর মধ্যে সবচাইতে ভালো প্যাড কোনটি। তাহলে এ ধরনের যেকোন প্রশ্নের উত্তর অথবা যে কোন তথ্য যদি আপনারা জানতে চান বা জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন। আমাদের ওয়েবসাইট গুলোতে অবশ্যই আপনাদের পা চাওয়া তথ্য গুলির উত্তর পাবেন।

Leave a Comment