শত কোটিপতি ব্যক্তিরা সব সময় অনেক বেশি ক্ষমতাধারী হন। তারা যেমন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বিশাল একটি প্রভাব ফেলে তেমনিভাবে তারা অন্যান্য ক্ষেত্রেও অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ধনী ব্যক্তিরা শুধুমাত্র নিজের দেশের অর্থনীতিতেই প্রভাব ফেলেনা, ধনী ব্যক্তিরা বিশ্বের অর্থনীতিতে অনেক বড় প্রভাব বিস্তার করে থাকেন। আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এরকম ধনী ব্যক্তি সম্পর্কে লিখা হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিকে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের বেছে নেওয়া হয় বা ধনী ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়। তবে এই ধনী ব্যক্তি যে একজনই থাকবে এমন নয়।
বিভিন্ন জরিপের মাধ্যমে ধনী ব্যক্তিদের নাম পরিবর্তিত হয় এবং তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ফলে বা তাদের সামরিক লস বা ক্ষতির কারণে দেখা যায় যে শীর্ষ ধনীদের নামের তালিকায় কমবেশি হতে পারে বা একজন ব্যক্তি যে ধনী ছিল তার পুরো সম্পদের পরিমাণ কিছুটা কমে যেতে পারে। সাধারণভাবে ধনী ব্যক্তিদের নাম বলতে গেলে যে সকল ব্যক্তিদের নাম শুরুতে আসে তাদের যদি পরিশ্রমের কথা দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে তারা শুরু থেকে বিভিন্নভাবে পরিশ্রম করে আসছে এবং কঠোর পরিশ্রমের ফলে তারা সফলতা লাভ করেছে। কখনোই কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কোনভাবে সফলতা লাভ করা সম্ভব নয়। এজন্য যে কোন সফলতা অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
যদি ধনী ব্যক্তিদের নাম বলতে হয় তাহলে যে ব্যক্তির নাম প্রথমে আসে তিনি হচ্ছেন ইলন মাস্ক। বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এই ইলন মাক্স বর্তমানে ধনী ব্যক্তিদের শীর্ষে অবস্থান করছেন। তার সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি। তবে তার সমসাময়িক আরো অনেক বাকি রয়েছেন যারা নিজেরাও ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছেন এবং অর্থনীতিতে বিশাল বড় প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে। এ সকল ব্যক্তি এমন এমন বিভিন্ন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেখানে পুরো পৃথিবীর মানুষ কাজ করতে পারে এবং বিশ্বের অর্থনীতিতে একটি বড় রকমের পরিবর্তন এই কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। তাই তাদের নাম কখনোই কিংবা তাদের অবদান কখনোই ভুলে যাবার মত নয়।
ইলন মাস্কের বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোম্পানি টেসলা কোম্পানি, রকেট কোম্পানি, স্পেস এক্স এবং সামাজিক মাধ্যম কোম্পানি টুইটারের প্রধান নির্বাহী হচ্ছেন এই এলন মাক্স। তার সম্পদের বেশিরভাগ অংশ অর্থাৎ দুই তৃতীয়াংশ এসেছে টেসলা থেকে। গত বছরের অক্টোবরে ৪৪০০ কোটি ডলারের টুইটার কিনেন এবং আর কোম্পানির ৭৪ শতাংশের শেয়ারের মালিক তিনি হন। এভাবে দিন দিন তার সম্পদের পরিমাণ বাড়তে আছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে তার অবদানে পরিমাণও বাড়ছে।
তাই বিশ্বের ধনীদের তালিকা তৈরি করতে হলে অবশ্যই তার নামটি প্রথমের দিকে থাকতে হবে বা তার নামটি লেখা প্রয়োজন। কেননা বর্তমান সময়ে তার সমসাময়িক অনেকে থাকলেও তিনি রয়েছেন সফলতার শীর্ষে এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব হিসেবে।মাস্ক এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। তাঁর বয়স ১৮ হওয়ার আগেই তিনি কানাডায় পাড়ি জমান। অনেক রকম কাজ করে তিনি প্রথমে পড়েন অন্টারিওর কুইনস ইউনিভার্সিটিতে। এরপর তিনি যান ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়াতে। সেখানে তিনি অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর আস্তে আস্তে তিনি তার ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড মনোযোগ দেন এবং সফলতার শেষে পৌঁছে যান।
এভাবে আস্তে আস্তে খ্যাতব অর্জন করেন এবং বিভিন্ন কোম্পানির মালিক হয়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেন। আর তার পরিশ্রমের ফলে তিনি সফলতা অর্জন করেন। পৃথিবীর ধনী ব্যক্তিদের নামের তালিকায় নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। আশা করি আপনি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বা বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তির তালিকায় যার নামটব শীর্ষে রয়েছে তার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এর পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিতে তার অবদান সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন।