রিবা ও সুদের মধ্যে পার্থক্য

আমরা যারা মুসলমান ধর্মের অনুসারী তাদের কাছে রিবা ও সুদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। রিবা ও সুদ দুটি আলাদা আলাদা তবে এ দুটি আলাদা হলেও এই দুটি জিনিসের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে।যে পার্থক্যগুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে কারণ রিবা ও সুদের মধ্যে যদি আপনি পার্থক্য না বুঝতে পারেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে অনেক বিষয় বুঝতে অসুবিধা হবে। রিবা শব্দের অর্থ হল বুদ্ধি আর সুদ হল কোন
অর্থের উপর একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিশ্চিত সুনির্দিষ্ট অতিরিক্ত পাওনা।

রিবা ও সুদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে আমরা অনেকেই এই দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানিনা। তবে অনেকেই রিবা ও সুদের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে সে পার্থক্য জেনে নিতে চাই। আর তাই অনেকে গুগলে সার্চ করে দেখে নিতে চাই এ দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য। তাই আমরা আমাদের আজকের আলোচনাতে আপনাদেরকে জানিয়ে দেব রিবা ও সুদের মধ্যে পার্থক্য। আপনারা যারা এ দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য জেনে নিতে চান। আমাদের পুরো আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন আর এ বিষয় জেনে নিন।

রিবা এবং বর্তমান সুদ এক জিনিস নয়। রিবা চক্রবৃদ্ধি সুদ। রিবার মধ্যে কোনো ধরনের মানবিক চিন্তাধারা নেই। কিন্তু সুদ মানবিক চিন্তাধারার ওপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুদ হলো কস্ট অব ফান্ড এবং কস্ট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। কিন্তু রিবাতে সেটা ছিল না। যারা ধর্ম নিয়ে কথাবার্তা বলেন তারা সুদ ও রিবাকে এক করে ফেলেন। এটা একান্তই ভুল এবং এই ভুলের ওপর ভিত্তি করেই ইসলামিক ব্যাংকিং হচ্ছে তবে আমরা যদি রিবা ও সুদের মধ্যে সঠিক পার্থক্য বুঝতে পারি তাহলে এই বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট ধারণা আসবে।

রিবা ও সুদের মধ্যে পার্থক্য

অনেকেই আমরা রিবা ও সুদকে একই মনে করি। তবে এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল রিবা ও সুদের মধ্যে এমন অনেক পার্থক্য রয়েছে যেটা দেখলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। তবে আমরা যারা রিবা ও সুদের মধ্যে সঠিক পার্থক্য জানিনা আর এই বিষয়ে পার্থক্য জানতে ইন্টারনেটে খোঁজ করছি তবে ঠিক এই দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারছি না। আমরা এখন আপনাদেরকে রিবা ও সুদের মধ্যে যে পার্থক্য তা জানিয়ে দেব। আপনারা যারা এ দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য জেনে নিতে চান আমাদের এখান থেকে তা দ্রুত দেখে নিন।

রিবা নাসিআহ হচ্ছে ঋণের ওপর সময়ের অনুপাতে ধার্যকৃত অতিরিক্ত অংশ। যেমন কেউ যদি কাউকে ১০০ টাকা ঋণ দেয় এ শর্তে যে তাকে মেয়াদান্তে ১১০ টাকা দিতে হবে। আর এখানে অতিরিক্ত ১০ টাকাকে রিবা বলা হবে। তবে সুদ মূলত একই জিনিস হলেও এই বিষয়টি সম্পন্ন আলাদাভাবে বলা হয়েছে তবে ইসলামের পক্ষ থেকে সুদকে পুরাপুরি ভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ যদি ইসলামের নির্দেশ না মেনে সুদ খায় তাহলে তার জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে তাই এ দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য আমাদের জানা জরুরী।

রিবা ও সুদের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা সঠিকভাবে এ দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারি না।তাই আপনারা যারা রিবা ও সুদের মধ্যে পার্থক্য জানেন না আমরা এখন এ দুটি বিষয়ে কিছু পার্থক্য আপনাদের জানিয়ে দেব।রিবা হল কাউকে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ঋণ দিয়ে মূলধনের অতিরিক্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করা। আর সুদ হলো ঋণকৃত অর্থের উপর একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিশ্চিত সুনির্দিষ্ট অতিরিক্ত পাওনা। রিবা আর সুদ দুটি জিনিসের মূল বিষয় এক হলেও এদের মধ্যে পার্থক্যটা কিন্তু খুবই সূক্ষ্ম তাই ধরা যায় না।

অনেকেরই অনেক কারণেই রিবা ও সুদের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা জানতে চাই। তবে আমরা অনেকেই এই দুটি বিষয়ের মধ্যে যে পার্থক্য তা সঠিকভাবে জানি না। তাই তাদের জন্য আমরা আমাদের এখানে রিবা ও সুদের মধ্যে কিছু পার্থক্য জানিয়ে দিলাম। আপনারা যারা এই পার্থক্য গুলো জানাবেন তখন বুঝতে পারবেন আসলে এই দুটি বিষয়ের মধ্যে কত পার্থক্য রয়েছে। তাই আপনারা যারা এই দুটি বিষয়ে পার্থক্য জানতে চান তারা আমাদের এখান থেকে তা জেনে নিন।

Leave a Comment