ইসলামিক ইমোশনাল স্ট্যাটাস

ইসলামিক ইমোশনাল স্ট্যাটাস সংগ্রহ করে নিয়ে সেগুলো যদি আপনারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করতে চান তাহলে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে এগুলো প্রদান করেছি বলে তা কপি করে নিতে পারবেন। ইসলামিক ইমোশনাল স্ট্যাটাস গুলো আপনারা পড়লে অবশ্যই ইসলামের প্রতি ইমোশনাল হবেন এবং আপনাদের মনের ভেতরের যে কাঠিন্যতা রয়েছে তো দূর হয়ে যাবে। যারা বর্তমান সময়ে ইসলাম ধর্মের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন না এবং প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে ব্যস্ততা দেখিয়ে থাকেন তারা এ সকল ইমোশনাল স্ট্যাটাস দেখলেই অথবা মানলেই একটা সময় আপনাদের ভেতরে অবশ্যই হেদায়েত চলে আসবে।

বাস্তবিক জীবনে যারা ইমোশনাল তারা দুনিয়ার জীবনের কোন বিষয়ের প্রতি ইমোশন না দেখে মহান আল্লাহ পাকের প্রতি যদি ইমোশন দেখাতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার জীবন সুন্দর হয়ে উঠেছে। এই পৃথিবীর কোন মানুষের প্রতি যদি ইমোশন দেখাতে চান তাহলে দেখা যাবে যে সেই মানুষ আপনার দুর্বলতার জায়গাটি বুঝতে পেরে আপনাকে বারবার কষ্ট দিচ্ছে অথবা আপনাকে একেবারেই কষ্ট দিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছেন। তাই নিজের ভালো যদি চান তাহলে আল্লাহ পাকের প্রতি ইমোশনাল হন এবং আল্লাহ পাকের প্রতি আবেগ দেখাতে পারলে তিনি অবশ্যই আমাদের আচরণে রাজি খুশি হবেন।

যেখানে আমাদের প্রতিনিয়ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা উচিত যেখানে আমরা বিভিন্ন অজুহাতে নামাজ ছেড়ে দেই অথবা নামাজের প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপ আমাদের হয় না। তাছাড়া মানুষের মনের কাঠিন্য বর্তমান সময়ে এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে ধর্মের প্রতি ইমোশনাল বিষয়গুলো উঠে চলে গিয়েছে। যুক্তিসঙ্গতভাবে যখন আপনারা ধর্ম মানবেন এবং ধর্মের প্রত্যেকটি কাজ করবেন তখন দেখবেন যে সেখানে আপনার সেই স্রষ্টার প্রতি ইমোশন আস্তে আস্তে চলে আসছে।

তাই ইমোশনাল স্ট্যাটাস গুলো আপনারা যদি পড়েন অথবা দেখেন তাহলে দেখা যাবে যে মহান আল্লাহ পাকের প্রতি আমাদের ভালোবাসা কিভাবে বৃদ্ধি করতে হয় অথবা আমাদের মন কিভাবে নরম করে আল্লাহপাকের কাছে দুই হাত তুলে চাইতে হয় সে বিষয়গুলোর শিক্ষা দিচ্ছেন। যেখানে আল্লাহ পাক চাইলেই দেন অথবা বান্দার খালি দুই হাত ফিরিয়ে দিতে লজ্জা বোধ করেন সেহেতু আমরা যদি আবেগ হয়েই হয়ে অথবা মনের ভেতরের কষ্ট দুঃখ গুলো আল্লাহ পাকের কাছে শেয়ার করতে পারি তাহলে অবশ্যই তিনি শুনবেন।

বান্দা যদি মহান আল্লাহপাকের কাছে চাওয়ার মত চেয়ে থাকেন এবং একটা জিনিস বারবার চাইতে থাকেন তাহলে সেই বিষয়টা হালাল হলে এখনো অথবা পরে হোক অবশ্যই প্রদান করবেন। দোয়া করার ক্ষেত্রে আপনি কতটা লেগে থাকতে পারেন অথবা এক্ষেত্রে কতটা ধৈর্য ধারণ করে আপনি অপেক্ষা করতে পারেন সেগুলোও একটা পরীক্ষার বিষয়। স্বাভাবিকভাবে কোন একটা জিনিস চাওয়ার সাথে সাথে যে পেয়ে যাবেন বিষয়টা এমন ভাবে না ভেবে সব সময় চাওয়ার উপরে থাকলে আল্লাহ পাক অবশ্যই একটা সময় বান্দার এই সকল দোয়া কবুল করে নিবেন।

তাই দুনিয়ার জীবনে প্রিয় মানুষকে অথবা প্রিয় একটা বস্তুকে পাওয়ার জন্য আপনারা হয়তো মানুষের কাছে বিভিন্ন সময়ে ইমোশন দেখে থাকেন। কিন্তু আল্লাহ পাকের কাছে সেই ইমোশন যদি দেখাতে পারেন অথবা আল্লাহ পাকের কাছে সেই চাওয়ার মতো করে চাওয়া যদি চাইতে পারেন তাহলে দেখা যাবে আল্লাহ পাক অবশ্যই খুশি হচ্ছেন এবং আমাদেরকে প্রদান করছেন। তাই আপনারা ইমোশনাল হওয়ার ক্ষেত্রে আল্লাহপাকের প্রতি ইমোশনাল হয়ে ওঠে আপনাদের মনের হালাল চাহিদা গুলো পূরণ করার সাপেক্ষে দোয়া করতে থাকুন।

তাই ইমোশনাল স্ট্যাটাস গুলো আপনারা যখন পড়বেন তখন বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস পড়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করে মানুষের কঠিন মনকে নরম করে দেওয়ার সুযোগ করে দিন। আল্লাহপাকের উপস্থিতি অথবা আল্লাহ পাকের নিয়ামত সম্পর্কে আমরা বুঝে ওঠার পরও যখন এগুলো থেকে দূরে সরে যাই অথবা আল্লাহ পাকের ইবাদত থেকে আমরা নিজেদেরকে বিরত রাখে তখন সেটা যে কতটাই বোকামি তা আমরা এখন বুঝতে পারছি না। মহান আল্লাহপাক এই পৃথিবীর সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা হিসেবে অবশ্যই আমরা তাঁর কাছে আমাদের মনের দুঃখ কষ্ট গুলো শেয়ার করে হালাল জিনিসের জন্য দোয়া করতে পারি।

Leave a Comment