আমার সন্তান কবিতা

আপনারা কি আমার সন্তান কবিতাটি ডাউনলোড করার জন্য অথবা এখান থেকে কপি করে নেওয়ার জন্য ভিজিট করেছেন? তবে আমার সন্তান নামে যে সকল কবিরা কবিতা লিখেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে প্রত্যেকটি কবিতা উপস্থাপন করলাম যাতে করে আপনাদের সুবিধার্থে এগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। কবিতা আমাদের জীবনে ছন্দ এনে দেয় অথবা সাহিত্যের মূল উপাদান হিসেবে কবিতা পরিচিত হয়ে থাকার কারণে যারা কবিতা ভালোবাসেন তাদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কবিতা আমরা এখানে দিয়ে দিচ্ছি।

তাই আপনার যদি আমার সন্তান কবিতাটি পছন্দ হয় অথবা এই কবিতাটির ডাউনলোড করার পর নিজেদের কাছে রাখতে চান তাহলে রাখতে পারেন। বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের লিখিত তথ্য খুব সহজেই পাওয়া যায় বলে কবিতা প্রদান করাটা খুব সহজ হয়েছে। ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের এই কবিতাটি যখন লেখা হয়েছিল তখনকার সেই প্রেক্ষাপট উল্লেখ করার পাশাপাশি বর্তমান সময় পর্যন্ত তা খুবই পরিচিত। বাঙালি জাতির এক বিশেষ মানসিকতার পরিচয় এখানে ফুটে উঠেছে এবং এই বিষয়গুলো আপনারা কবিতাটি পড়লে বুঝতে পারবেন।

যদিও তৎকালীন সময়ের লেখা অনেকের কাছে বুঝতে অসুবিধা হবে তারপরও ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন শব্দের অর্থ জেনে নিয়ে যদি পড়েন অথবা পড়ার চেষ্টা করেন তাহলে অনেকটাই আয়ত্তে চলে আসবে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমার সন্তান কবিতাটি এখানে আমরা প্রদান করলাম যাতে করে আপনাদের সেটা ডাউনলোড করে নিতে অথবা কপি করে নিতে অসুবিধা না হয়। এই কবিতাটিতে বাঙ্গালীদের যে বিশেষ চরিত্র বা বিশেষ মানসিকতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা যদি আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করি তাহলে খুব ভালো হয়।

এখানে অন্নপূর্ণা বধুর সাজে চলে আসে একটি নদীর ধারে এবং খেয়া নদী পার হতে চাই। এই নদীতে মাঝে হিসেবে ছিলেন ঈশ্বর পাটনি। যখন এই মাঝের কাছে নদী পার হতে চাই তখন ঈশ্বর পাটনী তৎকালীন সমাজে একজন বধু হিসেবে একা একা নদী পার হওয়ার ক্ষেত্রে বাধ সাধে। তার কাছে সেই বধুর পরিচয় জানতে চাওয়াটা মুখ্য বিষয় হয়ে ওঠে এবং যদি পরিচয় না পাই তাহলে সে নদী পার করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। যেহেতু ঈশ্বর পাটনি জানতে চেয়েছে সে কোন বাড়ির বধু অথবা কার স্ত্রী তখন অন্নপূর্ণা স্বামীর নাম মুখে আনা যাবে না বলে সামাজিক প্রথা তুলে ধরে।

অবশেষে অন্নপূর্ণা যখন নৌকাতে পা রাখে তখন যে জায়গাতে পা রেখেছিল সেই জায়গাটি শোনাতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। ঈশ্বর পাটনি এই বিষয়টি লক্ষ্য করে এবং বুঝতে পারে যে তিনি আসলে নিশ্চয়ই দেবতা হয়ে থাকবেন। আর এই ক্ষেত্রে ঈশ্বর পাটনি যখন তার পরিচয় জানার জন্য বারবার জিজ্ঞাসা করতে থাকে তখন অন্যপূর্ণ দেবে সুন্দরভাবে নিজের পরিচয় বিস্তারিতভাবে প্রদান করে। সেই সাথে অন্নপূর্ণা দেবী ঈশ্বর পাটনীর ওপর সন্তুষ্ট হয়ে বর প্রার্থনা করতে বলেন।

আর এই ক্ষেত্রে ঈশ্বর পার্টনার নিজের স্বার্থ চিন্তা না করে একজন বাবা হিসেবে সন্তানের স্বার্থের কথা ভাবে। বাঙালি সমাজে বাবা হিসেবে সন্তানের প্রতি প্রচুর পরিমাণে ভালোবাসা থাকার কারণে নিজের সুখ-সমৃদ্ধির কথা ভেবে না ভেবে যখন সন্তানের সুখ সমৃদ্ধির কথা ভাবে তখন সেটা বড়ই আলোচনার বিষয় হিসেবে দাঁড়াই। তাই বাবা হিসেবে ঈশ্বর পাটনি অন্নপূর্ণা দেবীকে জানাই যেন তার সন্তান দুধে-ভাতে থাকে। তাই এখানকার এই আলোচনার ভিত্তিতে অন্তত এটা বোঝা গেল যে বাঙালি জাতির ভেতরে যে নিঃস্বার্থ উপেক্ষা করে সন্তানের কল্যাণকর বিষয়গুলো তুলে ধরা যায় তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

একজন বাবা হিসেবে নিজের সুখ শান্তির কথা না ভেবে যখন সন্তানের সুখ-শান্তির কথা ভাবে তখন এটাই সন্তানের কল্যাণ কামনার চূড়ান্ত মানসিকতা হিসেবে ফুটে ওঠে। এই কবিতাটি যারা সংগ্রহ করবেন তারা অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে যদি কবিতাটি পড়ার চেষ্টা করেন তাহলে আশা করি কোন কিছুই বুঝতে অসুবিধা হবে না।

Leave a Comment